দরিভাল জুনিয়রকে বরখাস্ত করার পর ব্রাজিলের জন্য নতুন কোচ খুঁজছে কনফেডারেশন অব ব্রাজিল ফুটবল (সিবিএফ)। চার কোচের সংক্ষিপ্ত তালিকাও করেছে ব্রাজিল। যে তালিকায় আছেন রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তি, আল হিলালের কোচ হোর্হে জেসুস, ফেনারবেচের কোচ হোসে মরিনহো ও পালমেইরাসের আবেল পেরেইরা।

এই চার কোচের সঙ্গেই তাদের বর্তমান ক্লাবের চুক্তি আছে। ওই চুক্তি বাতিল করে তাদের কাউকে ব্রাজিলের ডাগ আউটে পেতে হলে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সিবিএফের। কনফেডারেশন প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত তারা।

রদ্রিগুয়েজ বলেন, ‘জাতীয় দলের জন্য সিবিএফ সেরা কোচকেই চান। জাতীয় দলের জন্য সেরা কোচ পাওয়ার জন্য এটাকে (ক্ষতিপূরণ দেওয়া) আমরা বিনিয়োগ হিসেবে দেখছি।’

রদ্রিগুয়েজ জানিয়েছেন, কোচ নিয়োগের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া ও পরিকল্পনা-কৌশল সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়ার কাজটা সিবিএফের নির্বাহী সমন্বয়ক রদ্রিগো কায়তানো দেখভাল করছেন। রদ্রিগো বিষয়টি সম্পর্কে চূড়ান্ত খোঁজ-খবর নেওয়া সম্পন্ন করলে প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে বসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সিবিএফ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিস্তারিত (কোচ সম্পর্কে) তথ্য রদ্রিগো কায়তানোর কাছে পাওয়া যাবে। তিনি এটা দেখভাল করছেন। তার হাতে এরই মধ্যে একজনের নাম এসেছে, অন্যরাও আলোচনায় আছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি, তবে খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হচ্ছে। কোচদের সঙ্গে কথা বলার আগে তাদের ক্লাবের সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। দ্রুতই তিনি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবেন, এরপর আমরা বসবো।’

ব্রাজিলের কোচ হিসেবে সিবিএফ প্রেসিডেন্ট এডনাল্ডো রদ্রিগুয়েজের প্রথম পছন্দ কার্লো আনচেলত্তি। জুলাইয়ের আগে তাকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় হোর্হে জেসুসকে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল। তবে রিয়াল মাদ্রিদে ডন কার্লোর চাকরি সুতোর ওপর ঝুলছে বলে খবর। আর্সেনালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে জিতে সেমিফাইনালে যেতে না পারলে বরখাস্ত হতে পারেন তিনি। বিষয়টিকে সুযোগ হিসেবে দেখছে সিবিএফ।  আর্সেনালের বিপক্ষে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হেরেছে রিয়াল।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র জ ল ফ টবল র জন য স ব এফ

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ