সিনেমা হলে আবেগে ভাসলেন শতাধিক রিকশাচালক
Published: 11th, February 2025 GMT
দরিদ্র সংসারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তাঁর বাবা হঠাৎ একদিন অসুস্থ হলে সবকিছু পাল্টে যায়। বাধ্য হয়ে রাস্তায় রিকশা নিয়ে বের হয় মেয়েটিকে। তাঁকে সম্মুখীন হতে হয় নানা জটিলতার- এমন গল্পে পরিচালক অমিতাভ রেজা নির্মাণ করেছেন ‘রিকশা গার্ল; সিনেমা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জের লায়ন সিনেমা হলে শতাধিক রিকশাচালক নিয়ে বিশেষ স্ক্রিনিং করা হয়। সিনেমা দেখে আবেগে ভাসেন সব বয়সী রিকশাচালক।
তাঁরা জানান, কখনও ভাবেননি তাঁদের শ্রম কষ্টগুলো এভাবে সিনেমার পর্দায় উঠে আসবে। এর ফলে তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের সহমর্মিতা তৈরি হবে।
‘রিকশা গার্ল’র বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গের চিফ কনটেন্ট অফিসার মুশফিকুর রহমান, কনটেন্ট হেড আলী হায়দার, সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা নভেরাসহ আরও অনেকে।
নভেরা বলেন, যাদের গল্প আমি সিনেমায় তুলে ধরেছি, আজ তাদের মধ্যে কিছু মানুষ একত্র হয়ে ‘রিকশা গার্ল’ সিনেমাটি দেখলেন। মনে হচ্ছে আজ আমার পরিশ্রম সার্থক হলো। সিনেমা হলে যখন তারা ছবিটা দেখছিল অনেককিছু রিলেট করতে পারছিল। যেটা সাধারণ অনেক দর্শক বোঝেননি। এই মুহূর্তটা আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মনে হলো আমি নিজের মানুষদের নিয়ে ছবিটা দেখলাম।
বঙ্গ কর্তৃপক্ষ জানায়, যাদের নিরলস পরিশ্রম ও দৃঢ়তা এই সিনেমাটি নির্মাণে সাহস যুগিয়েছে ওটিটিতে মুক্তির আগে তাদের কাছে গল্পটি পৌঁছে দিতে বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সিনেমা হলে মুক্তির পর ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘রিকশা গার্ল’ দেখা যাবে বঙ্গ অ্যাপে। মাত্র ৪৯ টাকার বিনিময়ে সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন দর্শক।
নভেরা ছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে চম্পা, মোমেনা চৌধুরী, নরেশ ভূঁইয়া, অ্যালেন শুভ্র প্রমুখ।
করোনা মহামারির আগেই শেষ হয়েছিল ‘রিকশা গার্ল’র শুটিং। ২০২০ সালে মুক্তির কথা থাকলেও বদলে যায় পরিকল্পনা। দেশে মুক্তি না দিলেও এই দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয় এটি। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারও জিতেছে ‘রিকশা গার্ল’। দেশে সিনেমাটি মুক্তির আগ পর্যন্ত বিশ্বের ৩০টির বেশি আন্তর্জাতিক উৎসবে প্রদর্শনের পাশাপাশি ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ রাজ্যের ৫২টি শহরে এটি প্রদর্শিত হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু
কানাডায় ভোট গ্রহণ শেষে চলছে গণনা। ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল আসতে আরও খানিকটা সময় লাগবে। তবে এরই মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির দল লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। কারণ, দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিবিসি বলেছে, এবার লিবারেল সরকার হতে চলেছে।
কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে লিবারেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে, নাকি তাদের সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে মার্ক কার্নিই যে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন, তা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমাদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকুন। কানাডা সব সময় গর্বিত, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ থাকবে এবং আমরা কখনো ৫১তম অঙ্গরাজ্য হব না।—পিয়েরে পলিয়েভর, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির নেতাপুরোপুরি বদলে যাওয়া এক নির্বাচনী পরিবেশে গতকাল সোমবার ভোট দিয়েছেন কানাডার জনগণ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার ইচ্ছা দেশটিতে নির্বাচনের আগে প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকি কানাডায় দেশপ্রেমের জোয়ার সৃষ্টি করেছে। এমন পরিস্থিতিতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মার্ক কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়।
লিবারেল ১৫৬টি আসনে এগিয়ে আগে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে চাই ১৭২টি আসন। খুব একটা পিছিয়ে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি। দলটি ১৪৭ আসনে এগিয়ে।অথচ যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ ও ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক কথাবার্তা শুরু হওয়ার আগে জরিপে প্রতিদ্বন্দ্বী পিয়েরে পলিয়েভরের কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সামান্য পিছিয়ে ছিল কার্নির লিবারেল দল। ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে আক্রমণাত্মক কথা বলা শুরু করলে কানাডীয়দের মধ্যে দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে এবং জরিপের পূর্বাভাসে হঠাৎ বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
ভোটের দিন সকালেও ট্রাম্প কানাডাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন। ট্রাম্প লিখেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম কাঙ্ক্ষিত অঙ্গরাজ্য হয়, তবে শূন্য শুল্কের সম্মুখীন হবে।
লিবারেল পার্টির সদর দপ্তরে সমর্থকদের উল্লাস