যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্ষ্টাজিত বৈদেশিক মুদ্রা নিরাপদ, স্বল্প সময় ও সহজতম উপায়ে দেশে বসবাসরত আত্মীয়স্বজনের নিকট পৌঁছানোর লক্ষ্যে সোমবার এনসিসি ব্যাংক পিএলসি কমার্স প্লেক্স লি. (সিমপাইসা), ইউকে এর সাথে রেমিট্যান্স চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

এই চুক্তির মাধ্যমে কমার্স প্লেক্স (সিমপাইসা), ইউকে এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স এর অর্থ এর সুবিধাভোগীরা এনসিসি ব্যাংক ও এর সহযোগী এনজিও এবং সাব-এজেন্ট এর শাখা হতে উত্তোলন করতে সক্ষম হবে।

এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন এবং সিম্পাইসা, ইউকে এর চিফ স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অপারেশন্স্ অফিসার (সিএসও) বাছির নজিম স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.

জাকির আনাম, মো. মনিরুল আলম ও মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, এসভিপি ও হেড অব ট্রেজারী প্রধান মো. জহুরুল করীম চৌধুরী, এসএভিপি ও রেমিট্যান্স অ্যান্ড এনআরবি ব্যাংকিং প্রধান মো. ফরাদুজ্জামান এবং (সিমপাইসা), ইউকে এর কান্ট্রি ম্যানেজার সানজানা ফরিদ ও হেড অব ট্রেজারী সানি দাসসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস স

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ