‘ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা ছাড়া কাজে সাফল্য আসে না’
Published: 26th, April 2025 GMT
রজার হ্যারপ। আমেরিকান সিইও এক্সপার্ট ও আন্তর্জাতিক এই বক্তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকার থেকে অনুপ্রেরণামূলক কথা তুলে এনেছেন ইমাম হোসেন মানিক
অন্যের দিকে নজর না দিয়ে সবার আগে নিজের ছবি দেখুন আয়নায়। নিজেকে দেখে নিজের দুর্বলতা আগে খুঁজে বের করুন। মনে রাখবেন, নিজের ভালো দিকটা সবাই জানে। তাই ভালো দিক এড়িয়ে মন্দে যান। কারণ, মন্দ দিকটা খুঁজে বের করা কঠিন। এটি বের করার পর আপনার কাজের সঙ্গে এমন কাউকে জড়ান, যিনি শুধু আপনার ভালোটা দেখবেন না, আপনার মন্দ দিকটাও আপনার সামনে তুলে ধরবেন সুন্দর করে। শৈল্পিকভাবে!
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করুন
মন্দ বা খারাপটা বের করার পর এবার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে নিন। মানে আপনি কী করতে চাচ্ছেন, কেন করতে চাচ্ছেন? এই কাজ থেকে আপনার আদৌ কোনো লাভ হবে কিনা? হলে সেটির পরিমাণ কত? এর নেতিবাচকতা কী হতে পারে। ইত্যাদি নানা বিষয়ে প্রথমে ছক কেটে সাজিয়ে নিন।
রাখুন অটুট আস্থা
লক্ষ্য স্থিরের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি যে কাজটা করতে যাচ্ছেন সে কাজের প্রতি আপনার আস্থা অটুট রাখা। মানে পরিপূর্ণ বিশ্বাস রাখা। আপনি যদি আপনার কাজের প্রতি বিশ্বাসভাজন না হন তাহলে আপনার সহকর্মীরা কীভাবে রাখবেন? সুতরাং নিজের কাজের প্রতি নিজে সবার আগে বিশ্বাসী হোন এবং এ কাজটার মাধ্যমে যে সাফল্য আসবে তা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে এগিয়ে যান। সেই সঙ্গে আপনার কাজের প্রতি মমতা রাখুন, ভালোবাসা রাখুন, শ্রদ্ধা রাখুন। আপনার সহকর্মীরা তাহলে সে কাজে গুরুত্ব দেবে। আপনি হেলাফেলা করার অর্থ হচ্ছে আপনার সহকর্মীরা ধরে নেবেন এ কাজ ততটা গুরুত্বপূর্ণ না। সুতরাং সাবধান!
ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা
ঝুঁকিহীন কোনো কাজ ভালো হয় না। ঝুঁকি নেওয়ার মতো মানসিক অবস্থা আপনার থাকতে হবে। বুকে রাখতে হবে সাহস। সাহস নিয়ে আস্থার সঙ্গে এগোলে সাফল্য আপনার আসবেই। আর যা করছেন সেটি থেকে সাফল্য আসবে এমন ভাববেন না। যদি না আসে সফলতা তাহলে কী করবেন? সবকিছু গোছগাছ করে থেমে যাবেন? কখনও সেটি করবেন না। বরং বিকল্প একটি রাস্তা খোঁজে ঠিক করে রাখুন। যদি আশানুরূপ না হয় তাহলে যেন চটজলদি সেই বিকল্প রাস্তায় মুভ করতে পারেন। বিখ্যাত মারফির তত্ত্ব। কখনও ভুলে যাবেন না- ‘যদি কোনো কাজে কোনো ভুল ধরা পড়ে, তাহলে বিকল্প রাস্তা অনুসরণ করাই শ্রেয়।’
মাথা খাটান; জোর নয়
কাজ করবেন মাথা খাটিয়ে; জোর করে নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো– সবসময় আনন্দ এবং উপভোগের সঙ্গে কাজ করবেন। কখনও কাজকে বোঝা মনে করবেন না। তাহলে কাজ হয়ে পড়বে কঠিন থেকে কঠিনতর। একটা কথা ভুলে যাবেন না, কাজ করছেন নিজের স্বাচ্ছন্দ্য এবং আনন্দে থাকার জন্য। সুতরাং এমন কিছু কেন করবেন, যেটি করতে অনেক কষ্ট হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আপন র স স ফল য ব র কর করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
গান নিয়েই আমার সব ভাবনা
কর্নিয়া। তারকা কণ্ঠশিল্পী। অনলাইনে প্রকাশ পাচ্ছে বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া তাঁর দ্বৈত গান ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। এ আয়োজন ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তাঁর সঙ্গে–
‘ভাঙা ঘর’ ও ‘আদর’-এর পর প্রকাশ পাচ্ছে ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’। একনাগাড়ে দ্বৈত গান গেয়ে যাচ্ছেন, কারণ কী?
শ্রোতাদের চাওয়া আর নিজের ভালো লাগা থেকেই দ্বৈত গান গাওয়া, এর বাইরে আলাদা কোনো কারণ নেই। কারণ, সব সময় ভাবনায় এটাই থাকে, যে কাজটি করছি, তা শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করবে কিনা। সেটি একক, না দ্বৈত গান– তা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। তা ছাড়া রুবেল খন্দকারের সঙ্গে গাওয়া ‘ভাঙা ঘর’ ও অশোক সিংয়ের সঙ্গে গাওয়া ‘আদর’ গান দুটি যেমন ভিন্ন ধরনের, তেমনি বেলাল খানের সঙ্গে গাওয়া ‘তুমি ছাড়া নেই আলো’ অনেকটা আলাদা। আসল কথা হলো, যা কিছু করি, তার পেছনে শ্রোতার ভালো লাগা-মন্দ লাগার বিষয়টি প্রাধান্য পায়।
দ্বৈত গানের সহশিল্পী হিসেবে নতুনদের প্রাধান্য দেওয়ার কারণ?
সহশিল্পীর কণ্ঠ ও গায়কি যদি শ্রোতার মনোযোগ কেড়ে নেওয়ার মতো হয়, তাহলে সে তরুণ, নাকি তারকা– তা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন পড়ে না। এমন তো নয় যে, নতুন শিল্পীরা ভালো গাইতে পারে না। তা ছাড়া তারকা শিল্পী ছাড়া দ্বৈত গান গাইব না– এই কথাও কখনও বলিনি। তাই দ্বৈত গানে তারকাদের পাশাপাশি নতুনদের সহশিল্পী হিসেবে বেছে নিতে কখনও আপত্তি করিনি।
প্রতিটি আয়োজনে নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরার যে চেষ্টা, তা কি ভার্সেটাইল শিল্পী প্রতিষ্ঠা পাওয়ার জন্য?
হ্যাঁ, শুরু থেকেই ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে পরিচিতি গড়ে তুলতে চেয়েছি। এ কারণে কখনও টেকনো, কখনও হার্ডরক, আবার কখনও ফোক ফিউশনের মতো মেলোডি গান কণ্ঠে তুলেছি। গায়কির মধ্য দিয়ে নিজেকে বারবার ভাঙার চেষ্টা করছি। সব সময়ই নিরীক্ষাধর্মী গান করতে ভালো লাগে। একই ধরনের কাজ বারবার করতে চাই না বলেই নানা ধরনের গান করছি। নিজেকে ভেঙে সব সময়ই নতুনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা জারি রাখছি।
প্রযোজক হিসেবে নিজের চ্যানেলের জন্য নতুন কী আয়োজন করছেন?
আয়োজন থেমে নেই। তবে কবে নতুন গান প্রকাশ করব– তা এখনই বলতে পারছি না। কারণ একটাই, অন্যান্য কাজের মতো গান তো ঘড়ি ধরে কিংবা সময় বেঁধে তৈরি করা যায় না। একেকটি গানের পেছনে অনেক সময় দিতে হয়। কোনো কোনো গানের কথা-সুর-সংগীতের কাটাছেঁড়া চলে দিনের পর দিন। এরপর যখন তা সময়োপযোগী হয়েছে বলে মনে হয়, তাখনই প্রকাশ করি।
গান গাওয়ার পাশাপাশি মডেলিং বা অভিনয় করার ইচ্ছা আছে?
সত্যি এটাই, গান নিয়েই আমার সব ভাবনা। তারপরও অনেকের অনুরোধে কয়েকটি পত্রিকার ফ্যাশন পাতার জন্য মডেল হিসেবে কাজ করেছি। তবে মডেল হব– এমন ইচ্ছা নিয়ে কাজ করিনি। অভিনয় নিয়েও কিছু ভাবি না। অন্য কোনো পরিচয়ে পরিচিত হতে চাই না।