ড্যাপের কারণে আবাসন ও সংযোগ শিল্পের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে: রিহ্যাব
Published: 22nd, April 2025 GMT
ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) কারণে আবাসনের পাশাপাশি সংযোগ শিল্পের ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান।
রিহ্যাব সভাপতি বলেন, আবাসন খাত ভালো থাকলে সংযোগ শিল্পগুলো স্বাভাবিকভাবেই ভালো থাকে। এখন তারাও ভালো নেই। কারণ, বৈষম্যমূলক নতুন ড্যাপ ও ইমারত নির্মাণ বিধিমালা কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে আবাসনশিল্প সমস্যায় আছে।
মো.
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিহ্যাবের সভাপতি মো. ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, বৈষম্যমূলক ও ত্রুটিপূর্ণ ড্যাপ নিয়ে জমির মালিক, আবাসন ব্যবসায়ী ও সংযোগ শিল্পের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে অবশ্যই অবসান ও সংযোগ শিল্পের স্থবিরতা থেকে অতি দ্রুত উত্তরণ ঘটাতে হবে। সরকারকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
রিহ্যাব ও আবাসন খাতের সহযোগী শিল্পের বাণিজ্য সংগঠনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শেখ মাসাদুল আলম, বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, রিহাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া প্রমুখ।
রিহ্যাব সভাপতি আরও বলেন, ড্যাপে ফার (ফ্লোর এরিয়া রেশিও) সমস্যার কারণে ভবনের উচ্চতা ও আয়তন একেবারে কমে গেছে। ২০২২ সালে ড্যাপের প্রজ্ঞাপন হওয়ার পর জমির মালিকেরা ডেভেলপ করার জন্য আবাসন কোম্পানিকে জমি দিচ্ছেন না। এ কারণে নতুন আবাসন প্রকল্পের সংখ্যা কমে গেছে। এতে সংযোগ শিল্পগুলোর পণ্যের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিহ্যাব সভাপতি বলেন, ‘দিল্লিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩৬২ জন মানুষ বসবাস করে। তারপরও তাদের ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে ফার বেশি। ঢাকায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে ১ হাজার ১১৯ জন। ফলে আমাদের কম জায়গায় বেশি ফার প্রয়োজন।’
আবাসনশিল্পের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে রড, সিমেন্ট, ইট, টাইলস, কেব্ল, রং, লিফট, থাই, স্যানিটারিসহ প্রায় ২০০ সংযোগ শিল্প—এসব খাত অর্থনীতির চাকা গতিশীল রেখেছে। এসব শিল্পে ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান রিহ্যাব সভাপতি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।
এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।
ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’
ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’