শ্রমিকদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে শ্রমিকদের পাওনা ভাতা ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে শ্রম ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর তাঁরা সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

মিছিলে তাঁরা ‘আন্দোলনে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’; ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই;’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি সায়েদুল হক নিশান বলেন, শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হয় না এটা নিয়ে পুলিশের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই, অথচ পুলিশ তাদের ওপর হামলা করল, তাদের আটক করল।

সমাবেশে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ বলেন, প্রতিবছরই ঈদের আগে আগে শ্রমিকদের মজুরির দাবিতে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশের অন্য কোনো শ্রেণির মানুষের সঙ্গে এ ধরনের ঘটনা ঘটে না। কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন কখনো আটকে থাকে না। যে শ্রমিকেরা মাসের পর মাস পরিশ্রম করে এই বাংলাদেশ গড়ে তোলেন, তাদের বেতন মাসের পর মাস আটকে থাকে।

জাবির আহমেদ হামলাকারী পুলিশ সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার পাশাপাশি অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানান।

মশাল মিছিলে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র কাউন্সিল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টও ছিল।

উল্লেখ্য, আজ সকালে গাজীপুরের কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা তিন মাসের বকেয়া বেতন, ঈদের বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকাসহ বিভিন্ন দাবিতে প্রথমে শ্রম ভবনে যান। সেখান থেকে তাঁরা দুপুরের দিকে সচিবালয়ের দিকে রওনা হন। শ্রমিকদের মিছিলটি প্রেসক্লাব এলাকায় সচিবালয়মুখী রাস্তায় আসার পর পুলিশ তাঁদের যেতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে উত্তেজিত শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে, পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন, তবে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উৎসবমুখর পরিবেশে হবে দুর্গাপূজা: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। আগের মতোই সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুকূল পরিবেশে ও নির্বিঘ্নে হবে। 

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ডিএমপির সদর দপ্তরে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেছেন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত

যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ নিহত

এবার ঢাকা মহানগরীতে ২৫৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে, জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, মণ্ডপভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনার বাইরে পৃথক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও থাকবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে।

প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ, উপাধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ মিশন মঠসহ সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং ধন্যবাদ জানান। 

সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত কমিশনার (লজিস্টিকস) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকতা এবং সশস্ত্র বাহিনী, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এমআর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ