সরকারের পদক্ষেপে ইসলামবিরোধীরা যেন আশকারা না পায়: মামুনুল হক
Published: 9th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেন, একশ্রেণির ধর্মবিদ্বেষী ইমানদার মুসলমানদের বিভিন্ন উপায়ে উসকানি দেন। সরকার এসব উসকানিদাতার বিরুদ্ধে যথাসময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের পদক্ষেপ উল্টো। সরকারের প্রতি তাঁদের আহ্বান, প্রশাসনের পদক্ষেপে যেন ইসলামবিরোধীরা আশকারা না পান।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির বিশ্লেষণ ও মূল্যায়ন নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মামুনুল হক এ কথা বলেন। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মামুনুল হক বলেন, সম্প্রতিক সময়ে অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও ইসলামিক সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করার প্রবণতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শাহবাগের পরাজিত চেতনাধারীরা বিভিন্ন নামে-বেনামে ইসলামি মূল্যবোধে আঘাত দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, মুসলমানদের কাছে রমজান অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত মাস। তিনি বিশেষভাবে এই মাসে সব ধরনের ‘বেহায়াপনা ও অশ্লীলতা’ বন্ধ রাখার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারপরও একশ্রেণির ধর্মবিদ্বেষী ইমানদার মুসলমানদেরকে বিভিন্ন উপায়ে উসকানি দেন। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে সচেতনতার সঙ্গে এসব উসকানির জবাব দিতে হবে।
সম্প্রতি নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘অদম্য নারী’ পুরস্কার দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, ‘এ ধরনের প্রমোট নারীত্বের প্রকৃত মর্যাদা ও স্বাভাবিক পরিচয়কে বিকৃত করার অপপ্রয়াস এবং নারী সমাজের প্রতি চরম অবমাননাকরও বটে।’
মামুনুল হক বলেন, অবিলম্বে এ পুরস্কার বাতিল করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক, সমাজবিরোধী ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতে হবে।
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মামুনুল হক বলেন, শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা–সেবা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি অবিলম্বে অপরাধীদের যথাযথ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।