বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশে নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে আমাদের সবার চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, অপরাধী কারো বন্ধু হতে পারে না। অপরাধীদের স্থান এদেশে হবে না।”

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার ময়নাবাদ জাহানারা চৌধুরী উইমেন্স কলেজ মাঠে ‘ইসলামের আলোকে নারী শিক্ষা আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, মামুনুর রশীদ চৌধুরী ব্রিটেনের অনেক বড় ব্যবসায়ী হয়েও মানবতার সেবায় বারবার ছুটে আসেন চুনারুঘাটে। তিনি মূলত নারীদের সুশিক্ষার আলো ছড়াতে নিজের পকেটের অর্থ ও মূল্যবান সময় ব্যয় করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমার বিশ্বাস, আজকের এই উইমেন্স কলেজটি একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে। এই এলাকায় এতো বড় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আসলেই প্রশংসনীয়। এর সমস্ত প্রশংসার দাবি রাখেন এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশীদ চৌধুরী।”

আরো পড়ুন:

শাহজাদপুরে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০

সমালোচনা করব, কিন্তু সরকারকে ব্যর্থ হতে দেব না: রিজভী

জাহানারা চৌধুরী উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ইলিয়াছ বখত চৌধুরী জালালের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক এহতেরামুল হক সোহাগের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জাহানারা উইমেন্স কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশীদ চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, সিলেট জালালাবাদ টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা ছায়েম আহমেদ চৌধুরী, প্রভাষক এনামুল হক চৌধুরী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানা, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইদ্রিস আলী, চুনারুঘাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক উদ্দিন চৌধুরী।

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ কল জ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ