এক শর্তে ইয়ামালের সঙ্গে নাচবেন লেভা
Published: 12th, April 2025 GMT
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচে জোড়া গোল করেন স্টাইকার রবার্ট লেভানডভস্কি। একটি করেন গোল করেন রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল।
বার্সার জার্সিতে গোল করে নেচে উদযাপন করতে দেখা যায় ইয়ামালকে। তার নাচে সঙ্গ দেন জাতীয় দল ও ক্লাবের সতীর্থ অ্যালেক্সজান্দ্রে বার্লে। কিন্তু পাশে থাকা লেভাকে নাচে যোগ দিতে দেখা যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ৩৬ বছর বয়সী পোলিশ স্ট্রাইকার এক শর্ত দিয়েছেন। ইয়ামালের বয়স তার অর্ধেকও হয়নি। লেভা তাই শর্ত দিয়েছেন, ইয়ামালের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে তার সঙ্গে নাচবেন তিনি।
প্রায় ১৯ বছরের ছোট ইয়ামালকে নিয়ে লেভানডভস্কি বলেন, ‘কারণ তার বয়স এখনো ১৮ হয়নি। আমরা তার ১৮ বছরের অপেক্ষায় আছি। এরপর একসঙ্গে নাচব, উদযাপন করবো। আমরা তাকে বলেছি- লামিনে আমাদের উচিত তোমার বয়স ১৮ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। এরপর কোথায় একসঙ্গে নাচব আমরা।’
লামিনে ইয়ামালের অবশ্য বয়স ১৮ হতে খুব বেশি দেরি নেই। চলতি বছরের ১৩ জুলাই ১৮ বছর পূর্ণ করবেন বাঁ-পায়ের এই ফুটবলার। তার আগেই অবশ্য তার সামনে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, কোপা দেল রে জয়ের সুযোগ। এরই মধ্যে তিনি জাতীয় দলের হয়ে ইউরো এবং বার্সার হয়ে সুপার কাপ জিতেছেন।
চলতি মৌসুমে লা লিগায় লেভা, রাফিনিয়া ও ইয়ামালের জুটি জমে উঠেছে। তারা মৌসুমে ৮২ গোল করেছেন। চলতি মৌসুমে সব শিরোপা জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে বার্সা। লিগ টেবিলে শীর্ষে আছে তারা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। রিয়ালের বিপক্ষে খেলবে কোপা দেল রে’র ফাইনাল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের কিস্তির প্রস্তাব উঠছে আইএমএফ পর্ষদে
আগামী ২৩ জুন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের সভায় বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ ও পঞ্চম দুই কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে। সভায় অনুমোদন হলে একসঙ্গে দুই কিস্তির ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাবে বাংলাদেশ। আইএমএফ শুক্রবার কার্যসূচিতে নির্বাহী পর্ষদের সভার এ তারিখ নির্ধারণের তথ্য প্রকাশ করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ পর্ষদের বৈঠকে চলমান ঋণ কর্মসূচির পর্যালোচনা প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে। এ প্রতিবেদন পর্ষদ অনুমোদন করলে বাংলাদেশ একসঙ্গে পাবে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য সাড়ে তিন বছর মেয়াদি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে।
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, ঝুঁকিতে থাকা ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেওয়া এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরিবেশসম্মত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা দিতে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে যাওয়া, টাকার দরপতন ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার কারণে ওই সময় আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির মধ্যে বর্ধিত ঋণসহায়তা (ইসিএফ) ও বর্ধিত তহবিল সহায়তা (ইএফএফ) বাবদ ঋণ রয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার। আর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) বাবদ রয়েছে ১৪০ কোটি ডলার। আরএসএফ আইএমএফের একটি নতুন তহবিল, যেখান থেকে এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকেই প্রথম ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। একই বছরের ডিসেম্বরে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ২০২৪ সালের জুনে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার।
আইএমএফের ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ গত বছরের ডিসেম্বরে পাওয়ার কথা থাকলেও শর্ত পরিপালন নিয়ে বিশেষত টাকা–ডলার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড়ের সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত এপ্রিলে আইএমএফের একটি প্রতিনিধিদল শর্ত পালনের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসে। তবে সমঝোতা না হওয়ায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড় আটকে যায়। এরপর ওয়াশিংটনে গত ২১ থেকে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন বৈঠকে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হয়।
সবশেষে গত মাসে এ নিয়ে আইএমএফের সঙ্গে কয়েকটি ভার্চুয়াল বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ মে দুই পক্ষ চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করে বাংলাদেশ। ১৪ মে আইএমএফ ওয়াশিংটন থেকে এক বিবৃতিতে জানায়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে এবং পর্ষদ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে ঋণের অর্থ ছাড় করা হবে জুনে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ৭৬ কোটি ডলার বাড়তি ঋণ চেয়েছে। বাড়তি ঋণ যোগ হলে মোট দাঁড়াবে ৫৪০ কোটি ডলার। বিবৃতিতে বিনিময় হার, রাজস্ব আদায়, ব্যাংক খাতসহ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলা হয়।