বাংলা একাডেমির সভাপতি ও সমাজচিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, ‘কিছুদিন ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তোলা হচ্ছে। আসলেই রাষ্ট্রব্যবস্থার সংস্কার দরকার। সংস্কার হতে পারে সর্বজনীন কল্যাণে। আবার তা হতে পারে উচ্চ শ্রেণির লোকদের সুবিধার জন্য। আমরা জনগণের স্বার্থে সংস্কার চাই।’

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় পরিষদ আয়োজিত ইফতার মাহফিল এবং ‘রাজনীতি কী এবং কেন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় আবুল কাসেম ফজলুল হক এ কথাগুলো বলেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

অমূল্য কুমার বৈদ্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার।

আলোচনায় অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের জনমনে রাজনীতির প্রতি, রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি এখন কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। জনমনের এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। এ জন্য দেশের বিবেকবান চিন্তাশীল লোকদের লিখতে হবে।’

এম এ আলীম সরকার বলেন, ‘অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিরাট অঙ্কের টাকা আয় করেন। প্রকৃতপক্ষে রাজনীতিকেই তাঁরা অর্থ আয়ের অবলম্বন করে ফেলেন। এই ধরনের রাজনীতিতে প্রকৃতপক্ষে কোনো রাজনীতি থাকে না।’

বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন অধ্যাপক মো.

শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী, শামীম ইসতিয়াক চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক বিজন হালদার, কেন্দ্রীয় সদস্য প্রভাষক মহাসীন আলমগীর প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বৃষ্টি, জনমনে প্রশান্তি

আষাঢ়ের প্রথম দিনে আজ রোববার রাজশাহীতে বৃষ্টি ঝরেছে। প্রায় দুই সপ্তাহের তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টির ছোঁয়ায় জনমনে ফিরেছে স্বস্তি। দুপুরে রাজশাহীতে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে সর্বশেষ ৩ জুন ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এর পর থেকে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টি হয়নি। রাজশাহীতে ঈদের দিন থেকে মৃদু তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। ঈদের দিন ৭ জুন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়।

গতকাল শনিবারও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দুপুরের আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃষ্টির পর তাপমাত্রা অনেকটা কমে এসেছে। আকাশে বেড়েছে মেঘের আনাগোনা।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তীব্র গরম শেষে আজ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমেছে। এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে এখন মৌসুমি বায়ু বেশি সক্রিয়।’

বৃষ্টির পর প্রচণ্ড গরমে ক্লান্ত এ মহানগর যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বৃষ্টির পানিতে গাছপালা ও লতাপাতায় জমে থাকা ধুলাবালু ধুয়ে গেছে। নগরের মেহেরচণ্ডী এলাকায় কথা হয় রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী আবু ইউসুফের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অন্য দিনের মতো প্রচণ্ড রোদ আর গরম ছিল। শরীর থেকে ঘাম ঝরছিল। কোথা থেকে যেন মেঘ উড়ে এসে বৃষ্টি দিয়ে গেল। সব ক্লান্তি কেটে গেছে।’

পবা উপজেলার মোসলেমের মোড়ে কথা হয় অটোরিকশাচালক মো. রনির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড রোদের কারণে অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়া যেত না কয়েক দিন। ছাতা ও গামছা নিয়ে বের হতে হতো। আজকে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে ভালো লাগছে।’
নগরের মোহনপুর এলাকায় আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছিলেন মো. আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে কাজ করছিলাম। তখন প্রচণ্ড রোদ ছিল। ঘেমে একাকার হয়ে গেছি। কাজ করতে করতেই দুপুরে বৃষ্টি আসে। শরীরের ঘাম বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আষাঢ়ের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বৃষ্টি, জনমনে প্রশান্তি