বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বাড়িতে ঢুকে তাকে ৬ বার ছুরিকাঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে মুম্বাই পুলিশ। তিনি অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন এবং কয়েক মাস ধরে মুম্বাইতে বসবাস করছিলেন। খবর এনডিটিভির।

রোববার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব তথ্য জানান মুম্বাই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীক্ষিত গেদাম।

তিনি বলেন, বুধবার রাতে অভিনেতার বান্দ্রার বাড়িতে চুরির উদ্দেশ্যে ঢোকা এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তের নাম মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ বলে জানা গেছে।

দীক্ষিত গেদাম আরও বলেন, তদন্তে ওঠে এসেছে- অভিযুক্ত বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারেন। তার কাছে কোনও ভারতীয় নথিপত্র নেই। আমরা সন্দেহ করছি, তিনি বাংলাদেশি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনের ধারাও যুক্ত করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত গত চার মাস ধরে মুম্বাইতে বসবাস করছিল এবং তার নাম পরিবর্তন করে বিজয় দাস রাখেন। তিনি একটি হাউজকিপিং কোম্পানিতে কাজ করতেন। তাকে থানের এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং এখন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

অভিযুক্ত শেহজাদ সাইফ আলী খানের বাড়ির পেছনের ফায়ার এক্সিট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। তার বাড়ির পরিচারিকা তাকে দেখে চিৎকার করে ওঠেন। সাইফ আলী খান যখন তাকে থামানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি ছুরিকাঘাত করেন এবং পালিয়ে যান। আহত অভিনেতাকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন।

প্রসঙ্গত, মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় ‘সৎগুরু শরণ’ নামের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে সপরিবারে থাকেন সাইফ আলী খান। সেই বাড়িতে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে ঢুকে এই অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রথমবার কারিনা কাপুর একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, অভিনেত্রী ও তার দুই সন্তান সুরক্ষিত রয়েছেন।

আহত সাইফ আলী খানের মেরুদণ্ড থেকে ২.

৫ ইঞ্চি একটি ছুরির টুকরো অপসারণ করতে পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ অপারেশন করা হয়। ৫৪ বছর বয়সী এই অভিনেতা এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সংশোধন

হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য ১৪ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অবকাশকালীন বেঞ্চ গঠন করেছেন প্রধান বিচারপতি। তবে এ বিষয়ে ২৮ আগস্ট জারি করা সুপ্রিম কোর্টের ৩৯৭-এ নম্বর বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধন আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সরকার এক তথ্য বিবরণীতে বিজ্ঞপ্তির আংশিক সংশোধনের বিষয়টি জানায়। 

সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন যৌথভাবে ডিভিশন বেঞ্চে বসবেন। তারা হাইকোর্টের মূল ভবনের ২৩ নম্বর কক্ষে নির্ধারিত তারিখে বেলা ১১টা ৪০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করবেন।

এ সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও মানি লন্ডারিং আইন সংশ্লিষ্ট মামলা, জরুরি ফৌজদারি মোশন, ফৌজদারি আপিল ও জামিন সংক্রান্ত আবেদনপত্র, জেল আপিল, রিভিশন এবং অন্যান্য ফৌজদারি বিবিধ মামলার শুনানি হবে। এছাড়া, বেঞ্চে স্থানান্তরিত বিষয়গুলোতেও শুনানি ও আদেশ দেওয়া হবে।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিএই

সম্পর্কিত নিবন্ধ