বিশ্ব ইজতেমায় দুই দিনে ৩ মুসল্লির মৃত্যু
Published: 1st, February 2025 GMT
বিশ্ব ইজতেমায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ময়দানে জানাজা শেষে নিজ নিজ পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
মারা যাওয়া তিন মুসল্লি হলেন- খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া বাজার গ্রামের লোকমান হোসেন গাজীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি থানার রানী মিমুল এলাকার মো.
তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমার শুরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
তিনি জানান, জুমার নামাজ আদায় করার জন্য কুদ্দুস গাজী গোসল করতে গেলে গোসল অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে বেলা ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। এরপর শুক্রবার বিকেলে সাবেদ আলী ৪৬নং খিত্তায় ষ্ট্রোক করে মারা যায়। সর্বশেষ গতকাল দিবাগত রাতে ইয়াকুব আলী ময়দানে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের ইজতেমায় এসে (অর্থাৎ আগত মুসল্লি) যারা ইন্তেকাল করেন- আমরা কেবল তাদের মৃত্যুর সংখ্যাই কাউন্ট করি। অনেকে, লাশ বাহির থেকে ময়দানে জানাজার উদ্দেশ্যে আনেন। তা আমাদের ইজতেমার আগত মুসল্লিদের মৃত্যুর সংখ্যার ভেতরে যুক্ত হবে না।
ইজতেমার আয়োজকরা জানান, আগামীকাল আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে প্রথম পর্বের আয়োজন। এ ধাপে অংশগ্রহণ করছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। জুবায়েরপন্থিদের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা চলবে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মুসল্লিরা। এরপর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাদপন্থিদের ইজতেমা। অন্যদিকে ইজতেমায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা/রেজাউল/ইমন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ইজত ম ইজত ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত