গত বছর লোকসান করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশ
Published: 28th, January 2025 GMT
গত বছর লোকসান করেছে হোম ইলেকট্রনিকস পণ্য প্রস্তুত ও বাজারজাতকারী বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ। গেল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত প্রান্তিকে কোম্পানিটি তুলনামূলক বেশি লোকসান করেছে। একই সময়ে একই ধরনের দেশীয় কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেকের মুনাফা বেড়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিঙ্গারের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালে নিট প্রায় ৪৯ কোটি টাকা বা শেয়ারপ্রতি ৪ টাকা ৯১ পয়সা লোকসান হয়েছে। আগের বছর ২০২৩ সালে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ২৪ পয়সা মুনাফা ছিল। বড় লোকসান সত্ত্বেও পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে সিঙ্গার।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের লোকসানের ইতিহাস নেই। তবে ২০২২ সালে মুনাফা কমায় ওই বছর ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়। গত বছরও কোম্পানিটি ৩৫ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
লোকসানের কারণ ব্যাখ্যায় সিঙ্গার বাংলাদেশ জানিয়েছে, গত বছর সুদ ব্যয় ১৩৭ শতাংশ বেড়ে ১৪৩ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল; যা আগের বছর ছিল ৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায়ও ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। প্রকাশিত আর্থিক হিসাব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত বছর শুধু এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মুনাফা হয়েছে। ওই প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২ টাকা ৫৮ পয়সা মুনাফা হয়। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ৪২ পয়সা লোকসান করেছে।
এদিকে সিঙ্গার লোকসান করলেও দেশীয় ওয়ালটন হাইটেক অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ৫ টাকা ১৩ পয়সা মুনাফা করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ৫৬ পয়সা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।
বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।