পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরের এক গ্রহ। সেখানে এলিয়েনের বসবাস। সেখানকার তিন প্রিয় বন্ধু– চিলি, মিলি ও লিলি। তারা একদিন ঘুরতে পৃথিবীতে এলো। তাদের দেখে সবাই ভয়ে পালালো। শুধু একটি ছোট্ট মেয়ে ভয় না পেয়ে তাদের কাছে এসে বললো, ‘আমি মিনু, আর তোমরা?’ মিলি বললো, ‘আমি মিলি এবং এরা আমার বন্ধু চিলি ও লিলি। আমরা এখানে ঘুরতে এসেছি।’ মিনু বললো, ‘আমি তোমাদের ঘুরে দেখাচ্ছি। এসো, তা বলে মিনু তাদের নিজের বাড়ি নিয়ে ভালোমন্দ খাইয়ে বেড়াতে নিয়ে গেলো। মিলি বললো, ‘আমরা খুব সুন্দর বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারি।’ মিনু বললো, ‘শোনাও তাহলে।’ তারা অনেক সুন্দর বাদ্যযন্ত্র বাজালো। মিনু বললো, ‘তোমরা তো অনেক সুন্দর বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারো।’
লিলি বললো, ‘আমাদের গ্রহে সবাই একটা না একটা কাজ করলেও আমরা কোনো কাজ করতে পারি না।’ চিলি বললো, ‘হ্যাঁ, তাই আমাদের কেউ ভালোবাসে না।’ মিনু বললো, ‘তোমরা এতো সুন্দর বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারো। তোমরা এই বাদ্যযন্ত্রের অনুষ্ঠান দেখাতে পারো। এর বিনিময়ে তোমরা কিছু টাকাও উপার্জন করতে পারো।’ মিলি বললো, ‘এটা আগে আমাদের মাথায় কেনো এলো না, এতে সবাই আমাদের ভালোও বাসবে। ধন্যবাদ, অনেক অনেক ধন্যবাদ। এখন থেকে তুমি আমাদের প্রিয় বন্ধু।’ তারপর তারা অনেক জায়গায় ঘুরে এলো।
তারপর চিলি, মিলি ও লিলি বিদায় নিয়ে নিজের গ্রহে চলে গেলো। তারা এরপর থেকে অনুষ্ঠানে প্রতিদিন বাদ্যযন্ত্র বাজায় ও কিছু অর্থ উপার্জনও করে। এখন তাদের সবাই ভালোবাসে এবং তারা আনন্দে বসবাস করতে থাকে।
বয়স : ৩+৩+৩ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, মণীষা ভবন কেজি স্কুল, নাটোর
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা