নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি আহত
Published: 24th, January 2025 GMT
মিয়ানমার থেকে গরু আনতে গিয়ে পৃথক মাইন বিস্ফোরণে তিন বাংলাদেশি গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আলী হোসেনের (৪০) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকাল ৬টায় মিয়ানমার সংলগ্ন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় সেখানকার বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা মাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন আশারতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় সীমান্তের আরেক পয়েন্ট জামছড়ি এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে স্থানীয় আরিফ উল্লাহ (৩০) গুরুতর আহত হন। তিনি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া উপজেলার দোছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো.
স্থানীয়রা জানান, আলী হোসেনসহ কয়েকজন চোরাকারবারি সীমান্তের ৪৭ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে ২-এস পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়। পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহত আলী হোসেনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে দুই জন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছে।
জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু।
প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হয়। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতারা এসব কাজে জড়িত। চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে তেলবাহী ট্রেনের চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত
চট্টগ্রামে তেল পরিবহনে নিয়োজিত একটি ট্রেনের চারটি ওয়াগন লাইনচ্যুত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে নগরের সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাতেই উদ্ধারকাজ শুরু হলেও আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত লাইনচ্যুত সব ওয়াগন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, জ্বালানি তেল বহনে ব্যবহৃত ট্যাংক ওয়াগনগুলো খালি ছিল। এগুলো তেল নেওয়ার জন্য নগরের চিটাগং গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে নগরের নিউমুরিং এলাকার তেল কারখানাগুলোতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সল্টগোলার এমবিপি গেট এলাকায় ওয়াগন চারটি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার পর এগুলো উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হয়েছে। তবে শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত চারটি ট্যাংকের মধ্যে দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুটি উদ্ধারে কাজ চলমান। রেলের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিউমুরিং এলাকা থেকে তেলবাহী ট্যাংকগুলো চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও দোহাজারী, সিলেট ও রংপুর পাঠানো হয়।
নগরের নিউমুরিং স্টেশনের স্টেশনমাস্টার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সিজিপিওয়াই থেকে রাতে ট্যাংক ওয়াগনগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তেল ভরার জন্য। দুপুরে তেল নেওয়ার পর বিকেলে গন্তব্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। এখন উদ্ধারে কাজ চলছে।
এর আগে ১৯ জুন চট্টগ্রাম নগরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানিবাহী একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছিল। ওই দিন দুপুরে নগরের আমিন জুট মিল থেকে অক্সিজেন সেকশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে এই লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে ছিল প্রায় চার ঘণ্টা। চট্টগ্রাম নগর থেকে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছিল ট্রেনটি। চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশন ছেড়ে হাটহাজারীর উদ্দেশে যাওয়ার পথে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। আট দিনের ব্যবধানে আবার জ্বালানি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।