চাঁপাইনবাবগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জোবদুল হক মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবেটিস ও প্যারালাইসিস রোগে ভুগছিলেন।
সাংবাদিক জোবদুল হক শিবগঞ্জ উপজেলার ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের বহলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক বার্তা দিয়ে ১৯৮৪ সালে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পেশাগত দীর্ঘ জীবনে তিনি বাংলার বাণী ও যুগান্তরে কাজ করেছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জোবদুল হক স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় সত্রাজিতপুর কেন্দ্রীয় গোরস্থানে নামাজে জানাজা শেষে সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
আরো পড়ুন:
সাংবাদিক তুরাব হত্যা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা দস্তগীর বরখাস্ত
চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুপথযাত্রী সাংবাদিক এম সুলতান
ঢাকা/শিয়াম/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দৃষ্টিহীন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নুরুল আমিন সর্দার (৭০) নামে দৃষ্টিহীন এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শনিবার (১৪ জুন) রাতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুরে র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মিঠুন কুমার কুণ্ডু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে মাকছুদ (২৪) ও একই এলাকার মনিরের ছেলে আলমগীর (২৩)।
আরো পড়ুন:
মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
বগুড়ায় বাল্য বিয়ে দিতে না চাওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
মামলার বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, গত ৭ এপ্রিল রাতে পূর্বশত্রুতার জেরে মাকছুদ ও আলমগীর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দৃষ্টিহীন বৃদ্ধ নুরুল আমিনের ছেলে বজলুর রহমান ভুলুকে (৩০) মারধর করেন। ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনে তার বাবা নুরুল আমিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থলে যান। এসময় তাকেও মারধর করা হয়। আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে নিলে নুরুল আমিনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বজলুর রহমান বাদী হয়ে গত ১০ এপ্রিল কমলনগর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও নাম না জানা ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকেই আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার রাতে নোয়াখালী জেলার কবিরহাট থানাধীন ঘোষবাদ ইউনিয়নের রামবল্লভপুর গ্রাম থেকে মামলার এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামি মাকছুদকে ও কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন বসুরহাট পৌরসভার সামনে থেকে ৬ নম্বর আসামি আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ