Samakal:
2025-05-01@00:25:34 GMT

স্মার্ট ফ্যাশন

Published: 16th, March 2025 GMT

স্মার্ট ফ্যাশন

বিশ্বের প্রযুক্তিবিদ্যার মঞ্চে যেন বর্ণিল, বহুমাত্রিক আর হালকা গড়ন উদ্ভাবনের আবহ এখন। দুর্দান্ত ব্যাটারি সক্ষমতায় বৈচিত্র্য আসবে সব স্মার্ট ডিভাইসে...

বিশ্ব প্রযুক্তি মঞ্চে স্মার্ট ঘরানার উদ্ভাবনী পণ্য উপস্থাপনে সব ব্র্যান্ডই নিজেদের ভবিষ্যৎ সক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। বর্ষসেরা মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে সাড়া জাগানোর পর বাংলাদেশের প্রযুক্তি-ভক্তরা উদ্ভাবনী পণ্য পেতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। চলতি বছর তেমনই সব পণ্য সামনে এসেছে।
চলতি বছরে মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) আসরে অংশ নেয় বিশ্বসেরা সব উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। নিজস্ব ব্র্যান্ডের এআই ইকোসিস্টেমের পণ্য উন্মোচনের মাধ্যমে প্রযুক্তি-ভক্তদের সামনে উপস্থিত হয় টেকনো। জানা গেছে, বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে প্রভাবশালী কানেক্টিভিটি ইভেন্ট হিসেবে পরিচিত এমন আয়োজনে যে কোনো ব্র্যান্ড এআই ইকোসিস্টেম থেকে কয়েকটি উদ্ভাবনী ও অত্যাধুনিক পণ্য প্রদর্শন করে। যার মধ্যে ক্যামন স্মার্টফোন সিরিজ, স্পার্ক স্লিম, ফ্যান্টম আলটিমেট টু ট্রাই-ফোল্ড, এআই গ্লাসেস প্রো ও মেগাবুক এস১৪ অন্যতম।
বিশ্বের অন্যতম হালকা ১৪ ইঞ্চি ওএলইডি ল্যাপটপ মেগাবুক এস ১৪ মডেল। ব্র্যান্ডের এটি প্রথম ওএলইডি ল্যাপটপ, যেখানে ২.

৮ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে, স্ন্যাপড্রাগন এক্স এলিট কম্পিউটার প্ল্যাটফর্ম আর এআই-সমৃদ্ধ মাল্টিটাস্কিং নিশ্চিত করতে বিশ্বের প্রথম স্বনির্মিত এজ-সাইড লার্জ-স্কেল এআই মডেল ব্যবহার করা হয়েছে।
সর্বাধুনিক ইমেজিং প্রযুক্তি, ইন্টেলিজেন্ট ইন্টারেকশন ও মসৃণ ডিজাইনের কারণে নতুন এআই গ্লাসেস সিরিজ দর্শনার্থীর নজর কাড়ে। ৫০ মেগাপিক্সেল 
হাই-ডেফিনেশন ক্যামেরা, ওভি৫০ডি সেন্সর সমন্বিত সিরিজে ১০০ ডিগ্রি আলট্রা-ওয়াইড অ্যাঙ্গেল কাস্টম লেন্স আর এআই আইএসপি ইমেজিং চিপ ইমেজিং সিস্টেমকে অত্যাধুনিক মোবাইলের মতোই করেছে। কৃত্রিম (এআই) নয়েজ রিডাকশন ও এইচডিআর সক্ষমতা ব্যবহার করে উচ্চমান ও ঝকঝকে ছবি তোলার সুযোগ তৈরি হবে।
জানা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা স্মার্টফোন স্পার্ক স্লিম। মাত্র ৫.৭৫ মিলিমিটার পুরুত্বের ডিভাইসে ৫০ মেগাপিক্সেল ডুয়েল ক্যামেরা ও ৫ হাজার ২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। পাতলা ডিজাইনের হলেও মডেলের পারফরম্যান্সে তারতম্য হবে না।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মিরাজে দুর্দান্ত জয় বাংলাদেশের

এমন পারফরম্যান্সই তো চাওয়ার থাকে ভালো দলের কাছে। মেহেদী হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরি, তাইজুল ইসলামের ৯ উইকেট শিকারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল জয় এনে দেয় বাংলাদেশকে। প্রথম টেস্ট হারের পর যে সমালোচনা হয়েছিল, তার জবাবটা বোধ হয় দ্বিতীয় টেস্ট তিন দিনে জিতে দিয়ে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ‘বাউন্স ব্যাক’ করে সিরিজ ড্র ১-১-এ।

চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে বীরোচিত পারফরম্যান্স ছিল টাইগারদের। এটি সম্ভব হয়েছে পছন্দের উইকেটে খেলা হওয়ায়। স্পিন ভুবনে উইকেট উৎসব করেছেন তাইজুল, মিরাজ গাঁটছড়া বেঁধে। সিরিজ নির্ধারণী টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি দারুণ অর্জন অধারাবাহিক ব্যাটিং লাইনআপের। এই টেস্টে ওপেনিং জুটি ভালো করেছে। লম্বা সময় পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ভালোই সঙ্গ দেন সাদমানকে। লোয়ার মিডলঅর্ডারে মিরাজের লড়াই ছিল দেখার মতো।

টেলএন্ডারদের নিয়ে রীতিমতো বাজিমাত করেছেন তিনি। শেষ ৩ উইকেটে তৃতীয় দিন ১৫৩ রান যোগ করেন। বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ৪৪৪ রানে। ২১৭ রানের লিড থাকায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সে স্বপ্ন পূরণ হয়। সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পর তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার তাঁর। 

গত বছর দেশের মাটিতে টেস্টে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। ২০২৫ সালের শুরুটাও ভালো ছিল না। সিলেটে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে। সিরিজ বাঁচাতে চট্টগ্রামে জিততেই হতো। লক্ষ্যে পৌঁছাতে কন্ডিশনেও পরিবর্তন আনা হয়। চট্টগ্রামের উইকেটে খেলা হয় দ্বিতীয় টেস্ট। যেখানে শাসন ছিল স্পিনারদের। পছন্দের উইকেট পাওয়ায় তিন স্পিনার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ। তিনজনই দারুণ বোলিং করেন প্রথম থেকে।

দীর্ঘ বিরতির পর টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া অফস্পিনার নাঈম হাসান চ্যালেঞ্জ নিয়ে বোলিং করে গেছেন। বেশি উইকেট না পেলেও এক প্রান্তে ব্যাটারদের চাপে ফেলেছেন। যার সুফল তাইজুল ও মিরাজ পেয়েছেন অন্য প্রান্তে। প্রথম দিন শেষ সেশনে ব্রেক থ্রু দেন তিনি। বাঁহাতি স্পিনার পরে পিক করে ৬ উইকেট শিকার করেন। জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে প্রথম দিন শেষ করে। পরের দিন এক বল খেলে ওই রানেই অলআউট হয়। বাংলাদেশ ব্যাটিং শুরু করে বড় লক্ষ্য নিয়ে। সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি করায় প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যাওয়া সহজ হয়। সাদমানের সেঞ্চুরি ও মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম কিছু রান করায় ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বাংলাদেশ।

সেদিন সংবাদ সম্মেলনে সাদমান আশা প্রকাশ করেন, মিরাজ ও তাইজুল জুটি করবেন। অষ্টম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি দু’জনের। বেশি ভালো করেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। মিরাজের সঙ্গে ১৫৬ বলে ৯৬ রানের জুটি। অভিষেক টেস্টে সাকিবের ব্যাটিং দারুণ লেগেছে অধিনায়ক শান্তর কাছে। ৮০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, মাথায় বল লাগার পরও বিচলিত হননি তিনি। মিরাজ ছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের প্রাপ্তি হিসেবে ওপেনিং জুটির ভালো খেলা, সাদমানের সেঞ্চুরি, তাইজুলের ৫ উইকেট শিকার ও সাকিবের রান করাকে মনে করেন শান্ত। 

শেষের তিন উইকেটে তৃতীয় দিন প্রায় দুই সেশন ব্যাট করে বাংলাদেশ। তাইজুল, সাকিব ও হাসানকে নিয়ে ১৫৩ রান যোগ করে। মিরাজ ১০৪ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে উইকেট দেন। নার্ভাস নাইটির ঘরে প্রবেশ করে কিছুটা ঝুঁকির মুখে ছিলেন মিরাজ। ৯৮ রানে পৌঁছানোর পর সেঞ্চুরি ছুঁতে দুই রান নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ফিল্ডারের কাছে বল চলে যাওয়ায় এক রানে থামতে হয়। তখন স্ট্রাইকে হাসান থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল সবাই। ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সবাই দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। কখন হাসান আউট হয়ে যায়, সে ভয় কাজ করছিল হয়তো। কিন্তু হাসান ছিলেন দৃঢ়চেতা। মাসাকাদজাকে ডিফেন্স করে স্বস্তি দেন।

মিরাজ স্ট্রাইকে এসে মেদেভেরের প্রথম দুই বলে ঝুঁকি নেননি। তৃতীয় বলে এক রান নিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ ও দ্বিতীয় টেস্টের সেরা খেলোয়াড় মিরাজ। প্রথম ম্যাচের উভয় ইনিংসে ৫ উইকেট করে ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে অতীতের সব পারফরম্যান্স ছাড়িয়ে গেছেন। সেঞ্চুরির সঙ্গে ৫ উইকেটপ্রাপ্তি, দুই হাজার রানের মাইলফলক পেয়েছেন। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২১৭ রানে পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ১১১ রানে। ফ্লাডলাইটের আলো জ্বেলে নির্ধারিত সময়ের বেশি খেলান আম্পায়াররা। প্রায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খেলা হয়। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটাররা তাতে আপত্তি করেননি। তাইজুল ৩, নাঈম ১ ও মিরাজ ৫ উইকেট নিলে ম্যাচ শেষ হয়।  

সিলেটে প্রথম টেস্ট হারের পর চট্টগ্রামে প্রভাব বিস্তার করে খেলে ম্যাচ জেতার পরও খুশি নন অধিনায়ক শান্ত, ‘আমি টেস্ট সিরিজ ড্র করে খুশি না। কারণ, প্রথম টেস্টে আমরা একেবারেই ভালো খেলিনি। এই টেস্টে একপেশে খেলে জিতলেও সিরিজে আরও ভালো খেলা উচিত ছিল। সিরিজটি জিততে হতো।’ টাইগার দলপতি জানান, এই পারফরম্যান্স শ্রীলঙ্কা সফরে কাজে দেবে। দেশের মাটিতে স্পোর্টিং উইকেট বানিয়ে বিদেশে খেলার পরিবেশ তৈরি করছিল বিসিবি। ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হচ্ছে। কিউইদের বিপক্ষে সিলেটে ঐতিহাসিক জয় পেলেও মিরপুর থেকে হারতে শুরু করে। দেশের মাটিতে টানা ছয় হারের পর জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ