নিউজিল্যান্ডের টঙ্গারেওয়া স্কলারশিপ
Published: 20th, April 2025 GMT
বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থা ও উন্নতজীবনের সঙ্গে খরচের হিসাব মিলে গেলেই উচ্চশিক্ষার জন্য অন্য দেশে পাড়ি জমানো যায়। নিউজিল্যান্ড বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষার আকর্ষণীয় গন্তব্য। কারণ দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা সেখানে পড়তে যায়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও নিউজিল্যান্ডকে তাদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছে। তাই এই দেশে স্থায়ী বসবাসে আগ্রহী এখন অনেকেই। যারাই এই দেশে স্থায়ী বসবাসের চিন্তা করছে তাদের ইচ্ছা পূরণের সঠিক উপায় হচ্ছে, এই দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া। নিউজিল্যান্ডের ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়। এ বৃত্তির নাম ‘টঙ্গারেওয়া স্কলারশিপ’। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে দেওয়া হয় এ বৃত্তি। ১৮৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টি নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে। ১২৭ বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়টির রয়েছে তিনটি আলাদা ক্যাম্পাস।
সুযোগ-সুবিধা
যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
স্নাতকের শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার প্রদান করা হয়।
স্নাতকোত্তরের জন্য পাঁচ হাজার নিউজিল্যান্ড ডলার দেওয়া হয়।
আবাসন-সুবিধাসহ বিভিন্ন অনুদান প্রদান করা হবে।
আবেদনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
আবেদনকারীকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের যোগ্য নন।
আবেদনকারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।
একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে।
ইংরেজি ভাষা দক্ষতার কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। আবেদন করতে এবং আবেদন পদ্ধতিসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে অনলাইনে।
আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ১ মে ২০২৫।
বিস্তারিত – https://www.
current/tongarewa-international-
scholarship
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন করত
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫