ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
Published: 26th, January 2025 GMT
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২০২৫ সালের ব্যবস্থাপক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিগত বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে ২০২৫ সালের ব্যবসার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৌশল নির্ধারণ করা হয়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন।
এ সময় ব্যাংকের ২৪২ টি শাখার ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী, বিভাগীয় প্রধান এবং ক্লাস্টার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো.
যেসব শাখা-ব্যবস্থাপকরা ২০২৪ সালের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেননি, তারা ২০২৫ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সর্ববৃহৎ অনলাইন ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ফাস্ট ট্রাক, এটিএম, রকেট, এজেন্ট ব্যাংকিং, পিওএস টার্মিনাল, কিউআর কোড এবং নেক্সাস পে নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে ব্যাংকের ব্যবসা বাড়াতে অধিক মনোযোগী হওয়ার জন্য তিনি শাখা ব্যবস্থাপকদের প্রতি আহ্বান জানান এবং গ্রাহকসেবার মানোন্নয়নের জন্যও নির্দেশনা দেন।
সকল শাখা ব্যবস্থাপকরা তাদের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন এবং ২০২৫ সালের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় অঙ্গীকার করেন।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ২০২৫ স ল র ব র ব যবস থ ক র ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়: আইন উপদেষ্টা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সরকার গঠিত কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, তাঁর কাছে মনে হয়েছে, অবশ্যই কিছু কিছু জায়গায় অধ্যাদেশটির পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। এ নিয়ে আজ বিকেলে পর্যালোচনা কমিটি বৈঠকে বসবে।
আজ সোমবার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি তখন (অধ্যাদেশটি অনুমোদনের সময়) বিদেশে ছিলাম। আমি আইনটি প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম না। তো পরবর্তীকালে যখন আমি আইনটি দেখেছি, তারপর আমার কাছে মনে হয় যে, অবশ্যই এটা পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়।’
আরও পড়ুনসচিবালয়ে আবারও বিক্ষোভ কর্মচারীদের৩৪ মিনিট আগেসরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশটি করেনি বলে উল্লেখ করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, তিনি শুধু একটা কথা বলতে পারেন, সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইনটি করেনি। অসৎ উদ্দেশ্যে করা না হলেও কোনো আইনে এমন বিধান থাকতে পারে, যেটা যাঁরা আইনের সাবজেক্ট, তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, তাঁরা বিড়ম্বনা ও হয়রানির শিকার হতে পারেন।
এ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘সেটি আমরা স্বীকার করি যে, এ রকম সম্ভাবনা এই আইনে থাকতে পারে।’
পর্যালোচনা কমিটির প্রধান আইন উপদেষ্টা জানান, কমিটি আজ বিকেল চারটায় বৈঠকে বসে সরকারি কর্মচারীরা যেসব দাবি দিয়েছেন, সেগুলোর কী কী বিবেচনা করা হবে, কীভাবে করা হবে, তা ঠিক করা হবে। ঠিক করার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কমিটি একটি প্রতিবেদন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তুলবে। কমিটি শুধু প্রতিবেদন দেবে। কমিটি সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক না।
এ রকম পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধরে কর্মসূচি দেওয়ার জন্য আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ জানান আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কমিটির কাজ যদি পছন্দ না হয়, তাহলে (কর্মসূচি) দেন। সরকারি কাজে যেন ব্যাঘাত না হয়, সেটি লক্ষ্য রাখার জন্য কর্মচারীদের প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তাঁরা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।
ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার এক দিন পর আজ সোমবার আবার সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। বিক্ষোভ শেষে আজ সরকারের আরও তিন উপদেষ্টার কাছে তাঁদের স্মারকলিপি দেওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার ঈদের ছুটি শুরু আগে আগে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে। অধ্যাদেশটি বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে এ কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশীদ।