Samakal:
2025-06-16@08:21:03 GMT

বাঁচানো গেল না বাবুল কাজীকে

Published: 20th, January 2025 GMT

বাঁচানো গেল না বাবুল কাজীকে

রাজধানীর বনানীর বাসায় গ্যাস লাইটার বিস্ফোরণে দগ্ধ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজী (৫৯) মারা গেছেন। রোববার বিকেলে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার রাত ৮টা থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন তিনি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, পোশাক ব্যবসায়ী বাবুল কাজী বনানীর ২৩ নম্বর সড়কের ১০৯ নম্বর বাড়ির চারতলায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। শনিবার ভোরে বাসার বাথরুমে ঢুকে ধূমপান করার জন্য লাইটার জ্বালিয়েছিলেন তিনি। সে সময় বিকট শব্দের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বাবুল পড়ে যান এবং দগ্ধ হন। এ অবস্থায় কোনো রকমে বাথরুমের দরজা খোলেন তিনি। বিকট শব্দ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বাথরুমের সামনে গিয়ে দেখেন, তাঁর প্রায় পুরো শরীর দগ্ধ হয়েছে।

বাবুল কাজীর বড় বোন নজরুলসংগীত শিল্পী খিলখিল কাজী জানান, তিনিও বনানীতে বসবাস করেন। ভাই দগ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে তিনি ছুটে যান বাসায়। এর পর দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাঁকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

তিনি বলেন, ‘শীতের কারণে সবাই দরজা-জানালা বন্ধ করেই রাখে। বাথরুমের ভেতরেও আবদ্ধ ছিল। ফলে সেখানে গ্যাস লাইটার জ্বালানোর পরই বিস্ফোরণ হয়।’

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.

শাওন বিন রহমান বলেন, বাবুলের শ্বাসনালিসহ শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মাথা, মুখমণ্ডল, বুক, পেট, পিঠ ও হাত পুড়ে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। রাতে অবস্থার আরও অবনতি হলে ৮টায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। রোববার বিকেলে তাঁর ইজিসি ফ্ল্যাট আসছিল, পালস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ রাতে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ সোমবার বাদ জোহর বনানী সোসাইটি মসজিদে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরে দাফন করা হতে পারে তাঁকে।

আবৃত্তিকার কাজী সব্যসাচী ও উমা কাজীর দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বাবুল কাজী ছোট। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র র অবস থ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডন বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: মঈন খান

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বৃটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এরআগে সকালে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক। বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে আবদুল মঈন খান, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মঈন খান বলেন, আজকের বাংলাদেশের যে সার্বিক পরিস্থিতি; বিশেষ করে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকে যে আলোচনা হয়েছে- তার প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশের জিওপলিটিক্যাল অবস্থান ও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক- এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৃটিশ হচ্ছে গণতন্ত্রের সূতিকাগার। ওরা সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাইবে না তো, কে চাইবে? এখানে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না।

নির্বাচন নিয়ে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনারা তো জানেন, আমাদের কথা এখন একটাই। বাংলাদেশের মানুষের যে ইচ্ছার প্রতিফলন, দেশের নতুন প্রজন্ম, যারা দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের ভোট দিতে পারেনি। দেশের কোটি কোটি মানুষ, ১২ কোটি ভোটার বলা হচ্ছে- তারা ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ। ভোটের ব্যাপারে যখন নিশ্চিত ইঙ্গিত সরকারের পক্ষ থেকে আসে, বলা হয় যে- নির্বাচন কমিশন দেশবাসীকে জানাবে ভোটের তারিখ। তখন তো দেশের মানুষ উচ্ছ্বাস হয়ে যায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ