রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১৩ বছর পর কোনও টেস্ট সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া। সর্বশেষ ২০১১ সালের আগস্টে শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতেছিল অসজিরা। স্বাগতিকদের দেওয়া ৭৫ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১ উইকেট খুইয়ে পৌঁছে যায় স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ জিতে ২০০৬ সালের পর আবারও উপমহাদেশের মাটিতে কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ করল তারা। একই সাথে কাপ্তান স্মিথ স্পর্শ করলেন একটি মাইলফলক। 

রবিবার স্লিপে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচ নিয়ে স্মিথ টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে (উইকেটকিপার ছাড়া) ২০০ ক্যাচের মাইলফলক ছুঁলেন। তিনি একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান, যিনি এই মাইলফলকে ছুঁতে পেরেছেন। অবসরপ্রাপ্ত ক্রিকেটারদের মধ্যে ভারতীয় ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় (২১০টি) ক্যাচ নিয়ে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। ২০৫ ক্যাচ নিয়ে শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনেও আছেন স্মিথের উপরে। আর সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার দক্ষিন আফ্রিকার জ্যাক ক্যালেসের ক্যাচ সংখ্যা স্মিথের সমান ২০০টি।

আরো পড়ুন:

‘দশ হাজারি’ ক্লাবে স্টিভেন স্মিথ

ভারতে সিরিজ জয় অ্যাশেজ জেতার থেকেও বড়: স্মিথ 

 

কেবল মাত্র দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের জো রুট ২০৭টি ক্যাচ নিয়েছেন এবং এখনও খেলে যাচ্ছেন। স্মিথ বাকিদেরকে পেছেনে ফেলাটা হয়ত সময়ের ব্যাপার, তবে বয়সের বাস্তবতায় রুটকে হটিয়ে শীর্ষস্থানটা কখনও নিতে পারবে কিনা সেই ব্যাপারে আছে সন্দেহ। তাছাড়া প্রতি ক্রিকেট বর্ষেই সর্বোচ্চ সংখ্যক টেস্ট ম্যাচ খেলে ইংলিশরা।  স্মিথ এবং রুট, দুজনেরই টেস্টে সেঞ্চুরি ৩৬টি করে। তাই শতক নিয়েও একটা অলিখিত লড়াই বজায় থাকবে দুজনের মাঝে।      

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক

২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।

রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।

রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’

২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুই হাজারি ক্লাবে গিয়ে মিরাজের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
  • এবার হাজার কোটি টাকার মুনাফার ক্লাবে সিটি ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক