প্রধান উপদেষ্টা ১৬ এপ্রিল বিএনপির সঙ্গে বসবেন
Published: 9th, April 2025 GMT
আগামী ১৬ এপ্রিল বিএনপিকে সময় দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁরা সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিল বিএনপি। ওই দিন দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ হতে পারে।
বিএনপিকে প্রধান উপদেষ্টার সময় দেওয়ার বিষয়টি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আজ বুধবার দুপুরের দিকে ১৬ এপ্রিল বিএনপিকে সময় দেওয়ার কথা জানানো হয়।
বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই সাক্ষাতে তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের পথনকশা ঘোষণা, চলমান সংস্কার প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন। বিশেষ করে, নির্বাচন কবে হবে, সে বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে চাইবেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রকৃত মনোভাব যে কী, তা এখনো বুঝে উঠতে পারছে না বিএনপি। যতই দিন যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা বাড়ছে বলে মনে করছে দলটি। এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানতেই বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায়।
বিএনপির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, দলের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়। তবে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত উপদেষ্টা কার্যালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি। আজ নতুন করে সময় জানানো হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্রটি জানিয়েছে, গত সোমবার বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দলের পক্ষ থেকে শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত হয়। উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সময় দেওয়া হলে দলের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করবে। যদিও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মুহূর্তে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর রয়েছেন। ১৬ এপ্রিল তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা এর আগে বিভিন্ন সময়ে দলীয় ও জাতীয় বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে এবার দলের পক্ষ থেকে সাক্ষাতের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি একটু ভিন্ন। বিএনপি যে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চায়, সেটা প্রধান উপদেষ্টাকে সরাসরি বলবে। কার্যত নির্বাচন নিয়ে সরকারের মনোভাব কী, তা স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা থাকবে। বিশেষ করে কবে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানা-বোঝার চেষ্টা করবেন বিএনপির নেতারা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ন ত সরক র র ল ব এনপ দল র প সময় দ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫