৬০ দিনের মধ্যে লিবিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ হতে হবে
Published: 16th, February 2025 GMT
লিবিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের ৬০ দিনের মধ্যে বৈধতা অর্জনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বৈধতা অর্জন না করলে তাদের বিরুদ্ধে লিবিয়ার প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।
লিবিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দূতাবাসের জরুরি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, লিবিয়া সরকারের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির শ্রম ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় বিদেশি নাগরিকদের জন্য দুই মাসের মধ্যে বৈধতা (আকামা) অর্জনের সময়সীমা ঘোষণা করেছে। এই প্রক্রিয়ার আওতায় গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত লিবিয়ার অফিসিয়াল বন্দর (পোর্ট) দিয়ে দেশে প্রবেশ করা সব বিদেশি শ্রমিককে তাদের বৈধতা অর্জন করতে হবে। তাই লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বৈধতা অর্জন অত্যন্ত জরুরি।
বৈধতা (আকামা) অর্জনের ধাপ:
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন: সব বিদেশি শ্রমিককে অবশ্যই লিবিয়ার শ্রম মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের (https://wafed.
কর্মচুক্তি সম্পাদন: বিদেশি শ্রমিকদের লিবিয়ার স্থানীয় নিয়োগকর্তার সঙ্গে একটি বৈধ কর্মচুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এই চুক্তি ২০১০ সালের ১২ নম্বর শ্রম আইন এবং এর ধারা অনুযায়ী হতে হবে। চুক্তিটি লিবিয়ার শ্রম অধিদপ্তর বা স্থানীয় মিউনিসিপালিটির শ্রম অফিস থেকে অনুমোদিত হতে হবে।
স্বাস্থ্য সনদপত্র সংগ্রহ: শ্রমিকদের লিবিয়ার জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র থেকে একটি স্বাস্থ্য সনদপত্র নিতে হবে। এই সনদ নিশ্চিত করবে যে শ্রমিক সব রোগ থেকে মুক্ত।
সময়সীমা: ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে বিদেশি শ্রমিকদের তাদের বৈধতা (আকামা) অর্জনের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে যারা বৈধতা অর্জনে ব্যর্থ হবেন, তাদের বিরুদ্ধে লিবিয়ার প্রচলিত আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপরোল্লিখিত ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে লিবিয়ায় বসবাসরত সব বাংলাদেশি নাগরিককে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বর্ণিত ধাপগুলো অনুসরণ করে বৈধতা (আকামা) অর্জন করার জন্য দূতাবাস হতে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। অন্যথায়, ভবিষ্যতে যত্রতত্র আটকসহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে যেকোনো তথ্য, ব্যাখ্যা বা সহায়তার প্রয়োজনে দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে এই নম্বরে: মোবাইল: +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭, +২১৮৯১৬৯৯৪২০২ ই-মেইল: [email protected]
ঢাকা/হাসান/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সময়স ম ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।