উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
Published: 26th, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলার নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল তিনটায় শহরের ডিআইটি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা আব্দুল আউয়াল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমীর আল্লামা আব্দুল হামিদ মধুপুরী।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, আলীরটেক মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ আতাউল হক সরকার, নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমী, মহানগর আহবায়ক মুফতী মামুনুর রশীদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুফিজুল ইসলাম, দারুল কোরআন রূপগঞ্জের মুহতামিম মাওলানা বদরুল আলম সিলেটী, কারিমীয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু সায়েম খালেদ, শায়খুল হাদীস মুফতী মুসা কাসেমী, ভূইগর কাসিমিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ইসমাঈল আব্বাসী, হাজীপাড়া মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মুফতী আব্দুল আহাদ, শিক্ষাসচিব মুফতী মাহমুদুল হাসান, হাজীগঞ্জ মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী ইমরান হোসাইন, বাগে জান্নাত মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুর রহীম, তালতলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মহিউদ্দিন খান, বন্দর মাহমুদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আবুল কাসেম, ফতুল্লা ইমাম সমাজের সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দীক কাসেমী, বায়তুল হিদায়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আব্দুল গনী, ফতুল্লা উলামা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মুফতী ফয়জুল্লাহ, আড়াইহাজারের মাওলানা আইয়ুব, সোনারগাঁও লাধুরচর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী আবু বকর কাসেমী, মাদরাসাতুশ শরফের মুহতামিম মাওলানা ওবাইদুল কাদের নদভী, সিরাজুল উলুম আদর্শনগর মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদ, মাদানী একাডেমির পরিচালক মুফতী তানঈম মাদানীসহ প্রমুখ শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।
পরিচিতি সভায় ঘোষণা করা হয়, নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদে সভাপতি হিসেবে আল্লামা আব্দুল আউয়াল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুফতী জাকির হুসাইন কাসেমী নেতৃত্ব দেবেন। ৩১৩ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আব্দুল কাদির এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের জিহাদী। এ কমিটি ৩০১ সদস্য নিয়ে গঠিত হয়।
সভায় মহানগর খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আহবায়ক হিসেবে মুফতী মামুনুর রশীদ, সদস্য সচিব মুফতী মাহমুদুল হাসান এবং মহানগর উলামা পরিষদের আহবায়ক মুফতী আব্দুর রহমান, সদস্যসচিব মাওলানা আব্দুর রহীম, সহ-সদস্য সচিব মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদকে মনোনীত করা হয়।
এছাড়া খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ ব্যবসায়ী কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন হাজ্বী কামাল এবং সদস্য সচিব হাজ্বী আব্দুল কাদির।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ সদস য ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।