নারী দিবসে ‘প্রবীণের জন্য ভালোবাসা’
Published: 5th, March 2025 GMT
সমাজে আলাদা করে প্রবীণদের নিয়ে চিন্তাভাবনা কিংবা কাজ তেমন হয় না বললেই চলে। প্রবীণরা বরাবরই উপেক্ষিত থেকে যান। সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশে এই উপেক্ষা আর বঞ্চনার হার আরো বেশি। এ অবস্থায় ‘প্রবীণ নারীর জন্য ভালোবাসা’ স্লোগানকে সামনে রেখে বস্তিতে বসবাসরত প্রবীণদের উপহার সামগ্রী দিয়েছেন সমাজের একদল সামর্থ্যবান প্রবীণ।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুর পোড়াবস্তির কমিউনিটি রিসোর্স সেন্টারে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যৌথভাবে এর আয়োজন করে জনউদ্যোগ, এজিং সাপোর্ট ফোরাম ও ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভলেপমেন্ট (আইইইডি)। অনুষ্ঠানে পোড়াবস্তির ১০০ জন প্রবীণ বাসিন্দাকে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনউদ্যোগের আহ্বায়ক ডা.
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি তাসমিমা হোসেন বলেন, ‘‘প্রবীণদের নিয়ে কেউ কাজ করতে চায় না। বিশেষ করে প্রবীণ নারীদের পাশে কেউ থাকতে চায় না। জীবনের একটা পর্যায়ে প্রবীণ নারীরা সমাজে অবহেলিত থাকে। আজকে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে অনেক আনন্দিত বোধ করছি।’’
আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খান বলেন, ‘‘মানুষে মানুষে ভেদাভেদ দূর করে একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। প্রবীণদের পাশে প্রবীণরাই আজ এগিয়ে এসেছেন। আজকের আয়োজন আরো অনেককে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমরা আশাবাদী। এ ধরনের উদ্যোগকে আইইডি সবসময় সাধুবাদ জানায়।’’
এজিং সাপোর্ট ফোরামের সভাপতি হাসান আলী বলেন, ‘‘আমাদের ফোরাম দীর্ঘদিন যাবত প্রবীণদের নিয়ে কাজ করে। সব সময় প্রবীণদের সহযোগিতা করে আসছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে কেন্দ্র করে ‘প্রবীণ নারীর জন্য ভালোবাসা’ স্লোগানে বস্তিতে বসবাসরত নিম্নআয়ের মানুষের জন্য আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।’’
প্রবীণদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও দায়িত্ববোধ তৈরির বার্তা দেওয়াই এই আয়োজনের উদ্দেশ্য বলে জানান আয়োজকরা। নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জনউদ্যোগ দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে আসছে।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব ণ ন র অন ষ ঠ ন ক জ কর র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনার সঙ্গে আসামি ৮ প্রাক্তন ভিসিসহ ২০১ জন
ঢাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার এক ছাত্রকে ‘হত্যাচেষ্টা’র অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য, শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও আসামি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর হাকিম মনিরুল ইসলাম বুধবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ মার্চ সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের পক্ষে ছাত্রদলের সাবেক নেতা এম এ হাশেম রাজু আদালতে এ মামলার আবেদন করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষক আছেন আসামির তালিকায়। তারা হলেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক মেসবাহ কামাল ও অধ্যাপক আবু জাফর মো. শফিউল আলম ভূঁইয়া, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনোয়ার হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য মীজানুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আবদুল মান্নান, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এম অহিদুজ্জামান, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. অনুপম সেন, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, নঈম নিজাম, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু, আলমগীর হোসেন, আবেদ খান প্রমুখ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে– ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৪ আগস্ট সকালে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজুর নেতৃত্বে একটি মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পরীবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনের মোড়ে এসে পৌঁছায়। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী পথরোধ করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ, হাতবোমা, পেট্রোল বোমা ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ গুলিতে আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদের ডান চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এদিকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আব্দুন নূর নামে এক সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ ১৬২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহতের বাবা হাফেজ আবুল বাশার গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম এম মিজবাউর রহমানের আদালতে এ মামলা করেন।
মামলায় অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাছান মাহমুদ, সালমান এফ রহমান প্রমুখ।
মামলার বাদী আবুল বাশার বলেন, আব্দুন নূর ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান নিউজ নামে পত্রিকার রিপোর্টার ছিল। আন্দোলনের সময় ১ আগস্ট সে ঢাকায় আসে এবং যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট গুলিতে মারা যায়।