টিভিতে আজ দেখা যাবে রাজ-পরীর সিনেমা, অপূর্ব-নিহার টেলিছবি ও ইয়াশের নাটক
Published: 3rd, April 2025 GMT
বরাবরের মত ঈদের তৃতীয় দিনেও দেশের বিভিন্ন চ্যানেলে থাকছে নানা আয়োজন। দেখা যাবে নাটক সিনেমা, টেলিফিল্ম ও বাংলা ডাব করা বিদেশি সিনেমা। টিভির সেইসব আলোচিত কাজ নিয়েই এই আয়োজন।
ঘোরঅনেকদিন ধরেই দাম্পত্য সম্পর্কের জটিলতায় কাটছে শীলা আর রনির জীবন। এক বাড়িতে থেকেও কেউ কারও মুখ দেখে না। দু’জনের বসবাস দুই ঘরে। বেকার জীবন কাটাচ্ছে রনি। তাই সারাদিন বাসাতেই থাকতে হয়। এতে সম্পর্কের আরও অবনতি হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতেই ওদের বাড়িতে আসে রনির বড় ভাইয়ের এক বন্ধু। যাকে দেখে চমকে যায় শীলা। এই বন্ধু আর কেউ নয়, শীলার কলেজজীবনের শিক্ষক যে কিনা ছিল তার প্রথম ক্রাশ। তাই শীলা প্রথম জীবনের ভালোবাসাকে এতদিন পর তাও তার নিজের বাসায় দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারে না, যা রনির চোখ এড়ায় না। শুরু হয় নতুন আরেক জটিলতা। এমনই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে টেলিছবি ‘ঘোর’। লিখেছেন বিপাশা হায়াত, পরিচালনায় আরিফ খান। অভিনয়ে আফজাল হোসেন, সাদিয়া ইসলাম মৌ, ইমতিয়াজ বর্ষণ প্রমুখ। আজ বেলা আড়াইটায় চ্যানেল আইতে প্রচার হবে এটি।
গুণিন
পরিমণি ও শরিফুল রাজ অভিনীত সিনেমা ‘গুণিন’। ৫০ বছর আগের কৃষিজীবী একটি গ্রামের গল্প নিয়ে ‘গুণিন’ ছবির কাহিনি। সেখানে জিন-ভূত তাড়ানো হয়। গ্রামের বাইরে একটা আস্তানা আছে। সেখানে উড়ছে লাল কাপড়ের নিশান। সেই গ্রামের রক্ষণশীল সমাজের মুসলমান এক নারী রাবেয়া। সিনেমাটি আজ রাত সাড়ে ১০টায় চ্যানেল নাইনে প্রচার হবে। গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পরিচালনায় এতে আরও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার, ঝুনা চৌধুরী, ইরেশ যাকের, শরিফুল রাজ, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ।
‘হুইস্পার ইফ আই ফরগেট’
দীপ্ত টিভিতে আজ বিকেল ৪টায় প্রচার হবে তুর্কি সিনেমা ‘হুইস্পার ইফ আই ফরগেট’। সিনেমার গল্পে দেখা যাবে হাতিজে আর হানিফে দুই বোন যারা একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত। ছোট বোন হাতিজে উড়নচণ্ডী। তবে সে নিজের স্বপ্ন পূরণের নেশায় বিভোর। আর বড় বোন হানিফে বাবা-মায়ের বাধ্যগত অন্তর্মুখী স্বভাবের মেয়ে। হানিফে তার আবেগ-অনুভূতিগুলো নিজের ব্যক্তিগত ডায়েরিতে কবিতা আকারে লিখে রাখে। আর হাতিজে অনেক বড় সংগীতশিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখে। এক দিন হাতিজে ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিল। এমন সময় সেখানে তারিক বেড়াতে আসে। তারিক তাদের শহরে নিয়োগ পাওয়া নতুন ডিসির ছেলে। সে খুব ভালো গিটার বাজায় আর অনেক বড় সুরকার হওয়ার স্বপ্ন দেখে। হানিফে তারিককে দেখে ওর প্রেমে পড়ে যায়। তবে তারিকের ভালো লাগে হাতিজেকে। এক পর্যায়ে তারিক আর হাতিজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটে নানা ঘটনা।
মান্নানের মান সম্মান
হাস্যরসের গল্পে নির্মিত ‘মান্নানের মানসম্মান’ । এই নাটকটি লিখেছেন হিরম জামান, পরিচালনায় সকাল আহমেদ। এই নাটকের প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম, তানিয়া বৃষ্টি প্রমুখ। আরটিভিতে আজ রাত সাড়ে ৯টায় প্রচার হবে এটি।
মায়াফুল
পুরোনো প্রেমিকার সাথে হঠাৎ ট্রেনে দেখা।তারপর বিচ্ছদের স্মৃতিচারণ এবং মিলন। এমন গল্পের নাটক ‘মায়াফুল’। অভিনয় করেছেন ইয়াস রোহান ও আয়শা খান। এনটিভিতে আজ রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে প্রচার হবে। লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ, পরিচালনায় মোহন আহমেদ। এতে আরও অভনয় করেছেন মানসী রায়, সাবরিনা রনী, মেহজাবীন নূর।
ট্রাক ড্রাইভার
‘ট্রাক ড্রাইভার’ ধারাবাহিক নাটকের দৃশ্যে শহীদুজ্জামান সেলিম ও ফারজানা ছবি। লিখেছেন আহসান আলমগীর, পরিচালনায় রুহুল আমিন শিশির। বৈশাখী টিভিতে প্রতিদিন রাত ৯টা ২০ মিনিটে প্রচার হচ্ছে এটি। এতে আরও অভিনয় করেছেন ফারহানা মিলি, আইনুন পুতুল, অলিউল হক রুমি, অবিদ রেহান, সিলভিয়া, ফাতেমা হীরা, রেশমা প্রমুখ।
মেঘ বালিকা
সাবিত এমন একটি ছেলে যাকে পছন্দ করে না, এমন কোনো মানুষ নেই। বলা যায় এলাকার প্রিয়মুখ সে। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকে, মিষ্টভাষী, সুন্দর হাসি তাকে পছন্দ করার কারণ হিসেবে যথেষ্ট। সাবিতের প্রেমে পাগল নায়লা। সে সাবিতের চাচাতো বোন লাবণীর বান্ধবী। তাদের প্রেম নিয়ে ঘটে নানা ঘটনা। এই গল্পের নাটকটির নাম ‘মেঘ বালিকা’। জাকারিয়া সৌখিনের রচনা ও পরিচালনায় এটি আজ বিকেল সাড়ে ৪টায় চ্যানেল আইতে প্রচার হবে। এতে মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন অপূর্ব ও নাজনীন নিহা।
শর্টি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অব দি এনচান্টেড রীফ
দুরন্ত টিভিতে আজ বিকেল ৩টায় সিনেমাটির বাংলা প্রিমিয়ার হবে ‘শর্টি অ্যান্ড দ্য লিজেন্ড অব দি এনচান্টেড রীফ’ । গল্পে দেখা যায় শর্টি, ইন্ডিগো এবং জ্যাক সমুদ্রতলের নীলচে জগতে বসবাসকারী তিনটি মাছ। এক দিন কিছু মানুষ তাদের সেই নীলচে সুন্দর জগতে হামলা চালিয়ে সব ধ্বংস করে দেয়। দিগ্বিদিক ঘুরতে থাকে মাছেরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে। যেখানেই যায় সব জায়গাতেই মানুষের ভয়াল থাবা। বাস্তুহারা হয়ে তারা নতুন ঠিকানার খোঁজে ঘুরতে থাকে আর ভাবে ‘কী ধরনের প্রাণী এই মানুষ
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা