ধর্ষণ মামলায় টিকটকার প্রিন্স মামুনের জামিন
Published: 18th, February 2025 GMT
ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিত টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানমের আদালতে মামলাটির চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। প্রিন্স মামুন চার্জশিট দাখিল পর্যন্ত জামিনে ছিলেন। এ দিন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে আদালত মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন।
গত বছর ৯ জুুন প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন লায়লা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামুনকে পরদিন গ্রেপ্তার করা হয়। ১১ জুন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ১ জুলাই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে লায়লার তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন তাকে বিয়ে করবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে মামুন তাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই লায়লা তাকে নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে।
লায়লার অভিযোগ, ওই দিন থেকে মামুন তার সঙ্গে একই কক্ষে বসবাস করতে থাকে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। পরে মামুনকে একাধিকবার বিয়ের কথা বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন তাকে ধর্ষণ করে বলেও মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন।
ঢাকা/মামুন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক ওসি হাসান আল মামুন কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমকে প্রহার করে চোখ নষ্টের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ওসি হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আজ রবিবার (১৫ জুন) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে খুলনা মহানগর দায়রা জজ শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে নেয়ার আগে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম এরং আম নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরে বিএনপি নেতাদের শান্ত রাখার জন্য সেনা ও নৌ বাহিনীর সদস্যরা টহল দেয়।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির সম্মেলনে ২ পক্ষের সংঘর্ষ
মোবাইল চুরির সন্দেহে যুবককে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৩
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম জানান, মামলায় উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার (১৫ জুন) খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজে বিএনপি নেতা ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ অকেজো হয়ে যায়। ভুক্তভোগী এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন।
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল