১৪ ম্যাচে ১৪৮.৮৩ স্ট্রাইক রেটে ৩২০ রান। তবু আইপিএলের সর্বশেষ মৌসুমটাকে ভালো বলার উপায় নেই ঈশান কিষানের। ১৪ ইনিংসে মাত্র একবার ৫০ ছুঁতে পেরেছিলেন। তাঁর দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস একদমই ভালো করতে পারেনি। ১০ দলের মধ্যে দশম হয়েছিল ঈশানের মুম্বাই।

ঈশানকে এরপর ছেড়ে দেয় মুম্বাই। নিলামে তাঁকে কিনে নেয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আর নতুন দলে অভিষেকেই আজ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান। ১০ বছর ও ১০৬ ম্যাচের আইপিএল ক্যারিয়ারে যা ঈশানের প্রথম সেঞ্চুরিও। সেটি ঈশান পেলেন আইপিএল ক্যারিয়ারে নিজের ১০০তম ইনিংসে!

ঈশানের সেঞ্চুরির ম্যাচটা বড় ব্যবধানেই জিতেছে হায়দরাবাদ। মাত্রই ১ রানের জন্য আইপিএলে নিজেদেরই গড়া দলীয় সর্বোচ্চ রানের স্কোর ছুঁতে না পারা হায়দরাবাদ করে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান। রান তাড়ায় রাজস্থান রয়্যালস পুরো ২০ ওভার খেলে করতে পারে ৬ উইকেটে ২৪২ রান। হায়দরাবাদ জিতেছে ৪৪ রানে।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ঈশান যখন ব্যাট করতে নামেন ৩.

১ ওভারে হায়দরাবাদের স্কোর ৪৫/১। ১১ বলে ২৪ রান করে মাত্রই ফিরে গেছেন অভিষেক শর্মা। এরপর ৩৮ বলেই আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেডকে নিয়ে ৮৫ রান যোগ করেন ঈশান।

৩১ বলে ৬৭ রান করে অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান হেড ফেরার পর নিতীশ কুমার রেড্ডি (১৫ বলে ৩০) ও হাইনরিখ ক্লাসেনের (১৪ বলে ৩৪) সঙ্গে ৭২ ও ৫৬ রানের জুটি গড়েন ঈশান। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ক্লাসেন যখন ফিরলেন ৮৬ রানে অপরাজিত ভারতের হয়ে ৩২টি টি-টোয়েন্টি খেলা ঈশান। সন্দীপ শর্মার করা ওই ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুই ছক্কায় ৯৮ রানে পৌঁছে যাওয়া ঈশান ওভারের শেষ বলে ‘ডাবল’ নিয়ে পৌঁছে যান ১০০-তে। ৪৭ বলে ১০৬ রান করার পথে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন ঈশান।

ঈশানদের ঝড়টা সবচেয়ে বেশি টের পেয়েছেন জফরা আর্চার। ইংলিশ পেসার ৪ ওভারে দিয়েছেন ৭৬ রান। যা আইপিএলে সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এক ম্যাচে এর চেয়ে বেশি রান দেওয়ার ঘটনা আছে মোটে সাতটি।

রান তাড়ায় নিজেরাও বড় রান করলেও একবারও মনে হয়নি রাজস্থান এই ম্যাচ জিততে পারে। দলটির হয়ে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছেন ধ্রুব জুরেল। এ ছাড়া ৩৭ বলে ৬৬ রান করেন ইমপ্যাক্ট হিসেবে নামা ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।

আইপিএলে দলীয় সর্বোচ্চ

স্কোর দল বিপক্ষ ভেন্যু সাল
২৮৭/৩ হায়দরাবাদ বেঙ্গালুরু বেঙ্গালুরু ২০২৪
২৮৬/৬ হায়দরাবাদ কলকাতা হায়দরাবাদ ২০২৫
২৭৭/৩ হায়দরাবাদ মুম্বাই হায়দরাবাদ ২০২৪
২৭২/৭ কলকাতা দিল্লি বিশাখাপট্টনম ২০২৪
২৬৬/৭ হায়দরাবাদ দিল্লি দিল্লি ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য়দর ব দ র ন কর

এছাড়াও পড়ুন:

রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন

অন্তর্বর্তী সরকার সময়মতো ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে পবিত্র রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পর তিনি তাঁর আগের কাজে ফিরে যাবেন।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভাকে এসব কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওয়াশিংটন থেকে ভিডিও ফোনকলে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন জর্জিয়েভা।

এ সময় তাঁরা বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক পরিস্থিতি এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচনের পূর্ববর্তী চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং এই কৃতিত্ব তাঁর নিজের।

অর্থনীতির সংকটকালীন পরিস্থিতি স্মরণ করে আইএমএফ প্রধান বলেন, ‘আপনার অর্জন আমাকে মুগ্ধ করেছে। অল্প সময়ে আপনি অনেক কিছু করেছেন। যখন অবনতির ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি ছিল, তখন আপনি দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন। আপনি সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তি।’

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বিশেষভাবে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা এবং রিজার্ভ পুনরুদ্ধারের জন্য সরকারের সাহসী পদক্ষেপ, বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তনের প্রশংসা করেন।

অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের এক সংকটময় সময়ে আইএমএফ প্রধানের অবিচল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘চমৎকার সহায়তার জন্য ধন্যবাদ।’ তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত বছর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎ বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

কথোপকথনে আইএমএফ প্রধান অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকিং খাতে গভীর সংস্কার বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘শক্ত অবস্থানে থাকতে হলে সংস্কার অনিবার্য। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অমূল্য মুহূর্ত।’

অধ্যাপক ইউনূস জানান, তাঁর সরকার ইতিমধ্যে ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠন এবং রাজস্ব সংগ্রহ জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এক বিধ্বস্ত ও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়া অর্থনীতি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছি। কিছু ব্যক্তি আক্ষরিক অর্থে ব্যাগভর্তি টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এ ছাড়া আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল নেপালে চলমান যুব আন্দোলন এবং আসিয়ানভুক্তির জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা। অধ্যাপক ইউনূস আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি জোরদারের লক্ষ্যে ঢাকার বৃহৎ অবকাঠামো উদ্যোগ—যেমন নতুন বন্দর ও টার্মিনাল প্রকল্প—সম্পর্কেও অবহিত করেন।

আলোচনাকালে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং অর্থসচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার 
  • আমার স্বামীর উপরে কু-নজর পড়েছে: অঙ্কিতা
  • সম্পদ বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপলেন ট্রাম্প
  • ‘আমি থানার ওসি, আপনার মোবাইল হ্যাকড হয়েছে’
  • অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে কেন চটে গেলেন ট্রাম্প, আলবানিজের কাছে নালিশেরও হুমকি দিলেন
  • কালিয়াকৈরে এক মাসে ২০ ডাকাত গ্রেপ্তার 
  • বাঁশির সুরে বিরহের কষ্ট ভুলতে চান রিকশাচালক শফিকুল
  • রোজার আগেই নির্বাচন, এরপর আগের কাজে ফিরে যাবেন
  • ট্রেন থেকে পড়ে ৮ দিন ধরে হাসপাতালে ছেলে, ফেসবুকে ছবি দেখে ছুটে এলেন মা
  • ভাড়া বাসায় একা থাকতেন বৃদ্ধা, তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার