গাজার পুনর্গঠনে আরব নেতাদের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্ট্রের
Published: 5th, March 2025 GMT
গাজার পুনর্গঠনের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত আরব নেতাদের পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গাজার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে অটল রয়েছেন। বুধবার সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা পুনর্গঠনে জানুয়ারিতে ট্রাম্প তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছে, গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বহিষ্কার করা হবে। পরে এই ভখণ্ডকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন একটি ‘রিভিয়েরা’-তে রূপান্তর করা হবে। ওই সময় আরব বিশ্ব এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। মঙ্গলবার কায়রোতে আরব নেতাদের সম্মেলনে মিশর গাজার পুনর্গঠনের জন্য ৫৩ বিলিয়ন ডলারের একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করে।
মিশরের পরিকল্পনার প্রথম ধাপে রয়েছে, অবিস্ফোরিত গোলা অপসারণ শুরু করা এবং ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ ও সামরিক আক্রমণের ফলে অবশিষ্ট পাঁচ কোটি টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা। পুনর্গঠনের সময় গাজার জনগণ যেখানে থাকতে পারবে, সেখানে লাখ লাখ অস্থায়ী আবাসন ইউনিট গড়ে তোলা হবে। ধ্বংসস্তূপ পুনর্ব্যবহার করা হবে এবং এর কিছু অংশ গাজার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে বিস্তৃত ভূমি তৈরির জন্য ব্যবহার করা হবে।
মঙ্গলবার রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউজেস এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান প্রস্তাবটি এই বাস্তবতাকে স্বীকার করে না যে গাজা বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য এবং বাসিন্দারা ধ্বংসাবশেষ এবং অবিস্ফোরিত অস্ত্রে ঢাকা এমন একটি অঞ্চলে মানবিকভাবে বসবাস করতে পারে না।”
তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হামাসমুক্ত গাজা পুনর্গঠনের তার দৃষ্টিভঙ্গিতে অটল। এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে আমরা আরো আলোচনার জন্য উন্মুখ।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল: মধু
বলিউড অভিনেত্রী মধু শাহ। নব্বই দশকের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মধু নামেই পরিচিত। মনি রত্নম নির্মিত ‘রোজা’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। নব্বই দশকে একটি সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করেন মধু, যা ভীষণ তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে নিউজ১৮-কে সাক্ষাৎকার দেন মধু। এ আলাপচারিতা তিনি বলেন, “আজকাল সিনেমায় যে ধরনের চুম্বন দৃশ্য দেখা যায় এটি তেমন ছিল না। এটি ঠোঁটে খোঁচা দেওয়ার মতো অভিজ্ঞতা ছিল। সত্যি এটি আমার খারাপ লেগেছিল।”
চুম্বন দৃশ্যের অভিজ্ঞতা ভয়ংকর ছিল। তা জানিয়ে মধু বলেন, “শুটিং শুরু করার আগে আমাকে চুমু খেতে বলা হয়। কিন্তু তার আগে এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ নিয়ে যখন প্রশ্ন করি, তখন তারা আমাকে পাশে নিয়ে গিয়ে কথা বলে। তারা আমাকে ব্যাখ্যা করে, এই দৃশ্যটি কেন গুরুত্বপূর্ণ এবং সেই কারণেই আমি চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করি। কিন্তু এটা ছিল আমার করা সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ।”
চুম্বন দৃশ্যে যখন অভিনয় করেন, তখন মধুর বয়স ছিল ২২ বছর। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “সিনেমায় চুম্বন দৃশ্যটির কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। সিনেমায় দৃশ্যটি অন্তর্ভুক্ত না করার জন্য পরিচালকের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। আমি এটি এড়িয়ে গিয়েছিলাম। কেবল বয়সের দিক দিয়ে নয়, আমি সবদিক থেকেই তখন খুব ছোট ছিলাম। এখনকার ২২-২৪ বছর বয়সি ছেলে-মেয়েরা ভীষণ চালাক। কিন্তু ২২ বছর বয়সে আমি খুব বোকা ছিলাম।”
১৯৯৬ সালে দীপা মেহতা নির্মাণ করেন ‘ফায়ার’ সিনেমা। এতে শাবানা আজমি, নন্দিতা দাস সমকামী চরিত্রে অভিনয় করেন। এ সিনেমা পর্দার ঘনিষ্ঠতা সম্পর্কে মধুর ধারণা বদলে দিতে শুরু করে। এ তথ্য উল্লেখ করে মধু বলেন, “আমি বলছি না, পর্দায় চুম্বন করা খারাপ। ‘ফায়ার’ সিনেমায় যখন শাবানাজির মতো অভিনেত্রীর অভিনয় দেখি, তখন আমার মনে হয়েছিল সত্যি তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা ভেঙে ফেলেছেন, যা আমি তখন করতে পারিনি। আমি সেই সব শিল্পীদের প্রশংসা করি, যারা মাথা ন্যাড়া করতে পারেন বা সিনেমায় সমকামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন।”
১৯৯১ সালে তামিল ভাষার সিনেমার মাধ্যমে রুপালি জগতে পা রাখেন মধু। একই বছর ‘ফুল আউর কাঁটা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন এই অভিনেত্রী। হিন্দি সিনেমায় পা রেখেই নজর কাড়েন। ৫৬ বছরের মধু অভিনয়ে এখন খুব একটা সরব নন। তবে প্রতি বছরে দুই একটা সিনেমায় দেখা যায় তাকে।
ঢাকা/শান্ত