তুরাগ তীরে বড় জামাতে তৃতীয় ধাপের ইজতেমার জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত
Published: 14th, February 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা মাঠে বড় জামাতে অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় ধাপের ইজতেমার জুমার জামাজ। এ ধাপে অংশ নিচ্ছেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। আজ বেলা পৌনে দুইটার দিকে সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদের ইমামতিতে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে তাবলিগ জামাতের মুসল্লি ছাড়াও রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার অসংখ্য মুসল্লি অংশ নেন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আসরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে মাওলানা সাদের অনুসারীদের ইজতেমা শুরু হয়। আজ ভোরে ফজরের নামাজের পর মাওলানা সাত্তারের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার প্রথম দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর ধাপে ধাপে চলে বয়ান।
তাবলিগ জামাতের মুসল্লিতে ভরে যায় ইজতেমা মাঠ। এর মধ্যে ইজতেমার জামাতের সঙ্গে জুমার নামাজ পড়তে আজ বেলা ১১টা থেকেই বিক্ষিপ্তভাবে ইজতেমা মাঠের দিকে আসতে থাকেন রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার সাধারণ মুসল্লিরা। পরে বড় জামাতে তাঁরা নামাজ আদায় করেন। নামাজ শুরু হয় বেলা ১টা ৪৬ মিনিটে। শেষ হয় ১টা ৫৪ মিনিটে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জুমার নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে মুসল্লিরা আসতে থাকেন ইজতেমা মাঠের দিকে। ইজতেমা মাঠের ভেতরে থাকা মুসল্লিরাও নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এর মধ্যেই বেলা ১টা ৪৬ মিনিটে মাইকে ভেসে আসে নামাজের একামত। মুহূর্তেই বন্ধ হয়ে যায় সব ছোটাছুটি। যে যেখানে ছিলেন, বিছানা পেতে দাঁড়িয়ে পড়েন নামাজে। তবে এবার মাঠের ভেতর জায়গা ফাঁকা থাকায় আশপাশের সড়কে মুসল্লিদের তেমন ভিড় ছিল না।
ইজতেমা মাঠের ভেতর মূল বয়ান মঞ্চের পাশে নামাজ পড়েন গাজীপুরের মিরের বাজার এলাকার বাসিন্দা ইয়ানূর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল ইজতেমা মাঠের ভেতরে বড় জামাতে জুমার নামাজ পড়ব। আজ সেই আশা পূরণ হলো। এখন ভালো লাগছে।’
তাবলিগ জামাতের বিবদমান বিরোধের কারণে এবারই প্রথম তিন ধাপে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে গত ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুই ধাপে ইজতেমা পালন করেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। এরপর তৃতীয় ধাপে গতকাল বিকেল থেকে শুরু হয় সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ইজতেমা। এ ইজতেমা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বড় জ ম ত র অন স র অন ষ ঠ ত র ইজত ম ইজত ম র
এছাড়াও পড়ুন:
যে জীবন মানুষের উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়: ববিতা
চিরসবুজ অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। ১৯৫৩ সালের ৩০ জুলাই বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন সত্তরের দশকের অন্যতম সেরা এই অভিনেত্রী। জন্মদিন উপলক্ষে গত বছর একটি সাক্ষাৎকার দেন ববিতা। এ আলাপচারিতায় জীবনবোধ নিয়ে কথা বলেন এই শিল্পী।
জীবন নিয়ে ববিতা বলেন, “যে জীবন মানুষের কোনো উপকারে আসে না, সে জীবন সার্থক নয়। মরে গেলে আমার ছেলে অনিক আমাকে অনেক মিস করবে। একমাত্র ছেলে তো, ওর কথা খুব ভাবি। ভক্তরা আমাকে কতটুকু মনে রাখবেন, জানি না।”
একটি ঘটনা উল্লেখ করে ববিতা বলেন, “এই জীবনে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে। অনেক শিল্পীকে তা দেওয়া হয়নি, হোক তা ভারতে কিংবা বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের মেয়র আজীবন সম্মাননা দিয়েছেন। সেদিন আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ সম্মান দিয়েছেন, ৬ আগস্টকে ‘ববিতা ডে’ ঘোষণা করেছেন। তার মানে আমি বেঁচে না থাকলেও দিনটা উদযাপিত হবে। এটা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।”
আরো পড়ুন:
বধূবেশে অভিষেক কন্যা
জসীম পুত্রের মৃত্যু: ভাই রাহুলের আবেগঘন পোস্ট
মৃত্যুর কথা স্মরণ করে ববিতা বলেন, “তবে কবরে একা থাকার কথা ভাবলে হঠাৎ কেমন যেন লাগে। আরেকটা বিষয়, আমি অনেক দিন বেঁচে থাকতে চাই না। অসুখ–বিসুখে কষ্ট পেয়ে, বিছানায় পড়ে বাঁচতে চাই না। আমি কারো বোঝা হয়ে বাঁচতে চাই না।”
কারণ ব্যাখ্যা করে ববিতা বলেন, “চারপাশে অনেক আত্মীয়স্বজনকে দেখেছি, দিনের পর দিন বিছানায় অসুস্থ হয়ে কষ্ট পেয়েছেন। যারা একা থাকেন, তাদের জন্য এই কষ্ট যেন আরো বেশি। তাই সব সময় এটা ভাবি, কখনোই যেন অন্যের বোঝা না হই।”
সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা ববিতার কখনো ছিল না। পরিচালক জহির রায়হানের ‘সংসার’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেলেও প্রথমে রাজি হননি। পরে মা আর বোনের পীড়াপীড়িতে অভিনয় করেন। তখন তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারফ্লপ হয়।
পরিচালক জহির রায়হান আবারো ‘জ্বলতে সুরজ কে নিচে’ উর্দু সিনেমার নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করতে বললে প্রথমে রাজি হননি ববিতা। তখন বয়স মাত্র ১৪। কিন্তু সিনেমার বেশির ভাগ শুটিং হওয়ার পরও শিল্পীদের শিডিউল মেলাতে না পারায় সিনেমাটি আর শেষ করা হয় না।
এরপর জহির রায়হান ববিতাকে নিয়ে বাংলা সিনেমা বানান। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপারহিট হয়। অভিনয় করার ইচ্ছা না থাকলেও সিনেমা হিট হওয়ায় আবারো ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান তিনি। এরপর ‘স্বরলিপি’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘টাকা আনা পাই’ সিনেমায় জুটি বাঁধেন রাজ্জাক-ববিতা। প্রতিটি সিনেমাই সুপারহিট।
ঢাকা/শান্ত