কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী নাওডাঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে কয়েকজন কৃষককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।

আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে বারোমাসিয়া নদীর তীরের ৫০০ গজ ভেতরে সীমান্তের ৯৩০ সাব পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয় পাঁচজন কৃষক আহতের খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, বিকেলে ভারতের ১৩৮ নারায়ণগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গোড়কমন্ডল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ সময় বাংলাদেশীরা তাদের বাধা দিলে বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে তাদের মারধর করে। পরে গ্রামবাসী জড়ো হয়ে বিএসএফ সদস্যদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

বিএসএফের মারধরের ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহতরা হলেন, কৃষ্ণানন্দ বকসী গ্রামের ইসরাইল হোসেনের পুত্র মো.

শামসুল, খোকা মিয়ার পুত্র জাবেদ আলী, আবুল কাশেমের পুত্র তাজুল ইসলাম, মুকুল মিয়ার পুত্র মো. রিপন ও মো. মান্নানের পুত্র কাশেম আলী।

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল ইসলাম বলেন, দুপুরে ভারতের জওয়ানরা বাংলাদেশের ভিতরে আসলে আমরা বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের মারধর করে।

আরেক বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, বিএসএফ স্থানীয়দের মারধর করলে আমরা গ্রামবাসী একজোট হয়ে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।

গোরকমন্ডল বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার দেলোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামবাসীদেরকে বিএসএফের মারধরের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ বজলুর রহমান জানান, স্থানীয়দের অভিযোগ গোড়কমন্ডল সীমান্তের কৃঞ্চনন্দ গ্রামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বাংলাদেশিদের মারধর করেছে বিএসএফ। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা