Prothomalo:
2025-08-01@04:37:50 GMT

সততার আশ্চর্য প্রতিদান

Published: 2nd, April 2025 GMT

মক্কায় বাস করতেন কাজী আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে আবদুল বাকি নামে এক সৎ লোক। একদিন তার খুব ক্ষুধা পেল। কিন্তু তার কাছে কোনো খাবার ছিল না। খাবার কেনার মতো পয়সাও ছিল না। খাবার খুঁজতে গিয়ে তিনি একটি থলে কুড়িয়ে পেলেন। থলেটি নিয়ে বাড়ি এনে দেখলেন, তাতে একটি মোতির হার। এমন হার জীবনে দেখেননি।

এরই মধ্যে এক বৃদ্ধের চিৎকার কানে এলো, ‘যে আমার থলেটি ফিরিয়ে দেবে, তাকে আমি পাঁচ শ স্বর্ণমুদ্রা দেব।’ তিনি বৃদ্ধকে বাড়ি নিয়ে এলেন তিনি। লোকটি তার কাছে নিজ থলে, থলের ফিতা ও মোতির হারের হুবহু বর্ণনা দিল। কাজী আবু বকর থলেটি তাকে ফিরিয়ে দিলেন। বৃদ্ধ তাকে পাঁচশ স্বর্ণমুদ্রা দিতে চাইলেন। কিন্তু তিনি নিলেন না। বললেন, ‘আপনার থলে আপনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া আমার দায়িত্ব ছিল। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। সুতরাং আমি এর কোনো বিনিময় নেব না।

তিনি অভুক্ত রয়ে গেলেন।

কিছুদিন পরের কথা। কাজী আবু বকর সমুদ্রপথে সফরে বেরোলেন। হঠাৎ মাঝ দরিয়ায় জাহাজ ভেঙে গেল। সকল আরোহী ডুবে মারা গেল। তিনি জাহাজের একটি কাঠের খণ্ডে ভেসে বেঁচে গেলেন। ভেসে ভেসে এক দ্বীপে পৌঁছলেন। দ্বীপের অধিবাসীরা ছিল মুসলমান। তিনি দ্বীপের একটি মসজিদে গিয়ে উঠলেন। লোকেরা তার কোরআন তিলাওয়াত শুনে মুগ্ধ হলো এবং তারা তার কাছে কোরআন শেখার আবেদন জানাল। তিনি তাদের কোরআন শেখাতে লাগলেন। এতে তার হাতে কিছু অর্থ জমা হলো।

আরও পড়ুনসহজ ওমরাহ ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

কেউ একজন তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এল। বলল, ‘আমাদের এখানে একটি এতিম মেয়ে আছে। সে ধনসম্পদেরও মালিক। আমরা চাই, আপনি তাকে বিয়ে করুন।’

তিনি রাজি হলেন। এতিম মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে হলো। কাজী আবু বকর তার স্ত্রীকে প্রথম দেখতে গিয়েই তার চোখ আটকাল স্ত্রীর গলার হারে। এ দেখি হুবহু সেই হার, যা তিনি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন। জানা গেলো, যেই বৃদ্ধকে তিনি হারটি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, তিনিই হলেন মেয়েটির বাবা। তিনি বলতেন, আমি পৃথিবীতে তার চেয়ে ভালো মানুষ দেখিনি, যে আমার মোতির হারটি কুড়িয়ে পেয়ে আবার ফিরিয়ে দিয়েছিল। তিনি দোয়া করতেন, হে আল্লাহ, আপনি এ মহৎ হৃদয়ের মানুষটিকে আমার সঙ্গে আবার সাক্ষাৎ করিয়ে দিন৷ যেন আমার কলিজার টুকরো কন্যাকে তার সঙ্গে বিয়ে দিতে পারি। তার সেই প্রার্থনা আজ বাস্তবে রূপ নিল।

 সূত্র: যাইলু তাবাকাতিল হানাবিলা: ১/৭৯)

আরও পড়ুনমক্কার জমজম কূপের উৎপত্তি০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ