জার্মানভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের বাজারে চার ধরনের নতুন সিমেন্ট নিয়ে এসেছে। এগুলো প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ব্র্যান্ড স্ক্যান সিমেন্ট ও রুবি সিমেন্টের নামে বাজারজাত  করা হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই চার পণ্যের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) টেরেন্স অং কিয়ান হক; বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক সামির জাকারিয়া; জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো.

আশরাফুল আলম ও ও মো. শাহনেওয়াজ হোসেন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মঞ্জুরসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পণ্যবিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, পরিবেশক ও ব্যবসায়িক অংশীদারেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আয়োজকেরা জানান, চারটি নতুন সিমেন্টের মধ্যে স্ক্যান সিমেন্ট ব্র্যান্ডের দুটি পণ্য হলো ‘স্ক্যান পিসিসি ম্যাক্স ৫২.৫’ ও ‘স্ক্যান ইভোবিল্ড’। আর রুবি ব্র্যান্ডের সিমেন্টগুলো হচ্ছে ‘রুবি পিসিসি ম্যাক্স’ ও ‘রুবি এসআরসি'। ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বে আধুনিক ও টেকসই নির্মাণসামগ্রী তৈরি করে আসছে। উদ্ভাবন ও উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় এবং ক্রমবর্ধমান বাজারে গ্রাহকের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ধরনের সিমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মঞ্জুর। এতে তিনি বলেন, বছরে মোট বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের প্রায় ৩৭ শতাংশ আসে নির্মাণশিল্প থেকে। আর ৬ থেকে ৮ শতাংশ আসে সিমেন্ট উৎপাদন থেকে। তাই বিশ্বজুড়ে এখন লক্ষ্য হচ্ছে লো-কার্বন ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার।

হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের এমডি জনার টেরেন্স অং কিয়ান হক বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো ২০০৪ সালে পিপিসি সিমেন্ট আনে হাইডেলবার্গ। এতে দেশে শিল্পের ধরনই বদলে যায়। এখন দেশে উৎপাদিত মোট সিমেন্টের ৯৫ শতাংশই পিপিসি। হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে প্রথম সিমেন্ট কোম্পানি, যারা সম্পূর্ণ রবোটিক প্যাকিং লাইন চালু করেছে। এর ফলে ব্যাগ ফাটার ঝুঁকি ও দূষণ কমে এবং কর্মীদের নিরাপত্তা বাড়ে।

হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক সামির জাকারিয়া বলেন, ‘বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে আমাদের প্রায় ৫১ হাজার কর্মী কাজ করছেন। সিমেন্ট, অ্যাগ্রিগেট আর রেডিমিক্স মিলিয়ে আমাদের তিন হাজারের বেশি প্লান্ট রয়েছে। এ ছাড়া দেশে আমাদের নিজস্ব কংক্রিট ইউনিট আছে। দেশে আমাদের দুশোর বেশি পরিবেশক রয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের মোট সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন।’

নতুন চারটি সিমেন্ট পণ্যের বিশেষত্ব তুলে ধরেন হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল আলম ও মো. শাহনেওয়াজ হোসেন। এ–সংক্রান্ত প্রবন্ধে তাঁরা বলেন, স্ক্যান সিমেন্ট ব্র্যান্ডের ইভোবিল্ড সিমেন্ট ৫০ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ করে এবং নির্মাণের শক্তি ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে। আর রুবি এসআরসি সিমেন্টটি বাংলাদেশের প্রথম সালফেট রেজিস্টিং ব্লাস্ট ফার্নেস সিমেন্ট, যা উপকূলীয় ও লবণাক্ত এলাকার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের বাজারে হাইডেলবার্গ টেরিয়ালসের চার ধরনের নতুন সিমেন্ট আসছে

জার্মানভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের বাজারে চার ধরনের নতুন সিমেন্ট নিয়ে এসেছে। এগুলো প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ব্র্যান্ড স্ক্যান সিমেন্ট ও রুবি সিমেন্টের নামে বাজারজাত  করা হবে।

আজ শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই চার পণ্যের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) টেরেন্স অং কিয়ান হক; বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক সামির জাকারিয়া; জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল আলম ও ও মো. শাহনেওয়াজ হোসেন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মঞ্জুরসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পণ্যবিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী, পরিবেশক ও ব্যবসায়িক অংশীদারেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আয়োজকেরা জানান, চারটি নতুন সিমেন্টের মধ্যে স্ক্যান সিমেন্ট ব্র্যান্ডের দুটি পণ্য হলো ‘স্ক্যান পিসিসি ম্যাক্স ৫২.৫’ ও ‘স্ক্যান ইভোবিল্ড’। আর রুবি ব্র্যান্ডের সিমেন্টগুলো হচ্ছে ‘রুবি পিসিসি ম্যাক্স’ ও ‘রুবি এসআরসি'। ১৫০ বছরের বেশি সময় ধরে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বে আধুনিক ও টেকসই নির্মাণসামগ্রী তৈরি করে আসছে। উদ্ভাবন ও উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতায় এবং ক্রমবর্ধমান বাজারে গ্রাহকের চাহিদা পূরণে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এই ধরনের সিমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মঞ্জুর। এতে তিনি বলেন, বছরে মোট বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের প্রায় ৩৭ শতাংশ আসে নির্মাণশিল্প থেকে। আর ৬ থেকে ৮ শতাংশ আসে সিমেন্ট উৎপাদন থেকে। তাই বিশ্বজুড়ে এখন লক্ষ্য হচ্ছে লো-কার্বন ও পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার।

হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের এমডি জনার টেরেন্স অং কিয়ান হক বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো ২০০৪ সালে পিপিসি সিমেন্ট আনে হাইডেলবার্গ। এতে দেশে শিল্পের ধরনই বদলে যায়। এখন দেশে উৎপাদিত মোট সিমেন্টের ৯৫ শতাংশই পিপিসি। হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে প্রথম সিমেন্ট কোম্পানি, যারা সম্পূর্ণ রবোটিক প্যাকিং লাইন চালু করেছে। এর ফলে ব্যাগ ফাটার ঝুঁকি ও দূষণ কমে এবং কর্মীদের নিরাপত্তা বাড়ে।

হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের বিক্রয় ও বিপণন পরিচালক সামির জাকারিয়া বলেন, ‘বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে আমাদের প্রায় ৫১ হাজার কর্মী কাজ করছেন। সিমেন্ট, অ্যাগ্রিগেট আর রেডিমিক্স মিলিয়ে আমাদের তিন হাজারের বেশি প্লান্ট রয়েছে। এ ছাড়া দেশে আমাদের নিজস্ব কংক্রিট ইউনিট আছে। দেশে আমাদের দুশোর বেশি পরিবেশক রয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের মোট সিমেন্ট উৎপাদন ক্ষমতা বছরে ৩ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন।’

নতুন চারটি সিমেন্ট পণ্যের বিশেষত্ব তুলে ধরেন হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মো. আশরাফুল আলম ও মো. শাহনেওয়াজ হোসেন। এ–সংক্রান্ত প্রবন্ধে তাঁরা বলেন, স্ক্যান সিমেন্ট ব্র্যান্ডের ইভোবিল্ড সিমেন্ট ৫০ শতাংশ কম কার্বন নিঃসরণ করে এবং নির্মাণের শক্তি ও স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে। আর রুবি এসআরসি সিমেন্টটি বাংলাদেশের প্রথম সালফেট রেজিস্টিং ব্লাস্ট ফার্নেস সিমেন্ট, যা উপকূলীয় ও লবণাক্ত এলাকার জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ