বসন্ত এসে গেছে, প্রাণ ফিরে পেয়েছে লেক সিটি কনকর্ড প্রাঙ্গণ। বসন্তের বর্ণাঢ্য আয়োজন নিয়ে রাজধানীর খিলক্ষেতে অবস্থিত ঢাকার প্রথম স্যাটেলাইট টাউন-লেক সিটি কনকর্ডে গত ২১-২২ ফেব্রুয়ারি কনকর্ড গ্রুপ আয়োজন করেছিল দুই দিনব্যাপী ‘কনকর্ড বসন্ত উৎসব ১৪৩১’।

উৎসবে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণে বর্ণিল আয়োজন।

বারিধারা থেকে মাত্র ২০ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত এই পরিবেশবান্ধব আবাসিক এলাকা সম্পূর্ণভাবে সবুজ ইট ও ব্লক ব্যবহার করে নির্মিত। রয়েছে ৩০০ ফুট প্রশস্ত সংযোগ সড়ক এবং এখানকার বাসিন্দাদের জন্য একটি দূষণমুক্ত জীবন নিশ্চিত করতে রয়েছে প্রায় ৬০% সুপরিসর উন্মুক্ত সবুজে ঘেরা এলাকা। লেক সিটি কনকর্ডের বাসিন্দাদের জন্য আয়োজিত ঋতু পরিবর্তনের এই বসন্ত উৎসবে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং নানান পসরা সাজানো বিপণি। স্থানীয় বাসিন্দারা আনন্দচিত্তে উপভোগ করেছেন ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত ও বাউল পরিবেশনা। সুস্বাদু বাহারি খাবারের আয়োজন নিয়ে উৎসবে ছিল মুখরোচক খাবারের স্টল, যেখানে দর্শনার্থীরা সরাসরি খাবার প্রস্তুতির প্রক্রিয়া দেখেছেন, যা উৎসব প্রেমীদের জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।

প্রথম দিন, ২১ ফেব্রুয়ারি, সকালেই শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয় উৎসবের শুভ সূচনা। এরপর ছিল ঐতিহ্যবাহী লোকসংগীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় প্রথম দিনের আয়োজন।

বসন্ত উদযাপনের দ্বিতীয় দিন, ২২ ফেব্রুয়ারি, একইভাবে জমকালো আয়োজনে পরিপূর্ণ ছিল সারাদিন। ছিল মনোমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশনা, র‌্যাফেল ড্র ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। উৎসবের এই আনন্দঘন মুহূর্তে দর্শনার্থীরা উপভোগ করেছেন নাচ, গান ও বিনোদনমূলক বিভিন্ন পরিবেশনা।

নিজস্ব স্কুল, মসজিদ, সুপারমার্কেট, জিম এবং আরো অনেক সুবিধাসহ লেক সিটি কনকর্ড দীর্ঘদিন ধরে একটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও স্বাবলম্বী আবাসিক কমিউনিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এ ধরনের বার্ষিক উৎসবগুলো কমিউনিটিতে যোগ করে নতুন মাত্রা এবং বাসিন্দাদের জন্য দৈনন্দিন রুটিনের বাইরে এসে আনন্দ উপভোগ করার দারুণ সুযোগ তৈরি করে। বহুল প্রতীক্ষিত এই উৎসবকে ঘিরে সবার মাঝে ফিরে এসেছে প্রাণের সঞ্চার-উৎসবের আমেজ। লেক সিটি কনকর্ডের সকল বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের সক্রিয় ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আয়োজনটিকে দিয়েছে এক নতুন মাত্রা। কনকর্ড বসন্ত উৎসব ১৪৩১ শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানই নয়, এটি একটি প্রাণের মিলনমেলাও বটে।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র জন য বসন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’