জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি ড্রোন শোর মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এ ড্রোন শো প্রদর্শন করা হয়। 

চীন সরকার এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে এই ‘ড্রোন শো’ আয়োজন করা হয়।

প্রায় ১৫ মিনিটের এই শোতে সর্বমোট ২৬০০ ড্রোন ব্যবহার করে ১২টি মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হয়।

এই ড্রোন প্রদর্শনীর শুরুতেই ছিল খাঁচার ভেতর থেকে উড়াল দেওয়া পাখির প্রদর্শনী। শোষণ-শাসনের খাঁচা ছেড়ে যে পাখি উড়াল দেয়, আসে নতুন বাংলাদেশ-যা ৩৬ জুলাই নামে পরিচিতি পেয়েছে।

এরপরই প্রদর্শনীতে দেখানো হয় অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের আবু সাঈদকে। দুই হাত প্রসারিত করে বুক চিতিয়ে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়া সেই দৃশ্য ড্রোনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে প্রদর্শন করা হয় উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের তৃষ্ণা মেটাতে পানির কেস হাতে ছোটা ‘পানি লাগবে, পানি’ বলে পানি বিলানো শহীদ মীর মুগ্ধকে। এতে একটি ছবিতে বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সংহতিও জানানো হয়েছে।

‘ড্রোন শো’ পরিচালনায় ৬জন সদস্যের চীনা বিশেষজ্ঞ দল গত ফেব্রুয়ারি মাসে কাজ শুরু করে। ‘ড্রোন শো’ পরিচালনা করেন ১৩ জন চীনা পাইলট বা ড্রোন চালনাকারী বিশেষজ্ঞ।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল

বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার পৌর এলাকার পাল্লাপাড়া গ্রাম উন্নয়ন কমিটির আয়োজনে কাহালু সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ আয়োজন করা হয়। মেলার প্রধান আকর্ষণ ছিল ঐতিহ্যবাহী লাঠি ও পাতা খেলা। শিশু-কিশোরদের জন্য ছিল নাগরদোলা ও নৌকাদোল।

মেলা উপলক্ষে নতুন জামাই ও আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ জানানো হয় আশপাশের কয়েকটি গ্রামে। বাড়িতে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়নের ধুম পড়ে। এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়েজামাই। তারা একসঙ্গে কেনাকেটা করেন। বাঁশ, মাটি ও প্লাস্টিকের তৈরি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতা। ছিল নারীদের প্রসাধনীর দোকানও।

এদিন অতিথি আপ্যায়নে মিষ্টির দোকানগুলোয় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। হরেক রকমের মিষ্টি তৈরি করে বিক্রি করছেন দোকানি। মৌসুমি ব্যবসায়ীদের আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, তালের শাঁসসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করতে দেখা যায়। চটপটি, বারোভাজা ও ফুসকার দোকানেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এ মেলা ঘিরে আশপাশের এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। শিশু-কিশোরদের বাজানো বাঁশির শব্দ ছিল পুরো এলাকায়। মেলায় কথা হয় পাল্লাপাড়া গ্রামের জামাই মোরশেদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এলাকায়। কয়েকদিন আগে ঈদের দাওয়াতে এসেছিলেন শ্বশুরবাড়ি। এদিন আসেন জামাই মেলা উপলক্ষে।

মেলায় সকালে মাছ ও মাংসের দোকান বসে। বিকেলে ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করেই মানুষের ঢল নামে। শিশু-কিশোরদের হাত ধরে মেলায় ঘুরতে আসেন অভিভাবকসহ স্বজনরা। শিশুদের বায়না মেটাতে হিমশিম খেতে হয় অনেককে।

আয়োজকদের অন্যতম সাবেক কাউন্সিলর মোজাম্মেল হক বলেন, ৩৫ বছর থেকে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার জামাইদের দাওয়াত করা হয় বলে এটি ‘জামাই মেলা’ হিসেবে পরিচিত। এ মেলা এখন এলাকার ঐতিহ্য। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাগরিক সমাজ শাসকদের পক্ষে থাকে কেন?
  • আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • রংপুরে আবু সাঈদ হত্যা: এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের
  • ঈদের ছুটি শেষে ব্যাংক খুলেছে, ভিড় নেই তেমন
  • ছুটি শেষে ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হচ্ছে কাল
  • টানা ১০ দিনের ছুটি শেষ, রবিবার খুলছে সরকারি অফিস
  • গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
  • চেনা রূপে বরিশাল নদীবন্দর, ঈদফেরত যাত্রীদের ভিড়
  • কাহালুর জামাই মেলায় মানুষের ঢল
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি