গণহত্যার দায়ে আ’লীগের বিচার দাবি বিএনপির
Published: 6th, April 2025 GMT
আওয়ামী লীগকে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার দায়ে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বিএনপি। দলটি মনে করে, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ভাগ্য নির্ধারণ হলে জনগণ তা মেনে নেবে।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এমনটাই জানান বিএনপি নেতারা। বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নেন। অন্যদিকে হেফাজতের মহাসচিব সাজেদুর রহমানের নেতৃত্বে ছিলেন ড.
বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু প্রায় কিছুদিন পরপর দেখা যাচ্ছে ডিসেম্বর থেকে জুনে, জুন থেকে ডিসেম্বরে– এ রকম কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন মহল থেকে নির্বাচন বিলম্বিত করার পাঁয়তারাও আমরা লক্ষ্য করছি। আমাদের জোরালো দাবি, প্রধান উপদেষ্টা খুব দ্রুত নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেবেন, যাতে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করা যায়। সেই দাবির সঙ্গে হেফাজতে ইসলাম একমত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনার জন্য হেফাজত নেতাদের দাবি আছে। যে দাবি আমরা প্রকাশ্যে করেছি, লিখিতভাবে করেছি; সরকারকে জানিয়েছি, জনগণের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা চাই আওয়ামী লীগকে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের আওতায় আনা হোক। সেজন্য প্রয়োজনে সংবিধানের ৪৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন সংশোধন করা যায়, বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যদি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ হয়, তা জনগণ মেনে নেবে।
হেফাজত নেতা মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, বিএনপির মতো হেফাজতে ইসলামও মনে করে, যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই ভালো। বিএনপির মতো হেফাজতও সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ চায় না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ড স ম বর ব এনপ র ইসল ম আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ভুল শুধরে জনগণের আস্থা ফেরানোর সুযোগ এই নির্বাচন: আইজিপি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে পুলিশের জন্য ভুল শুধরে জনমনে আস্থা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাহিনীটির মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় মাঠে থাকা প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠতে হবে।
রোববার বিকেলে রাজশাহী মহানগর পুলিশ লাইনসের পিওএম সভাকক্ষে পুলিশ সদস্যদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিদর্শনে গিয়ে আইজিপি এ কথা বলেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
রাতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. গাজিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রেনিং স্কুলের তত্ত্বাবধানে তিন দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আজ আইজিপি কর্মশালার ষষ্ঠ ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, জাতীয় নির্বাচন একটি রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব, যেখানে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বশীলতা, সততা ও পেশাদারত্বের সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে হবে।
এ সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন আইজিপি। এ সময় তিনি নির্বাচনপূর্ব, নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে পুলিশের করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা প্রদান করেন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে আইন অনুযায়ী কঠোর থাকার নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে আইজিপির সঙ্গে রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, রাজশাহী রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোহাম্মদ শাহজাহানসহ রাজশাহী রেঞ্জ, রাজশাহী মহানগর পুলিশ এবং রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।