বাউবি ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ
Published: 8th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। এ পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল (শুক্রবার) থেকে। প্রথম দিনে বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ৯ মে। ওই দিন সকালে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, হিসাববিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের (তত্ত্বীয়) এবং বিকেলে ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ও পৌরনীতি ও নাগরিকতা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাউবির ওয়েবসাইটে এ সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। দুই শিফটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দ্বিতীয় শিফটে বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে—পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) ব্যতীত কোনো শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;
প্রত্যেক শিক্ষার্থী কেবল নিবন্ধিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অনিবন্ধিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না;
প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে;
প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না;
লিথোকোডযুক্ত উত্তরপত্রে শিক্ষার্থীকে প্রোগ্রাম কোড (১০), আইডি নম্বর এবং বিষয় কোড ইংরেজিতে নির্ভুলভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তপত্র ভাঁজ করা যাবে না;
আরও পড়ুনতুরস্কে বিলকেন্ট ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, আইইএলটিএসে ৬.৫ হলে আবেদন ৬ ঘণ্টা আগে
শিক্ষার্থী পরীক্ষায় নন-প্রোগ্রাম্যাবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে;
শিক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে;
ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ পরীক্ষাকেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে;
২০১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এ অংশগ্রহণের সর্বশেষ সুযোগ
De-Novo রেজিস্ট্রেশনকৃত ২০১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এ অংশগ্রহণের ১ম সুযোগ, ২০১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ২য় এবং ২০১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সর্বশেষ সুযোগ।
কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনবোধে এই সময়সূচির সূর্য কোনো পরিবর্তন করতে পারবে।
* BAU SSC-2025 ROUTINE দেখুন এখানে
আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা–২০২৫ নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনএইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ২৬ জুন১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র ক র এসএসস পর ক ষ য পর ক ষ র তত ত ব
এছাড়াও পড়ুন:
নবীগঞ্জ গার্লস স্কুলে এডহক কমিটি নিয়ে বিতর্ক
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের নবগঠিত এডহক কমিটি শুরু থেকেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চার সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয়।
এই এডহক কমিটিতে অভিভাবক সদস্য হিসেবে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমন নামের ওই ব্যক্তি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করা এক শিক্ষার্থীর বাবা। অকৃতকার্য শিক্ষার্থী হিসেবে তার সন্তান এ বছর আবারও এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
একাধিক অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিদ্যালয়ের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে কিভাবে একজন দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবককে এডহক কমিটির সদস্য করা হলো, তা বোধগম্য নয়।
এখানে পুরোপুরি অযৌক্তিকভাবে এবং আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ফেরদৌস ওয়াহিদ সুমনকে সদস্য করা হয়েছে। তার উপর সেই শিক্ষার্থী গত বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। তারা মনে করেন, এমন একজন ব্যক্তি কমিটিতে থাকলে বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে নিরপেক্ষতা ও যোগ্যতার অভাব দেখা দিতে পারে।
যেখানে বিদ্যালয়ের উন্নতি ও শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য অভিজ্ঞ ও শিক্ষানুরাগী অভিভাবকদের সদস্য করা প্রয়োজন, সেখানে একজন দশম শ্রেণীর ফেল করা শিক্ষার্থীর অভিভাবককে অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হতাশাজনক।
অভিভাবকরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আরও বলেন, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে এমন ব্যক্তিদের থাকা উচিত যারা শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণে নিবেদিত থাকবেন।
অভিভাবক সদস্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় নবীগঞ্জ গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের ভবিষ্যৎ পরিচালনা এবং শিক্ষার মানোন্নয়ন নিয়ে অভিভাবকরা গভীর উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে তা পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সারাদেশে পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছিলো। কিন্তু অবশেষে তার সীমাহীন অনিময়-দুর্নীতির কারণে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পেছনে বিএনপির বড় অবদান রয়েছে বলে বারবার নিজেদের জাহির করা বিএনপি নেতাদের অনেকেই আবার পরিবারতন্ত্রের রাজনীতির দিকে হাটছে। বিশেষ করে বন্দরের সর্বত্র পরিবারতন্ত্র কায়েম করতে চাইছে একটি পরিবার।
তারা হাট, ঘাট, মাঠ, স্ট্যান্ডের মতো করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিজেদের কর্তৃত্ব বহাল রাখতে চাইছে। এরই ধারাবাহিকতায় এই স্কুল এন্ড কলেজেও নিজেদের লোকদের ধরে এনে এডহক কমিটির অন্তর্ভুক্ত করেছে। অনেকটা যেমন খুশী, তেমন সাজো স্টাইলে যাকে খুশী ধরে এনে বিভিন্ন কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করছে তারা।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সায়মা খানমের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি, ফলে তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে অভিভাবকদের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং অবিলম্বে তারা এই বিতর্কিত কমিটি ভেঙ্গে দিতে শিক্ষা অফিসার, ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) এবং জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল কাইয়ুম খান এ বিষয়ে বলেন, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকগণ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হতে পারবে না।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা এডহক কমিটির সদস্য হতে পারবেনা এমন কোনো নিয়ম নেই।
পরবর্তী ২০২৪ সালে ২৫ এপ্রিল গেজেটে বিষয়টি স্পষ্ট আকারে উল্লেখ করা আছে জানালেন তিনি বলেন, তাহলে আমাকে সেই গেজেটটি পাঠান, আমি দেখি। আপনার কাছে সেই গেজেট নেই? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি এই কর্মকর্তা।