দেশের স্মৃতিচারণে মেতে উঠলেন নিউইয়র্কস্থ দিনাজপুর জেলা সমিতির সদস্যরা
Published: 20th, February 2025 GMT
প্রবাস জীবনে দেশের স্মৃতিচারণ আর খোশগল্পে মেতে উঠলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়কে বসবাসকারী দিনাজপুর জেলা সমিতির সদস্যরা। বাংলাদেশে যেকোনো উন্নয়ন কিংবা দুর্যোগে এগিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। দেশ নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথাও জানান নিউইর্য়কের দিনাজপুর জেলা সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে। তারা জানান- প্রবাস জীবনে এভাবে একত্রিত হওয়াটাই অনেক আনন্দের।
কুইন্সে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে অভিষেক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এটা অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও সবার মাঝে ছিল ভিন্ন ধরনের আমেজ। বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষ তারপর আবার সবাই এক জেলার সেজন্য আমেজটাও ছিল ভিন্নরকম।
নতুন কমিটির সভাপতি মো.
অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুর আর সংগীতের মূর্ছনার মেতে উঠেছিল সবাই। নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী দিনাজপুরের অনেক পরিবার পরিজন নিয়ে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানটি দিনাজপুরবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয়।
২৯ সদস্যের এই নতুন কমিটি ২০২৫-২৬ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাবেদ চৌধুরী ভুট্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. বিপুল সরকার, সহ-সভাপতি ফতেনূর আলম বাবু, সহ-সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাপ্পি, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান ইনসান, সহ-সভাপতি ডা. মহিদুল চৌধুরী, যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাক আহমেদ, শাহীন চৌধুরী, শামীম সরকার, এফ আলম (নিউমুন), যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লুতফর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ বেগ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ এস রহমতুল্লাহ, সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক আমিনুর ইসলাম, যুগ্ম সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক আরিফুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক রানা পারভেজ, ক্রীড়া সম্পাদক শফি উল্লাহ, যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক কিবরিয়া হাবিব, আপ্যায়ন সম্পাদক সামিউর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. নার্গিস রহমান, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারহানা চিশতী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা বিলকিস বি. চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, শেখ জুয়েল, কার্যকরী সদস্য তারেক জাহেরী, কার্যকরী সদস্য টি. ইসলাম, কার্যকরী সদস্য শামিমা ইসলাম সুমী ও কার্যকরী সদস্য আব্দুর রশিদ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম লনম ল ন উইয়র ক অন ষ ঠ ন র ক র যকর র রহম ন সদস য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সোনার টয়লেট ‘আমেরিকা’ নিলামে উঠছে, সর্বনিম্ন দর কত জানেন
নিলামঘর সদবিস গতকাল শুক্রবার ইতালীয় শিল্পী মরিজিও ক্যাটেলানের তৈরি সম্পূর্ণ সোনার টয়লেটটি নিলামে তোলার কথা ঘোষণা করেছে। এ ভাস্কর্যটির নাম ‘আমেরিকা’।
সদবিস জানিয়েছে, এ শিল্পকর্ম এটাই দেখাতে চায়, কখনো কখনো শিল্পের ‘মূল্য’ আর তার বাজারে বিক্রির ‘মূল্য’ এক নয়। এটি শুধু শিল্পকর্মই নয়, একটি পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য টয়লেটও। এ টয়লেটেরই অনুরূপ একটি সংস্করণ ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ব্লেনহাইম প্রাসাদ থেকে চুরি হয়ে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসে।
১৮ নভেম্বর নিউইয়র্কে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। টয়লেটটির সর্বনিম্ন দর ধরা হয়েছে এর সোনার বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী। এতে ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১০১ দশমিক ২ কিলোগ্রাম (২২৩ পাউন্ড) খাঁটি সোনা, যার দাম এখন প্রায় ১০ মিলিয়ন (১ কোটি) মার্কিন ডলার (প্রায় ১২২ কোটি টাকা)।
সদবিসের নিউইয়র্ক শাখার সমসাময়িক শিল্প বিভাগের প্রধান ডেভিড গ্যালপারিন বলেন, ক্যাটেলান হচ্ছেন এমন একজন শিল্পী, যিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে সবাইকে ভাবাতে ও চমক দিতে পছন্দ করেন।
ক্যাটেলান শুধু বিতর্ক সৃষ্টিকারীই নন; বরং অত্যন্ত সফল শিল্পী। তাঁর আরেকটি কাজ, ‘কমেডিয়ান’। অর্থাৎ দেয়ালে টেপ দিয়ে আটকানো একটি কলা। গত বছর নিউইয়র্কের এক নিলামে ৬২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল শিল্পকর্মটি।
‘আমেরিকা’র দুটি সংস্করণ ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। যেটি এবার নিলামে উঠছে, সেটি ২০১৭ সাল থেকে এক অজ্ঞাত সংগ্রাহকের কাছে রয়েছে। অন্য সংস্করণটি ২০১৬ সালে নিউইয়র্কের গুগেনহাইম জাদুঘরের একটি বাথরুমে প্রদর্শনের জন্য স্থাপন করা হয়। সেখানে ১ লাখের বেশি দর্শক সার বেঁধে এসেছিলেন।এর আগে ২০১৬ সালে ক্রিস্টিস নিলামে ক্যাটেলানের আরেকটি ভাস্কর্য ‘হিম’ ১ কোটি ৭২ লাখ ডলারে বিক্রি হয়। ভাস্কর্যটিতে নাৎসি নেতা অ্যাডলফ হিটলারকে হাঁটু গেড়ে প্রার্থনার ভঙ্গিতে দেখা যায়।
ক্যাটেলান নিজেই বলেছেন, তাঁর ‘আমেরিকা’ ভাস্কর্যটি অতিরিক্ত সম্পদ ও বিলাসিতাকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা হয়েছে। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘তুমি ২০০ ডলারের দুপুরের খাবার খাও বা ২ ডলারের হটডগ, শেষ ফলাফল টয়লেটে গিয়ে একই হয়।’
‘আমেরিকা’র দুটি সংস্করণ ২০১৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। যেটি এবার নিলামে উঠছে, সেটি ২০১৭ সাল থেকে এক অজ্ঞাত সংগ্রাহকের কাছে রয়েছে। অন্য সংস্করণটি ২০১৬ সালে নিউইয়র্কের গুগেনহাইম জাদুঘরের একটি বাথরুমে প্রদর্শনের জন্য স্থাপন করা হয়। সেখানে ১ লাখের বেশি দর্শক সার বেঁধে এসেছিলেন।
মরিজিও ক্যাটেলান হচ্ছেন এমন একজন শিল্পী, যিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে সবাইকে ভাবাতে ও চমক দিতে পছন্দ করেন।ডেভিড গ্যালপারিন, সদবিস-এর নিউইয়র্ক শাখার সমসাময়িক শিল্প বিভাগের প্রধানওই সময় গুগেনহাইম ভাস্কর্যটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তাঁর প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালে ধার দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কারণ তিনি জাদুঘর থেকে একটি ভ্যান গঘ চিত্রকর্ম ধার নিতে চেয়েছিলেন।
২০১৯ সালে ‘আমেরিকা’ প্রদর্শিত হয় উইনস্টন চার্চিলের জন্মস্থান হিসেবে বিখ্যাত ব্লেনহাইম প্রাসাদে। কিন্তু প্রদর্শনীর কয়েক দিনের মধ্যেই একদল চোর ভবনে ঢুকে সেটি পাইপলাইন থেকে খুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
চলতি বছরের শুরুতে দুই ব্যক্তিকে ওই চুরির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে সোনার টয়লেটটি আজও উদ্ধার করা যায়নি। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, এটি সম্ভবত ভেঙে গলিয়ে ফেলা হয়েছে।
গ্যালপারিন বলেন, তিনি অনুমান করতে চান না ‘আমেরিকা’ শেষ পর্যন্ত কত দামে বিক্রি হতে পারে। তবে তাঁর ভাষায়, ক্যাটেলানের ‘ডাকটেপে আটকানো কলা’ শিল্পকর্মটি যেমন ‘অমূল্য ধারণা থেকে মূল্য তৈরি করা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, ‘আমেরিকা’ ঠিক তার উল্টো। এখানে মূল উপকরণটিই (সোনা) অত্যন্ত মূল্যবান, যা বেশির ভাগ শিল্পকর্মে থাকে না।
ক্যাটেলান বলেছেন, তাঁর ‘আমেরিকা’ ভাস্কর্যটি অতিরিক্ত সম্পদ ও বিলাসিতাকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করা হয়েছে। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘তুমি ২০০ ডলারের দুপুরের খাবার খাও বা ২ ডলারের হটডগ, শেষ ফলাফল টয়লেটে গিয়ে একই হয়।’‘আমেরিকা’ প্রদর্শিত হবে সদবিসের নতুন নিউইয়র্ক কার্যালয় ব্রয়্যার বিল্ডিংয়ে, ৮ নভেম্বর নিলাম শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত। এটি একটি বাথরুমে স্থাপন করা হবে, যা দর্শকেরা কাছ থেকে দেখতে পাবেন।
তবে গুগেনহাইম ও ব্লেনহাইম প্রাসাদের মতো এবার দর্শকদের টয়লেটটি ব্যবহার করার সুযোগ থাকবে না। তাঁরা শুধু দেখতে পারবেন, কিন্তু ফ্লাশ করতে পারবেন না।
আরও পড়ুনসোনার আস্ত একটি কমোড চুরি করেছিলেন তিনি০৩ এপ্রিল ২০২৪