পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭৮ রানের পুঁজি নিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট পাবে কি বাংলাদেশ
Published: 19th, April 2025 GMT
পাকিস্তানের বিপক্ষে আজ জিতলেই ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের মেয়েদের। কিন্তু লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে চলমান এ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহ পায়নি নিগার সুলতানার দল। ৫০ ওভার খেলেও ৯ উইকেটে ১৭৮ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস।
বাছাইপর্বে এর আগে নিজেদের চার ম্যাচেই তিনটিতেই আগে ব্যাট করে দুইশোর্ধ্ব সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৬ তুলে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সংগ্রহের রেকর্ডও গড়েছে নিগারের দল। কিন্তু আজ ব্যাটিংয়ের শুরুতে ও শেষে ভালো করতে পারেনি মেয়েরা। পাঁচে নামা রিতু মনির ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৭৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। ৫৩ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ফাহিমা খাতুন।
টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬.
বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে এ ম্যাচে হারলেও বিশ্বকাপের মূলপর্বে ওঠার সুযোগ থাকছে। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে আজ বিকাল ৩টায় শুরু হতে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ–থাইল্যান্ড ম্যাচে। এ ম্যাচে থাইল্যান্ড জিতলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাবনা নষ্ট হবে, এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশই। তবে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের কাছে হারার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি থাইল্যান্ডকে হারায়, তাহলে সমীকরণ ভিন্ন।
তখন নেট রান রেট হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল বাংলাদেশের চেয়ে রান রেটে বেশ পিছিয়ে, এখন আজ শেষ দিনে বাংলাদেশকে টপকে যেতে হলে পয়েন্ট সমান করার পর জয়ের ব্যবধানও বড় রাখতে হবে। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের দুইয়ে বাংলাদেশ (১.০৩৩)। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (–০.২৮৩)।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’