দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান শেল্‌টেক্‌ (প্রা.) লিমিটেড ৩৭ বছরে পদার্পণ করেছে আজ ১২ মার্চ। এই দীর্ঘ পথচলায় শেল্‌টেক্‌ আবাসন খাতের বাইরে সিরামিকস, কনসালটেন্সি সেবা, আর্থিক ও বাণিজ্যিক সেবা, প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট, কার্গো পরিবহন, এসপিসি পোল, বুটিক হোটেল, ব্রোকারেজ হাউসসহ বহু ব্যবসায় যুক্ত হয়ে শক্তিশালী কনগ্লোমারেট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। 

চেয়ারম্যান কুতুবুদ্দিন আহমেদের দূরদর্শিতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদের নেতৃত্বে আরও সম্প্রসারণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে শেল্‌টেক্‌। শেল্‌টেক্‌ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালে প্রয়াত ড.

তৌফিক এম সেরাজ এবং ইঞ্জিনিয়ার কুতুবুদ্দিন উদ্দিন আহমেদের হাত ধরে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং মিশ্র-ব্যবহার প্রকল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে শেল্‌টেক্‌। 

মানসম্মত নির্মাণ, নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর এবং ক্লায়েন্ট-সন্তুষ্টির মাধ্যমে শেল্‌টেক্‌ বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাতে পথপ্রদর্শক  হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে সক্রিয় অবদান রাখা ও কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি নানাবিধ জনকল্যাণকর কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার অর্জন করেছে। বর্ষপূর্তিতে শেল্‌টেক্‌ টাওয়ারের ড. তৌফিক এম সেরাজ লাউঞ্জে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ