বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‍“ভারতীয় আধিপত্যবাদকে শিকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে। ভারতীয় এজেন্ডা আর বাংলাদেশে দেখতে চাই না। আমরা বৈষম্যহীন ইনসাফপূর্ণ একটা রাষ্ট্র ও সমাজ গঠন করতে চাই।”

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুষ্টিয়া হাইস্কুল মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুষ্টিয়া জেলা শাখার আয়োজনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে আলেম সমাজের অবদানের স্বীকৃতি ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, “ভারতে পালিয়ে যাওয়ার আগের দিনেও বললেন, ‘শেখ হাসিনা পালায় না।’ এই কথা বলে তিনি তার নেতাকর্মীদের জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করান। তারপর পালিয়ে যান। পালিয়ে গিয়ে নিজের এবং পরিবারের আখের গুছিয়েছেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা।”

তিনি আরো বলেন, “২০২৪ সালে যে ঐতিহাসিক বিজয় আমরা অর্জন করেছি। এই বিজয়কে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। বৈষম্যের করব রচনা করতে হবে। সমস্ত জুলুম ও শোষণকে শেকড়সহ উপড়ে ফেলতে হবে।” 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশ উপস্থিত ছিলেন- দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা শরাফত হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মজল স

এছাড়াও পড়ুন:

গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি রেজাউল করীমের

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন। 

রেজাউল করীম বলেন, “যারা আগে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন আবার তারা মসনদে বসে নতুনভাবে কী সুন্দর দেশ উপহার দেবেন তা আমাদের বুঝতে বাকি নেই। এই বাংলাদেশ আমরা আর কোনো চাঁদাবাজদের হাতে তুলে দেব না।”

তিনি বলেন, “জুলাই আন্দোলনের পর যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি তা এক নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। ইসলাম কখনোই জুলুমবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকে সমর্থন করে না।” 

গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল আওয়াল, জেলা শাখার সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করিম, জেলা জামায়াতের আমির ও এনসিপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার বিকেল ৩টার পর থেকেই ঝিনাইদহের ছয়টি উপজেলা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। আছরের নামাজের পর পুরো পায়রা চত্বর নেতাকর্মীতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। 

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসলামি দলগুলোর একটি ভোটের বাক্সের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি: চরমোনাই পীর
  • গণহত্যার বিচারের পর পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দাবি রেজাউল করীমের