বরাবরের মত ঈদের তৃতীয় দিনেও দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে থাকছে নানা আয়োজন। দেখা যাবে নাটক সিনেমা, টেলিফিল্ম ও বাংলা ডাব করা বিদেশি সিনেমা। টিভির সেইসব আলোচিত কাজ নিয়েই এই আয়োজন। 

ঘোরঅনেকদিন ধরেই দাম্পত্য সম্পর্কের জটিলতায় কাটছে শীলা আর রনির জীবন। এক বাড়িতে থেকেও কেউ কারও মুখ দেখে না। দু’জনের বসবাস দুই ঘরে। বেকার জীবন কাটাচ্ছে রনি। তাই সারাদিন বাসাতেই থাকতে হয়। এতে সম্পর্কের আরও অবনতি হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতেই ওদের বাড়িতে আসে রনির বড় ভাইয়ের এক বন্ধু। যাকে দেখে চমকে যায় শীলা। এই বন্ধু আর কেউ নয়, শীলার কলেজজীবনের শিক্ষক যে কিনা ছিল তার প্রথম ক্রাশ। তাই শীলা প্রথম জীবনের ভালোবাসাকে এতদিন পর তাও তার নিজের বাসায় দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারে না, যা রনির চোখ এড়ায় না। শুরু হয় নতুন আরেক জটিলতা। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘ঘোর’। লিখেছেন বিপাশা হায়াত, পরিচালনায় আরিফ খান। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, সাদিয়া ইসলাম মৌ, ইমতিয়াজ বর্ষণ প্রমুখ। আজ বেলা আড়াইটায় চ্যানেল আইতে প্রচার হবে এটি।

গুণিন

 পরিমণি ও শরিফুল রাজ অভিনীত সিনেমা ‘গুণিন’। ৫০ বছর আগের কৃষিজীবী একটি গ্রামের গল্প নিয়ে ‘গুণিন’ ছবির কাহিনি। সেখানে জিন-ভূত তাড়ানো হয়। গ্রামের বাইরে একটা আস্তানা আছে। সেখানে উড়ছে লাল কাপড়ের নিশান। সেই গ্রামের রক্ষণশীল সমাজের মুসলমান এক নারী রাবেয়া। সিনেমাটি আজ রাত সাড়ে ১০টায় চ্যানেল নাইনে প্রচার হবে। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় এতে আরও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার, ঝুনা চৌধুরী, ইরেশ যাকের, শরিফুল রাজ, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ।

‘হুইস্পার ইফ আই ফরগেট’
দীপ্ত টিভিতে আজ বিকেল ৪টায় প্রচার হবে তুর্কি সিনেমা ‘হুইস্পার ইফ আই ফরগেট’। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে হাতিজে আর হানিফে দুই বোন যারা একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত। ছোট বোন হাতিজে উড়নচণ্ডী। তবে সে নিজের স্বপ্ন পূরণের নেশায় বিভোর। আর বড় বোন হানিফে বাবা-মায়ের বাধ্যগত অন্তর্মুখী স্বভাবের মেয়ে। হানিফে তার আবেগ-অনুভূতিগুলো নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে কবিতা আকারে লিখে রাখে। আর হাতিজে অনেক বড় সংগীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এক দিন হাতিজে ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল। এমন সময় সেখানে তারিক বেড়াতে আসে। তারিক তাদের শহরে নিয়োগ পাওয়া নতুন ডিসির ছেলে। সে খুব ভালো গিটার বাজায় আর অনেক বড় সুরকার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। হানিফে তারিককে দেখে ওর প্রেমে পড়ে যায়। তবে তারিকের ভালো লাগে হাতিজেকে। এক পর্যায়ে তারিক আর হাতিজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটে নানা ঘটনা।

মান্নানের মান সম্মান

হাস্যরসের গল্পে নির্মিত ‘মান্নানের মানসম্মান’ । এই নাটকটি লিখেছেন হিরম জামান, পরিচালনায় সকাল আহমেদ। এই নাটকের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ। আরটিভিতে আজ রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে এটি।

মায়াফুল

পুরোনো প্রেমিকার সাথে হঠাৎ ট্রেনে দেখা।তারপর বিচ্ছদের স্মৃতিচারণ এবং মিলন। এমন গল্পের নাটক ‘মায়াফুল’।  অভিনয় করেছেন ইয়াস রোহান ও আয়শা খান। এনটিভিতে আজ রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে প্রচার হবে। লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ, পরিচালনায় মোহন আহমেদ। এতে আরও অভনয় করেছেন মানসী রায়, সাবরিনা রনী, মেহজাবীন নূর।

ট্রাক ড্রাইভার

‘ট্রাক ড্রাইভার’ ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্যে শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফারজানা ছবি। লিখেছেন আহসান আলমগীর, পরিচালনায় রুহুল আমিন শিশির। বৈশাখী টিভিতে প্রতিদিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হচ্ছে এটি। এতে আরও অভিনয় করেছেন ফারহানা মিলি, আইনুন পুতুল, অলিউল হক রুমি, অবিদ রেহান, সিলভিয়া, ফাতেমা হীরা, রেশমা প্রমুখ।

মেঘ বালিকা

সাবিত এমন একটি ছেলে যাকে পছন্দ করে না, এমন কোনো মানুষ নেই। বলা যায় এলাকার প্রিয়মুখ সে। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকে, মিষ্টভাষী, সুন্দর হাসি তাকে পছন্দ করার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। সাবিতের প্রেমে পাগল নায়লা। সে সাবিতের চাচাতো বোন লাবণীর বান্ধবী। তাদের প্রেম নিয়ে ঘটে নানা ঘটনা।  এই গল্পের নাটকটির নাম ‘মেঘ বালিকা’। জাকারিয়া সৌখিনের রচনা ও পরিচালনায় এটি আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় চ্যানেল আইতে প্রচার হবে।  এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব ও নাজনীন নিহা।

শর্টি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অব দি এনচান্টেড রীফ

দুরন্ত টিভিতে আজ বিকেল ৩টায় সিনেমাটির  বাংলা প্রিমিয়ার হবে ‘শর্টি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অব দি এনচান্টেড রীফ’ ।  গল্পে দেখা যায় শর্টি, ইন্ডিগো এবং জ্যাক সমুদ্রতলের নীলচে জগতে বসবাসকারী তিনটি মাছ। এক দিন কিছু মানুষ তাদের সেই নীলচে সুন্দর জগতে হামলা চালিয়ে সব ধ্বংস করে দেয়। দিগ্বিদিক ঘুরতে থাকে মাছেরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। যেখানেই যায় সব জায়গাতেই মানুষের ভয়াল থাবা। বাস্তুহারা হয়ে তারা নতুন ঠিকানার খোঁজে ঘুরতে থাকে আর ভাবে ‘কী ধরনের প্রাণী এই মানুষ

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ