আশ্বাস দিয়েও আহত শিক্ষার্থীর পাশে থাকেনি জবি প্রশাসন
Published: 5th, March 2025 GMT
পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের মারধরের শিকার হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী হাবিবের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েও এখন নীরব ভূমিকা পালন করছে জবি প্রশাসন।
আহত হাবিব বুধবার (৫ মার্চ) ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার জন্য গেছেন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সহায়তার আশ্বাস দিলেও আজ আর কোনো খোঁজ নেয়নি।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিব বলেছেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গতকাল আশ্বাস দিলেও আজ আর খোঁজ-খবর পর্যন্ত নেয়নি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.
ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এ এম রিফাত হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “আমি বিষয়টা আপনার কাছেই এখন শুনলাম। এরকম কোনো নির্দেশনা আমার কাছে আসেনি। প্রশাসনের যারা সহায়তা করতে চেয়েছে এবং উপস্থিত ছিলেন, তাদেরকে ফোন দিলে জানতে পারবেন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেছেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং তার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। আহত হাবিব ন্যাশনাল মেডিকেলে দীর্ঘক্ষণ যাবৎ অপেক্ষা করছে, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
ঢাকা/লিমন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলার ধার্য তারিখ ছিল আজ। পাঁচ মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জন পলাতক আছেন বলে এক মামলায় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আসামিদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের আবেদন করি। আদালত আসামিদের আদালতে হাজির হতে বিজি প্রেসের মাধ্যমে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। ছয় মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১ জুলাই ধার্য করা হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলা তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরো চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, সাইফুল ইসলাম সরকার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন এবং শহীদ উল্লা খন্দকার।
ঢাকা/এম/রফিক