আমাদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে: আরিফুল হক
Published: 8th, February 2025 GMT
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আমাদের সবার চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, অপরাধী কারো বন্ধু হতে পারে না। অপরাধীদের স্থান এদেশে হবে না।”
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ময়নাবাদ জাহানারা চৌধুরী উইমেন্স কলেজ মাঠে ‘ইসলামের আলোকে নারী শিক্ষা আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মামুনুর রশীদ চৌধুরী ব্রিটেনের অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়েও মানবতার সেবায় বারবার ছুটে আসেন চুনারুঘাটে। তিনি মূলত নারীদের সুশিক্ষার আলো ছড়াতে নিজের পকেটের অর্থ ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমার বিশ্বাস, আজকের এই উইমেন্স কলেজটি একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে। এই এলাকায় এতো বড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসলেই প্রশংসনীয়। এর সমস্ত প্রশংসার দাবি রাখেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশীদ চৌধুরী।”
আরো পড়ুন:
শাহজাদপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
সমালোচনা করব, কিন্তু সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না: রিজভী
জাহানারা চৌধুরী উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ইলিয়াছ বখত চৌধুরী জালালের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক এহতেরামুল হক সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জাহানারা উইমেন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, সিলেট জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা ছায়েম আহমেদ চৌধুরী, প্রভাষক এনামুল হক চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানা, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইদ্রিস আলী, চুনারুঘাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক উদ্দিন চৌধুরী।
ঢাকা/মামুন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ কল জ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা
ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।
গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’
ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’