সংস্কার কমিশনে যারা আছেন প্রত্যেকেই একেকজন তসলিমা নাসরিন : মামুনুল হক
Published: 26th, April 2025 GMT
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক বলেছেন, সংস্কার কমিশনে যারা আছেন প্রত্যেকেই একেকজন তসলিমা নাসরিন। এই প্রস্তাবনা বাতিল করলেই হবে না। কমিশন বাতিল করতে হবে। তারা আল্লাহর কুরআনকে সরাসরি কটাক্ষ করেছে।
এই ধরনের কটাক্ষকারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার কারণে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। একজনও যেন বাংলাদেশে না থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন শহরের ডিআইটি মসজিদের দ্বিতীয় তলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মাওলানা মোহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, নারী কমিশন তাদের প্রস্তবনায় বলেছে নারী অধিকারের ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার আইনের ক্ষেত্রে কুরআন হলো প্রতিবন্ধক ধর্মীয় আইন হলো প্রতিবন্ধক। তারা চাচ্ছে উত্তরাধিকার এবং পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রে সকল ধর্মের অভিন্ন আইন প্রণয়ন করা। অর্থ্যাৎ এক আইন অনুযায়ী সকল ধর্মের লোকদের বিয়ে হবে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের অনেক জায়গায় যেখানে ধর্মের কোনো বালাই নাই। তারা বাংলাদেশেও এটা চাচ্ছে যাতে বিয়ের ক্ষেত্রে ধর্মের কোনো আইন প্রয়োজন পড়বে না। তারা বাংলাদেশের পরিবার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে চায়।
পশ্চিমা বিশ্বের মতো লাগামহীন জীবন আচার চলবে। নারী পুরুষের বৈবাহিক বন্ধনের প্রয়োজন হবে না। যখন যার ইচ্ছা তার সাথে সাথে থাকবে। তারা এই মিশন নিয়ে নামছে।
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও নারায়ণগঞ্জ উলামা পরিষদের সভাপতি আল্লামা আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির আমীর আল্লামা আব্দুল হামিদ মধুপুরী, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল কাদির ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু তাহের জিহাদীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।