সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
মিসরের রাজধানী কায়রোতে একটি ভবন ধসে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। এছাড়া অনেকেই ভবনের নিচে চাপা পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কায়রোর কেরদাসা এলাকায় ভবনটি ধসে পড়ে বলে মিসরের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। খবর আল আরাবিয়া
এতে বলা হয়েছে, কায়রোর কেরদাসার শ্রমজীবী মানুষের বসবাসস্থলে একটি ভবন ধসে পড়েছে। এতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মিসরের আল-আখবার আল-ইয়োমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবন ধসের পরপরই ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে কায়রোর বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর একাধিক দল।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গ্যাস সিলিন্ডারের বিস্ফোরণের কারণে ভবনটি ধসে গেছে। তবে এ ঘটনার বিস্তারিত জানতে পুলিশি তদন্ত চলছে।
কায়রোতে ২ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। শহরটিতে ভবন নির্মাণ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধি-বিধান না মানার প্রবণতা রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভবন ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
দশমিনায় ভবন নির্মাণের ছয় মাসের মধ্যে খসে পড়ছে পলেস্তারা
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার একটি মাদ্রাসার চারতলা ভবন নির্মাণের ছয় মাস যেতে না যেতেই পলেস্তারা খসে পড়ছে। উপজেলার মধ্য বগুড়া নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। ভবনটি নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে দরপত্রের মাধ্যমে ৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটির নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবুল কালাম আজাদ। ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভবনটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই ভবনে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চারপাশের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সিমেন্টের পরিমাণ কম ও নিম্নমানের বালু ব্যবহার করার অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। নির্মাণকাজের সময় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার তাঁদের কথায় কর্ণপাত করেননি।
মধ্য বগুড়া নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মো. মিজানুর রহমান বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভবনটিতে পাঠদান শুরু হয়। এপ্রিল মাসের শুরুর দিকে দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়তে শুরু করে। যেভাবে পলেস্তারা খসে পড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে ভবনটি ২০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. আজমের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। এ কারণে ঠিকাদারের ২৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে ঠিকাদারকে ভবনটির পলেস্তারার কাজ আবার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।