বিশ্ব ইজতেমায় শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত মোট তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। ময়দানে জানাজা শেষে নিজ নিজ পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

মারা যাওয়া তিন মুসল্লি হলেন- খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার ডুমুরিয়া বাজার গ্রামের লোকমান হোসেন গাজীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস গাজী (৬০), শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি থানার রানী মিমুল এলাকার মো.

আব্দুল্লাহ ছেলে ছাবেত আলী (৭০) ও হবিগঞ্জের বাহুবল থানার রাগবপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী (৬০)। 

তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমার শুরায়ে নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

তিনি জানান, জুমার নামাজ আদায় করার জন্য কুদ্দুস গাজী গোসল করতে গেলে গোসল অবস্থায় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। পরে বেলা ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি মারা যান। এরপর শুক্রবার বিকেলে সাবেদ আলী ৪৬নং খিত্তায় ষ্ট্রোক করে মারা যায়। সর্বশেষ গতকাল দিবাগত রাতে ইয়াকুব আলী ময়দানে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। 

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইজতেমায় এসে (অর্থাৎ আগত মুসল্লি) যারা ইন্তেকাল করেন- আমরা কেবল তাদের মৃত্যুর সংখ্যাই কাউন্ট করি। অনেকে, লাশ বাহির থেকে ময়দানে জানাজার উদ্দেশ্যে আনেন। তা আমাদের ইজতেমার আগত মুসল্লিদের মৃত্যুর সংখ্যার ভেতরে যুক্ত হবে না। 

ইজতেমার আয়োজকরা জানান, আগামীকাল আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে প্রথম পর্বের আয়োজন। এ ধাপে অংশগ্রহণ করছেন ৪১ জেলা ও ঢাকার একাংশের মুসল্লিরা। জুবায়েরপন্থিদের দ্বিতীয় ধাপের ইজতেমা চলবে ৩ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই ধাপে অংশ নেবেন ২২ জেলা ও ঢাকার বাকি অংশের মুসল্লিরা। এরপর ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে সাদপন্থিদের ইজতেমা। অন্যদিকে ইজতেমায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

ঢাকা/রেজাউল/ইমন 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ইজত ম ইজত ম য়

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা

পটুয়াখালীতে কুলসুম বেগম ও মোসা. সাহিদা বেগম নামের দুই নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে। আজ শুক্রবার বেলা একটার দিকে সদর উপজেলার মাদারবুনিয়া ইউনিয়নের চারাবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত আল আমিন (২৭) সম্পর্কে নিহত সাহিদা বেগমের সৎছেলে এবং বৃদ্ধা কুলসুম বেগমের নাতি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত দুই নারীর স্বজন মো. আশ্রাফ খাঁ জানান, আল আমিন দীর্ঘদিন ধরে অস্বাভাবিক চলাফেরা করছেন। এরপর তাঁর পরিবার তাঁকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। দুপুরে আল আমিনের বাবা রাজ্জাক খাঁ পাশের একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গেলে আল আমিন দা দিয়ে গলা কেটে তাঁর সৎমা সাহিদা বেগম ও বৃদ্ধ দাদি কুলসুম বেগমকে হত্যা করেন।

বাহাদুর আলম খাঁ (৫০) নামের এক আত্মীয় বলেন, নিহত সাহিদা সম্পর্কে তাঁর চাচিশাশুড়ি এবং কুলসুম বেগম দাদিশাশুড়ি। দুপুরে বাড়ির সবাই জুমার নামাজ পড়তে গেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট ছেলে আল আমিন রান্নার কাজে ব্যবহৃত ধারালো দা দিয়ে প্রথমে সৎমা এবং পরে দাদিকে গলা কেটে হত্যা করেন। তিনি বলেন, আল আমিন মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তিন বছর আগে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে যান। সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসক দেখালেও সুস্থ হননি।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, দুই নারীকে হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ঘটানো ব্যক্তি ওই পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত তরুণ এখন পলাতক। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন কি না, তদন্ত করে দেখা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যান্টার্কটিকায় বিরল স্কুইডের সন্ধান
  • পানিতে ভাসছিল ২২ দিনের শিশুর মৃতদেহ, ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন মা
  • বাঁধন কাঁদলেন, কিন্তু কেন...
  • মামাত বোনকে ধর্ষণ-হত্যা করে নিখোঁজের গল্প সাজায় নয়ন: পুলিশ
  • আমাদের যত ঘুঘু 
  • বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচের নিয়ম পাল্টাচ্ছে এমসিসি
  • কমিটি নেই, সবাই নেতা
  • কোরবানির গরু কেনার আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিতে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যা করা হয়
  • শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছেন মিরাজ-শান্তরা
  • পটুয়াখালীতে সৎমা ও দাদিকে গলা কেটে হত্যা