তখন সবেমাত্র ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে। শেষ মুহূর্তের সামান্য কেনাকাটার উদ্দেশ্যে ঢাকার মোটামুটি নামকরা এক বিপণিবিতানে গিয়েছিলাম।
জমজমাট ঈদের কেনাকাটা চলছে সেখানে। ফ্যাশনজগতের সুপ্রসিদ্ধ কোনো এক ব্র্যান্ডের দোকানে সামান্য কিছু কেনার জন্য পা বাড়াই। হঠাৎ কানে আসে ‘খালি এক শ!, খালি এক শ!’
অবাক হয়ে দেখলাম, বিপণিবিতানের হাঁটা পথের ওপর ছোট ছোট কাপড়ের টুকরা নিয়ে বসেছেন কয়েকজন বিক্রেতা। ফুটপাতে হকারদের এ ধরনের বিকিকিনির দৃশ্য খুবই স্বাভাবিক আমাদের কাছে। এমনকি নিউমার্কেট, গাউছিয়া, হকার্স মার্কেটেও এই ধরনের ব্যবসা হরহামেশাই চোখে পড়ে। কিন্তু অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে সাধারণত এই রকম দৃশ্য চোখে পড়ে না। কিছুটা কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে গেলাম সামনে।
একটুকরা কাপড় হাতে তুলে নিলাম। কাপড়টি দেড় গজের মতো হবে। বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘পুরো কাপড়টাই কি এক শ টাকা?’ তিনি মুহূর্তের মধ্যে কাপড়ের টুকরাটি আমার হাত থেকে ছোঁ মেরে নিয়ে বলে উঠলেন, ‘পুরা কাপড় না, এক গজ এক শ টাকা।’ এর সঙ্গে জুড়ে দিলেন, ‘এত বুদ্ধি নিয়ে রাতে ঘুমান ক্যামনে? এরেই কয় মাইয়া মাইনষের বুদ্ধি!’
দোকানদারের হঠাৎ এ রকম মন্তব্যে শুনে এক মুহূর্তে মাথা গরম হয়ে গেল। প্রতিবাদ জানালাম আমি। কিছুটা উচ্চ স্বরে কথাবার্তা হওয়ায় আশপাশে কয়েকজন জমে গেল। তাঁরা আমার পক্ষ নিলেন। বিক্রেতাকে আমার কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন। কিন্তু তিনি নাছোড়বান্দা। কিছুতেই ক্ষমা চাইবেন না আমার কাছে। অবশেষে সবার চাপে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন তিনি।
সেইখান থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে একতলা নিচে নেমে এক দোকানে ঢুকলাম। পাশের দোকান থেকে ভেসে আসছে দুজন বিক্রেতার আলাপচারিতা। তাঁরা কথা বলছেন বিগত সরকারের আমলে পালিয়ে থাকা নেত্রীদের পাওয়া গেলে কীভাবে শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, সেই প্রসঙ্গে। তাঁদের আলাপে ব্যবহৃত ভাষা এতটাই কদর্য আর আদি রসাত্মক ছিল যে পুরো শরীর রি রি করে উঠল।
সেখান থেকে বের হয়ে চলে যাই বিপণিবিতানের একদম নিচে থাকা এটিএম বুথে টাকা তুলতে। সেখানে দুজন পুরুষ টাকা জমা দিচ্ছিলেন। টাকা তুলতে তুলতে তাঁদের মধ্যকার কথাবার্তা আমার কানে এল। তাঁদের কথাবার্তার মূল বিষয় ছিল, নারী সহকর্মীদের মেধা আর সৌন্দর্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ। দেখতে সুন্দর একজন নারী সহকর্মী বুদ্ধিতে যে একেবারে ফাঁকা, সে বিষয়ে একমত হলেন তাঁরা।
বৈষম্য কমিয়ে আনার অর্থ কেবল শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে কিংবা কর্মক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা নয়, বরং নারী–পুরুষসহ সবার জন্য এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা, যেখানে সবাই একই রকম সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বসবাস করে নির্ভয়ে, প্রাণের আনন্দে বেড়ে উঠবে আর এগিয়ে যাবে। সেই রকম বাংলাদেশ আমরা কি কখনো দেখে যেতে পারব?মাত্র একটি ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ঘটনা ও পরিস্থিতি রীতিমতো অসুস্থ করে তুলল আমাকে। অথচ পুরো বিপণিবিতানে নারী ক্রেতার অভাব নেই। পুরুষ ক্রেতার বিপরীতে প্রায় সমানসংখ্যক নারীর উপস্থিতি আছে সেখানে।
ভাবছিলাম, এতটা প্রতিহিংসা, ঘৃণা আর কদর্যতা নিয়ে বসবাসকারী এই পুরুষদের মাঝে কতটা নিরাপদ নারী? মানসিকভাবে দারুণ আহত ও ক্লান্ত আমি নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ডেকে পাঠালাম। কাজটি মোটেই সহজ ছিল না আমার জন্য। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর একজন কর্মকর্তা এলে তাঁকে সংক্ষেপে আমার উদ্বেগের কথা জানালাম।
শুধু তা–ই নয়, আমার প্রথম অভিজ্ঞতার ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে এর প্রতিকার চাইলাম। তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে ঘটনাটি তাঁরা তদন্ত করবেন এবং এর অগ্রগতি আমাকে জানাবেন। অবশ্য তিনি তাঁর কথা রেখেছিলেন। ঘটনার ঠিক পরদিনই আমাকে জানানো হয়, আমার প্রতি বিরূপ মন্তব্যকারী সেই বিক্রেতাকে কঠোরভাবে শাসন করা হয়েছে এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে ব্যাপারে তাঁকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। তবে এ ধরনের মৌখিক সতর্কীকরণ আদৌ কোনো কাজ করে বলে আমার মনে হয় না। তাই আমি আশ্বস্ত হতে পারিনি, কিন্তু মেনে নিতে হয়েছে।
এভাবে প্রতিদিন ছেড়ে দিয়ে, সয়ে গিয়ে, উপেক্ষা করে, অপমানে জর্জরিত হয়েই নারীদের পথ চলতে হয়। এই পথচলা খুব অপমানের, কষ্টের আর ক্লান্তির। তবু পথ চলতে হয়। অন্তবিহীন পথে ক্লান্তির বোঝা নিয়েই একটি জীবন পাড়ি দিতে হয় আমাদের। অথচ কোন অপরাধে আমাদের এই অবহেলা, অসম্মান আর অপমান বয়ে বেড়াতে হয়, তার কোনো সদুত্তর নেই। অপরাধের পরিসংখ্যান বলে হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ, দুর্নীতিসহ পৃথিবীর যাবতীয় অপরাধের সিংহভাগ সংঘটিত হয় পুরুষের দ্বারা।
অথচ এসব জানার পরও পুরুষ পুরুষকে ঘৃণা করে না। পুরুষের যাবতীয় ঘৃণা যেন নারীর জন্য তুলে রাখা, যে নারী তাঁকে জন্ম দেন, স্নেহ–মমতা দিয়ে আগলে রাখেন। কিছু করে না–করেও হাজারো অপরাধে অপরাধী নারী। আর নারীর অপরাধ খুঁজে পাওয়া গেলে তো কথাই নেই। নারীর কথাবার্তা, পোশাক, চলন-বলন—সবকিছু মূল্যায়নের জন্য নম্বরপত্র হাতে প্রতিমুহূর্তে তৈরি থাকে আমাদের সমাজ। এমনকি পুরুষ দ্বারা সংঘটিত অপরাধকে আড়াল করতেও নারীর সম্পৃক্ততা খুঁজে বের করার জন্য চলে জোর তৎপরতা। এই চেষ্টা একবার সফল হলে নিমেষেই পুরুষের অপরাধটি লঘু হয়ে যায়।
নারী বা মেয়েদের প্রতি ঘৃণা কিংবা অবজ্ঞা করার এই প্রবণতাকে ‘মিসোজনি’ বলে। এটি এমন একটি চর্চা, যা পুরুষের তুলনায় নারীকে নিম্ন সামাজিক মর্যাদা দেয় এবং পুরুষতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখে। জানি না সর্বত্র মিসোজনির চর্চা দেখে বড় হতে থাকা প্রজন্মকে আমরা কীভাবে আগলে রাখব?
এই দেশে মেয়েরা বড় হচ্ছে প্রতিমুহূর্তে নির্যাতিত হওয়ার ভয় নিয়ে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে; আর অন্যদিকে ছেলেরা নির্যাতক হয়ে ওঠার আত্মবিশ্বাস নিয়ে বড় হচ্ছে। ব্যক্তিপর্যায়ে সচেতন হয়েও অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ব্যর্থ হচ্ছি আমাদের ঘরের ছেলেদের প্রচলিত অর্থে ‘পুরুষ’ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়া থেকে বাঁচাতে। পারছি না নারী আর পুরুষের মধ্যকার বৈষম্যকে কমিয়ে আনতে।
বৈষম্য কমিয়ে আনার অর্থ কেবল শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে কিংবা কর্মক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা নয়, বরং নারী–পুরুষসহ সবার জন্য এমন পরিবেশ নিশ্চিত করা, যেখানে সবাই একই রকম সুযোগ-সুবিধার মধ্যে বসবাস করে নির্ভয়ে, প্রাণের আনন্দে বেড়ে উঠবে আর এগিয়ে যাবে। সেই রকম বাংলাদেশ আমরা কি কখনো দেখে যেতে পারব?
নিশাত সুলতানা লেখক ও উন্নয়নকর্মী
[email protected]
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন শ চ ত কর আম দ র র জন য অপর ধ ই রকম
এছাড়াও পড়ুন:
সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর চালুর প্রস্তাব কমিশনের, আলোচনায় উত্তেজনা
সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে সদস্য নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ আলোচনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিনের উদ্দেশে জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২–দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা কটাক্ষ করে বলেন, ‘২৩ সালে কোথায় ছিলেন?’ তাঁর এ মন্তব্যে সংলাপে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ক্ষমা চান এহসানুল হুদা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের সংলাপের একপর্যায়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে দেখা গেছে, বেলা ১টা ৫০ মিনিটের পরে পিআর নিয়ে বিএনপির অবস্থান ব্যাখ্যা করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তাঁরা সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা উচ্চকক্ষের হাতে দিতে চান না।
উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরা অনির্বাচিত হবেন উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশেই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের হাতে সংবিধান সংশোধনের ক্ষমতা থাকে না। তিনি বক্তব্য শেষ করার পর এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ভোটের সংখ্যানুপাতিকের ভিত্তিতে উচ্চকক্ষ গঠিত হলে সেটি তো জনগণের প্রতিনিধিত্বের প্রতিফলন হয়। এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাসিন।
তখন সালাহউদ্দিন আহমদ একটি ব্যাখ্যা দেন। তখনই জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২–দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা মাইক ছাড়াই জাবেদ রাসিনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘২০২৩ সালে যখন আন্দোলন হচ্ছিল, তখন আপনারা কোথায় ছিলেন?’ তখনই জাবেদ রাসিন তাঁর প্রতিবাদ করেন (মাইক ছাড়াই) এবং এ নিয়ে সংলাপে উত্তেজনা তৈরি হয়।
তাঁদের দুজনই মাইক ছাড়া পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন। তখন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘হুদা ভাই, এর আগেও আপনারা একজনের বক্তব্য নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তখন আমরা থামিয়েছিলাম। এখানে আমরা কে কেন এসেছি, সে প্রশ্ন তুললে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। কারণ, আজকে যদি সে প্রশ্ন করেন, তাহলে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আমাকেও সে প্রশ্ন করতে পারেন। আমরা সে আলোচনায় যাচ্ছি না।’
তারপর এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘তিনি (এহসানুল হুদা) এই কথা বলতেই পারেন না।’ এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদ তাঁর পিঠ চাপড়ে থামতে অনুরোধ করেন। আখতার তখন বলতে থাকেন, ‘আমরা বাচ্চাকাল থেকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি।’
এ পর্যায়ে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘কারও লোকাস স্ট্যান্ডি (অধিকার/ সামর্থ্য) নিয়ে প্রশ্ন করার দরকার নেই। প্রত্যেকের লোকাস স্ট্যান্ডি আছে বলেই আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি।’ তখন আখতার বলেন, ‘গায়ের জোরে এসব প্রশ্ন করলে তো আমরা মানব না।’
আলী রীয়াজ তখন বলেন, ‘আমি তো হস্তক্ষেপ করলাম।’ আখতার তখনো বলতে থাকেন, ‘সবাইক নিয়ে আমরা গণ–অভ্যুত্থান করেছি। গোটা অভ্যুত্থানে ছাত্র–জনতা মাঠে নেমে এল, সেটার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। এটার জন্য ওনার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদকে বলতে শোনা যায়, ‘আচ্ছা হুদা ভাই, আপনি সরি বলেন।’ এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জেনায়েদ সাকি এ বিষয়ে কথা বলতে উঠে দাঁড়ালে আলী রীয়াজ তাঁকে অনুরোধ করে বসিয়ে দেন। তখন জোনায়েদ সাকি কিছু একটা বলার চেষ্টা করেন, কিন্তু মাইক না থাকায় তা শোনা যায়নি। এ সময় সালাহউদ্দিন আহমদ তখন এহসানুল হুদাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কেউ যদি মনে কষ্ট পেয়ে থাকে তার জন্য সরি বলেন।’
তখন এহসানুল হুদা মাইক নিয়ে বলেন, ‘আমি বলতে চেয়েছিলাম, ২০২৩ সালে আমরা উচ্চকক্ষের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, তখন সে প্রস্তাবটি (পিআর) কোথায় ছিল? তারপরও কেউ যদি আঘাত পেয়ে থাকে, আমি দুঃখিত।’
এরপরই আলী রীয়াজ মধ্যাহ্নভোজের বিরতি ঘোষণা করেন। বিরতির সময়ে সম্মেলনকক্ষে এহসানুল হুদাকে আবার আখতারের কাছে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর সঙ্গে কোলাকুলি করতে দেখা যায়। তখন হুদাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার অনুরোধ, আমরা এটা নিয়ে আর সিনক্রিয়েট না করি। আমার আপনাদেরকে নিয়ে প্রশ্ন করার ইনটেনশন (উদ্দেশ্য) ছিল না।’ তখন পাশ থেকে একজনকে বলতে শোনা যায়, আপনার এটা নিয়ে প্রশ্ন করা ঠিক হয়নি। পরে আখতার এহসানুল হুদাকে জাবেদ রাসিনের সঙ্গে কোলাকুলি করিয়ে দেন।
আজকে সরকারি কর্মকমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক এবং ন্যায়পাল নিয়োগ বিধানসম্পর্কিত বিধান; উচ্চকক্ষের গঠন, সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি, এখতিয়ার; রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, ইলেকটোরাল কলেজ; রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব ; তত্ত্বাবধায়ক সরকার; নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণসম্পর্কিত প্রস্তাব এবং রাষ্ট্রের মূলনীতির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
আজকে আলোচনা শুরুর সময় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব, দ্রুত চূড়ান্ত সনদ প্রস্তুত করে আপনাদের হাতে তুলে দিতে। এর ভিত্তিতে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাও করা হবে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের মধ্যেই আলোচনা পর্বের সমাপ্তি টানা সম্ভব হবে। আলোচনা শেষে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে এবং যেসব বিষয়ে ভিন্নমত রয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।