নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দোয়া চাইলেন শাজাহান খান
Published: 5th, March 2025 GMT
তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আগামী নির্বাচনে কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন এ জন্য দোয়া চেয়েছেন সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির আগে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে শাজাহান খান, আনিসুল হক, কামাল মজুমদার, আতিকুল ইসলাম, সোলায়মান সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ১০টার কিছু সময় পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও তাদের হাত পেছনমোরা করে হ্যান্ডকাফ পরা ছিল।
এ সময় ‘‘কেমন আছেন?’’ জানতে চান এক সাংবাদিক। উত্তরে শাজাহান খান বলেন, ‘‘আছি তোমাদের দোয়ায়। দোয়া করবা আমার জন্য।’’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, ‘‘কি দোয়া করবো?’’
‘‘দোয়া করবা যেন তাড়াতাড়ি মুক্তি পেয়ে দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায় এবং আগামী নির্বাচনে কীভাবে অংশগ্রহণ করতে পারি এ জন্য দোয়া করবা।’’ বলেন শাজাহান খান।
তখন ওই সাংবাদিক আবার বলেন, ‘‘সবাই বলছে আপনারা দেশের বারোটা বাজিয়েছেন!’’ তখন শাহজাহান খান বলেন, ‘‘আমরা বারোটা বাজিয়েছি না কারা বারোটা বাজিয়েছে এটা সামনে প্রমাণিত হবে।’’
পরে তাদের কাঠগড়ায় উঠানো হয়। এ সময় তাদের হ্যান্ডকাফ, হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর ১০টা ১৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠলে তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি শুরু হয়। পরে আদালত এক এক করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
এরপর তাদের আদালত থেকে নামিয়ে সিএমএম আদালতের হাজতখানার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। এ সময় আরেক সাংবাদিক জিজ্ঞাস করেন, ‘‘আপনি এত হাসেন কেন?’’ তখন শাহজাহান খান বলেন, ‘‘আমি সবসময় হাসি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত হাসতে থাকবো।’’ কারাগারে কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘‘খুব ভাল আছি। কারাগারে থেকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি।’’
এরপর শাজাহান খানকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা/মামুন//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গা শহরের দক্ষিণ কবরস্থান পাড়ায় বাসা থেকে গুলশান আরা চমন (৬৫) নামে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করছে পুলিশ। তিনি ঝিনাইদহের শৈলকুপার উপজেলার দামুদহ গ্রামের মৃত আবুক কাশেমের স্ত্রী।
আজ সোমবার ( ১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরে নৌকা ভ্রমণে গিয়ে নিখোঁজ, নদীতে মিলল লাশ
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান জানান, শয়ন কক্ষের মেঝে থেকে গুলশান আরা চমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরের ভেতর থেকে দরজা লাগনো ছিল। চমন হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী রেহেনা খাতুন বলেন, ‘‘দীর্ঘ সাত বছর বাসা ভাড়া নিয়ে চমন একাই বসবাস করছিলেন। তিন মাস আগে তিনি স্ট্রোক করলে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তাকে পরামর্শ দেওয়া, ঘরের দরজা খোলা রেখে ঘুমাতে। যেন প্রয়োজনে সাহায্য করতে যায়। কিন্তু উনি দরজা দিয়ে ঘুমাতেন।’’
বাসা থেকে দুর্গন্ধ বের হতে থাকলে তিনি পুলিশে খবর দেন।
গুলশান আরা চমনের ছোট বোন খুশি বলেন, ‘‘গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) চমনকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করে তাকে বাড়ি রেখে যাই। এরপর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি।’’
ঢাকা/মামুন/বকুল