প্রয়োজন হলে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন পুতিন: ক্রেমলিন
Published: 18th, February 2025 GMT
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ‘প্রয়োজনে’ আলোচনায় রাজি আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুদ্ধ অবসানে দরকার হলে এই আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। খবর বিবিসির।
তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের বিষয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে প্রথমবারের মতো উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা। বৈঠকের মাঝেই ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হলো।
ক্রেমলিন বলেছে, ‘‘রাশিয়ার নেতা ভ্লাদিমির পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে ‘প্রয়োজনে’ কথা বলতে প্রস্তুত আছেন।’’ তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ক্রেমলিন।
আরো পড়ুন:
ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া
সৌদি আরবে পৌঁছালেন মার্কো রুবিও
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, ‘‘পুতিন নিজেই বলেছেন যে, প্রয়োজনে তিনি জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। তবে চুক্তির আইনি ভিত্তি হিসেবে জেলেনস্কির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, এমন বাস্তবতা বিবেচনা করে আলোচনার প্রয়োজন আছে।’
পেশকভ আরো বলেন, “রাশিয়া ইউক্রেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিরুদ্ধে নয়। কারণ তা এটিকে (রাশিয়া) সুরক্ষার জন্য হুমকি হিসেবে দেখায় না।”
“এটি যে কোনো দেশের সার্বভৌম অধিকার। আমরা একত্রিকরণ ও অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে কথা বলছি এবং এখানে অবশ্যই কেউ কোনো দেশে কিছু নির্দেশ দিতে পারে না। আমরা এটি করতে যাচ্ছি না।” যোগ করেন তিনি।
পেসকভ জানান, “তবে সুরক্ষা, প্রতিরক্ষা বা সামরিক জোট সম্পর্কিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আমাদের অবস্থান সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে আরো একটি সমস্যা রয়েছে এবং এটি সবার কাছে সুপরিচিত।”
মস্কো বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে প্রাথমিক আলোচনা হবে আজকের বৈঠকে।
রুদ্ধদ্বার এই বৈঠক অংশ নিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ। রাশিয়ার পক্ষ থেকে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ ও আরেক কর্মকর্তা কিরিল দিমিত্রিয়েভ।
এই বৈঠকের মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠকের পথ সহজ হবে বলে জানিয়েছে দুই দেশই।
এদিকে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার এই বৈঠকে ইউক্রেন বা ইউরোপের দেশগুলোকে যুক্ত করা হয়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই রাশিয়া ‘প্রীতি’ নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং সামরিক জোট ন্যাটোর দুশ্চিন্তা বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, যদি ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটে তাহলে ইউরোপের দেশগুলোর জন্য তা বিরাট বার্তা হবে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন ইউক র ন ইউর প
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’