মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুচিয়ামোড়ায় ধলেশ্বরী সেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ইমন ভূঁইয়া (২৬) ও সামিউল ইসলাম (২৭)। ইমন সিরাজদিখান উপজেলার ঘন শ্যামপুর এলাকার সেন্টু ভূঁইয়ার ছেলে। সামিউলের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা ভৌড়াহাটি এলাকায়।

হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ইমন ভূঁইয়া ও সামিউল মোটরসাইকেলে মাওয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনের কুচিয়ামোড়ায় ধলেশ্বরী সেতুর ওপর পৌঁছালে পেছন থেকে একটি গাড়ি তাঁদের ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলটি সেতুর ওপর ছিটকে পড়ে। ঘটনা স্থলে ওই দুজন নিহত হন। পরে লাশ ও মোটরসাইকেলটি হাসাড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ উদ্ধার করে।

আজ মঙ্গলবার সকালে হাসাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল মালেক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতে দুজনের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরিচয় শনাক্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বাড়ছে ১৫ শতাংশ, কার্যকর দুই ধাপে

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থ দুই ধাপে পাবেন শিক্ষক-কর্মচারিরা। ১৫ শতাংশের মধ্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর হবে এ বছরের ১ নভেম্বর থেকে। আরও সাড়ে ৭ শতাংশ কার্যকর হবে আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে।

আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর ২০২৫) অর্থ মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।

এর আগে সরকার এমপিওভূক্ত শিক্ষক–কর্মচারিদের বাড়িভাড় মূল বেতনের ৫ শতাংশ (ন্যূনতম ২ হাজার টাকা) বাড়ানো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তুু তা প্রতাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষক–কর্মচারিরা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা এতদিন মাসে এক হাজার টাকা করে বাড়িভাড়া পেয়ে আসছেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তাঁদের বাড়িভাড়া ভাতা মাত্র ৫০০ টাকা বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ বিভাগ সম্মতিপত্র দিয়েছিল। যদিও শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে সেটি কার্যকর করেনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বরং তারা শতাংশের হিসাবে বাড়িভাড়া দিতে অর্থ বিভাগে চিঠি দিয়েছিল। এতে চারটি ভাগ (৫, ১০, ১৫, ২০ শতাংশ) করে হিসাব করে দেখানো হয়েছিল, কত টাকা লাগবে। সেখান থেকে সরকারের সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়িভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। পরে ৫ শতাংশ বাড়ানো হলেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক–কর্মচারিরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ