ভারত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত: মামুনুল হক
Published: 9th, February 2025 GMT
ভারত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক। গতকাল শনিবার রাতে পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মামুনুল হক অভিযোগ করেন, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য ভারত আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে অব্যাহতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এর নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি, বরং তাঁকে আবার বাংলাদেশে পুনর্বাসন করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। তিনি ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব রকমের অপতৎপরতা পরিহার করার আহ্বান জানান।
গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর ফ্যাসিবাদের দোসররা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন খেলাফত মজলিশের আমির। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। তিনি বলেন, এখন সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা ও সব সহিংসতার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো। চলমান আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে একটি সহিংস পরিবেশ তৈরি করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ঐক্য অটুট রাখা জরুরি, ফ্যাসিবাদ ফিরে এলে কেউই রেহাই পাবে না: এবি পার্টি
আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাইয়ের পক্ষের শক্তিদের আত্মঘাতী সংঘাতে জড়ানোর সুযোগ নেই। মত ও পথ ভিন্ন হতে পারে, সমালোচনাও হবে, তবে ফ্যাসিবাদের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে ঐক্য অটুট রাখা জরুরি। কারণ, ফ্যাসিবাদ ফিরে এলে জুলাই আন্দোলনের পক্ষে থাকা কেউই রেহাই পাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে দলীয় কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে জুলাই–২৪ গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানেই মজিবুর রহমান এ কথাগুলো বলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যদি জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল না হতো তাহলে আমাদের কারাগারে কাটাতে হতো, নেমে আসত অবর্ণনীয় নির্যাতন। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা লাশের স্তূপ তৈরি করেছিল, তারা পেত রাষ্ট্রীয় খেতাব।’
গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতাসহ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের ফলেই সফল হয়েছে জানিয়ে মজিবুর রহমান বলেন, সবার অবদানকেই স্বীকৃতি দিতে হবে। এটা নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। অনেক কিছুই পাইনি। তবে স্বাধীনভাবে যে কথা বলছি, লিখছি, বক্তব্য দিচ্ছি, সেটা গণ-অভ্যুত্থানেরই ফসল।
সংবর্ধনা পাওয়া জুলাই যোদ্ধা আসিফ বলেন, ‘আমার পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে পুলিশ গুলি করেছে। মনে হচ্ছিল মৃত্যু উপত্যকায় পড়ে আছি। এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক টুটুল ভাই আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।’
আরেক জুলাই যোদ্ধা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘১৮ জুলাই আমি ছিলাম ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। পুলিশ ছিল দুই পাশে। আমরা ছিলাম ৬ জন। কিন্তু তারা (পুলিশ) ছিল ৮৬ জন। ওই দিন জীবিত ফিরব কখনো কল্পনা করিনি।’
অনুষ্ঠানে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আতিকুর রহমান, রহমত উল্লাহ, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির, শাখাওয়াত হোসেন, আকিব হাসান, আশরাফুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, হেদায়েত উল্লাহ, রোমান মিয়া, সিফায়েত হোসাইন, মোহাম্মদ হোসাইন আহমেদ, মোহাম্মদ আমিন, নাবিল, মুস্তাফিজ বিল্লাহ হাবিবী, হাবিবুর রহমান, ফয়েজ আকাশ, নুরুল হুদা, ইকবাল হোসেন, রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব মিনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল। দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এবি পার্টির নেতা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুব পার্টির সদস্যসচিব হাদিউজ্জামান খোকন প্রমুখ।