অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে নিয়ে কু-মন্তব্য করেন সাজিদা ফাউন্ডেশনের কর্মী রাকিবুল হাসান নামে এক যুবক। বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন ফারিয়া। এরপর রাকিবুল হাসানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাওয়ার কথা জানায় সাজিদা ফাউন্ডেশন। বিষয়টি নিয়ে ফের ফেসবুক পোস্টে প্রতিষ্ঠানটিতে ধন্যবাদ জানান ফারিয়া। 

বুধবার (১৯ মার্চ) রাতে প্রতিষ্ঠানটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, গত ১৮ মার্চ শবনম ফারিয়া ফেসবুক পোস্টে সাজিদা ফাউন্ডেশনের কর্মী রাকিবুল হাসান কু-মন্তব্য করেন। আমরা তীব্রভাবে এর নিন্দা জানাই। এ ধরনের আচরণ (অফিস সময়ের ভেতরে বা বাইরে) সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের সুরক্ষা কমিটির তদন্ত চলছে এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাজিদা ফাউন্ডেশনের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে শবনম ফারিয়া এক পোস্টে লেখেন, “অনলাইনে বা অফলাইনে, কেউই কোনো নারীর প্রতি হয়রানি করার অধিকার রাখে না। অসম্মানজনক আচরণ কখনোই সহ্য করা উচিত নয়, আর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি সাজিদা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখার জন্য। তাদের এই দ্রুত সিদ্ধান্ত স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এমন আচরণের ফলাফল ভোগ করতে হয়, তা যেখানেই হোক না কেন। আসুন, আমরা সবাই হয়রানির বিরুদ্ধে দাঁড়াই এবং সৌহার্দ্য ও শ্রদ্ধাশীলতার পরিবেশ গড়ে তুলি।”

আরো পড়ুন:

২৭ নাটক নিয়ে বৈশাখী টিভির ঈদ আয়োজন

নায়ক থেকে গায়ক সিয়াম, সঙ্গী হিমি

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিও ক্লিপে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে উঠতে দেখা যায় ফারিয়াকে। এর মধ্যে একটি ক্লিপে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়াকে হাসতে হাসতে বলতে শোনা যায়, “আমি তাসকিনের পাশে দাঁড়াব না। আমাকে খাটো লাগবে। তামিম ভাইয়া, তুমি আসো।” শবনম ফারিয়া সেই ভিডিও কমেন্ট বক্সে আপত্তিকর মন্তব্য করেন রাকিবুল হাসান।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক শবনম ফ র ফ সব ক

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাইফুল্লাহ আরিফকে (৩০) হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বাবা বশির উদ্দিন (মাস্টার) এই অভিযোগ করেন।

এ সময় বশির উদ্দিন বলেন, পুলিশ দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ার কোনো সুযোগ নেই; সেখানে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক।

এর আগে গত শনিবার পুলিশ সুপার শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, প্রাথমিক তদন্তের তথ্য অনুযায়ী অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে সাইফুল্লাহ আরিফ মারা গেছেন।

সাইফুল্লাহ আরিফ ভোলা পৌরসভার কালীবাড়ি রোডে নবী মসজিদ গলি এলাকার বশির উদ্দিনের ছেলে। গত ৩১ আগস্ট ভোরে নিজ বাড়ির সামনে থেকে সাইফুল্লাহ আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বশির উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে দুর্ঘটনায় নয়, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এর কিছু প্রমাণ আছে। আরিফের শরীরে একাধিক কাটা ও ভাঙা জখম ছিল, এমনকি হাতের রগ কাটা ছিল। পুলিশের দাবি করছে, ছাদ থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যুর সুযোগ নেই, কারণ, ছাদে বাঁশের বেড়া ও প্রতিটি তলায় ব্যালকনি ছিল। পুলিশ সুপার আমার ছেলেকে নেশাগ্রস্ত আখ্যা দিলেও তাঁর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ কীভাবে এমন কথা বলতে পারে। পুলিশের আচরণ শুরু থেকেই সন্দেহজনক। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

বশির উদ্দিন আরও বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফ কোনো ধরনের মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সে ছাত্রলীগের সহসভাপতি হলেও কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করেনি। হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশ সত্য গোপন করছে। সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বশির উদ্দিন বলেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে অনেকের বিরোধ ছিল। তবে জমিজমার বিরোধ ও মাদক ব্যবসার বিরোধ নিয়ে তাঁর ছেলে খুন হয়নি। এগুলোর সঙ্গে সে জড়িত ছিল না।

শনিবার পুলিশ শরীফুল হক তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সাইফুল্লাহ আরিফের মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানা যায়, তিনি অসতর্কতাবশত নিজ বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। ৩০ আগস্ট দিবাগত রাত অনুমান ১২টা ১৫ মিনিটে রাতের খাবার শেষে সাইফুল্লাহসহ পরিবারের সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ফজরের নামাজের জন্য বের হওয়ার সময় তাঁর বাবা বশির উদ্দীন (৭০) বাড়ির সামনে গেটের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সুরতহালে দেখা যায়, আরিফের মাথা ও হাতে গুরুতর আঘাত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, আরিফ দীর্ঘদিন ধরে নেশায় আসক্ত ছিলেন এবং হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় প্রায়ই ছাদে যেতেন। ঘটনার দিন রাতেও তিনি ছাদে ওঠেন এবং অসতর্কতাবশত রেলিংবিহীন অংশ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মারা যান।

পরিবারের অভিযোগ সম্পর্কে আজ দুপুরে পুলিশ সুপার শরীফুল হক মুঠোফোনে বলেন, ‘ওই ঘটনায় তদন্ত চলমান। সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক তদন্তের কথা জানানো হয়েছে। তদন্তে তথ্য সংযোগ-বিয়োগের সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
  • মুসলিম পরিবারে শিশুর নিরাপত্তা
  • পুরোপুরি বিলুপ্তির পর উগান্ডায় আবার ফিরল গন্ডার
  • ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু : পুলিশের দাবি, বাড়ির ছাদ থেকে পড়েছেন, হত্যার অভিযোগ পরিবারের